a
ফাইল ছবি
এক ব্যক্তি একই নারীকে পর পর তিনবার ডিভোর্স দেন এবং চারবার বিয়ে করেন। পুরো ব্যাপারটি ঘটে ৩৭ দিনের মধ্যে। জানা যায়, ওই ব্যাংকার ব্যক্তি একটু দীর্ঘ ছুটি চেয়েছিলেন। অফিস ছুটি দিতে অস্বীকার করে। তখনই তিনি বিয়ের সংখ্যা বাড়ানোর কৌশল আটেন। কারণ বিয়ে করলে ছুটি দিতে বাধ্য প্রতিষ্ঠানটি।
পেশায় ব্যাংককর্মী এই ব্যক্তি বিয়ের জন্য সবেতন ছুটির আবেদন করেন। ছুটি মঞ্জুর হয় ৮ দিন, এরপর বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু ৮ দিনের মাথায় তিনি বউকে ডিভোর্স দিয়ে বসেন আবারও বিয়ের দিন ধার্য করে ব্যাংকে আবার ছুটির আবেদন করেন। আবার ছুটি মঞ্জুর হয় এবং তিনি ৭ দিনের সাবেক বউকেই বিয়ে করেন এবং পরের ছুটির শেষ হওয়ার আগেই তিনি একই কাজ করেন। এরকম তিনবার একই ঘটনা ঘটার পরে পরের বার ওই কর্মী আবার বিয়ের ছুটির আবেদন করলে ব্যাংক তাকে সেই ছুটি দিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, ওই কর্মীকে তারা সবেতন ছুটি শুধু তার প্রথম বিয়ের জন্য দেবে বলে জানায়।
এরপর ওই ব্যক্তি অফিসের এই সিদ্ধান্তে ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সব শুনে বিয়ের ছুটি না দেওয়ার অপরাধে সেই ব্যাংকেই জরিমানা করা হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তি অন্যায্য কাজ করেছেন। কিন্তু সেটা জেনেও আদালত জানিয়ে দেন, লোকটির আচরণ অযৌক্তিক, কিন্তু শ্রম আইনে এমন কোনও অনুচ্ছেদ নেই যাতে বলা রয়েছে, ছুটির জন্য কোনও ব্যক্তি একই নারীকে একাধিকবার বিয়ে করতে পারবে না।
সংগৃহীত ছবি
শিশুদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে মা বাবা। সবচেয়ে বড় শেখার জায়গাই হচ্ছে তার পরিবার। পরিবারে মা-বাবা যা করেন, সন্তানরাও তাই শেখে। বড়দের আচরণের ছাপ ছোটদের মধ্যে পড়ে। তবে এমন কিছু কাজ কিংবা আচরণ আছে, যা শিশুদের সামনে মোটেও করা যাবে না। আসুন জেনে নিই সে সম্পর্কে—
ফোন ও টিভির ব্যবহার কম করা:
শিশুরা যদি সবসময় মা-বাবাকে টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে, তা হলে সেও তাদের মতোই একইভাবে সময় কাটানো শিখবে। তাই শিশুদের সময় দিতে হবে বেশি এবং তাদের সামনে টিভি ও ফোনের পেছনে সময় যতটা সম্ভব কম ব্যয় করতে হবে।
কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়:
মা-বাবা তাদের পরিবারের অন্য কোনো সদস্য, প্রতিবেশী বা বন্ধুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকলে, শিশুদের ওপর সেটির বাজে প্রভাব পড়বে। কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে বা কাউকে অপছন্দ করলেও শিশুদের সামনে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা যাবে না। সেটি করলে শিশুরাও সেই ব্যক্তিকে কোনো সময় অপমান করতে পারে বা খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
খাবার নষ্ট নয়:
জীবনে খাবারের গুরুত্ব কতটা তা শিশুদের বোঝাতে হবে, তাদের কাছে খাওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে। তাই তাদের সামনে কখনও খাবার অপচয় করা যাবে না। তাদের এটা বোঝাতে হবে যে খাবার নষ্ট করা খুব খারাপ অভ্যাস।
ভদ্রতা বজায় রাখা:
শিশুরা আশপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রীর ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে। তাদের সামনে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সবসময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভালো আচরণ করতে হবে।
চিৎকার না করা:
রেগে গেলে বা খুব বিরক্তের সময় আমরা চিৎকার চেচামেচি করি। যেটির প্রভাব শিশুদের ওপর পড়ে। এমন পরিস্থিতি আসলে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর যদি শিশুদের সামনে এমনটি করা হয়, তা হলে তাদের মনে হবে যে এমনটি করা ঠিক কাজ।
বাজে মন্তব্য না করা:
কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুদের সামনে বাজে মন্তব্য করা যাবে না। কারও গায়ের রঙ, রূপ, শরীর বা খারাপ গুণাবলি নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। এটি করলে তারাও এই অভ্যাস পেয়ে বসবে।
ফাইল ছবি
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মুজাহিদিন ব্রিগেড সামরিক মহড়া চালিয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিজেদের লড়াইয়ের প্রস্তুতির লক্ষে শনিবার এই সামরিক মহড়া চালায়। গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি অংশে ‘কার্যকর প্রতিশ্রুতি’ নামে ফিলিস্তিনিরা এই মহড়া চালায়।
গাজার স্থল ও সমুদ্র ভাগে প্রতিরোধ যোদ্ধারা নানা রকমের যুদ্ধ-দৃশ্যের অবতারণা করে। ইসরায়েলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা সাম্প্রতিককালে পবিত্র আল-কুদস শহরে সহিংসতা চালাচ্ছে, তার প্রতিরোধকল্পে এই মহড়ার মাধ্যমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়।
মুজাহিদিন ব্রিগেডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় ফিলিস্তিনের হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ দুই সংগঠনের নেতারা কুদস শহরে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
আল-কুদস শহরে গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে বহু ফিলিস্তিনি হতাহত ও প্রায় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে আটক করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ইহুদীবাদীরা মাঝে মধ্যেই সেখানে মিছিল বের করছে এবং আরবরা নিপাত যাক স্লোগান দিচ্ছে। সূত্র: পার্সটুডে