a
ফাইল ছবি
আকাশে মেঘ কমে আসতে থাকায় আজ শনিবার হতে তাপমাত্রা কমতে কমতে পারে। আগামী ৩ থেকে ৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফত।
আজ তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং রাজারহাটে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৮, রংপুরে ১১ দশমিক ৬, খুলনায় ১৫ দশমিক ০ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: প্রধান উপদেষ্টার সহকারী মো: শফিকুল আলম
নিউজ ডেস্ক: লন্ডন বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী রোজার আগেই (ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নির্দেশ দেন। নির্বাচন আয়োজন সংশ্লিষ্টদের সব ধরনের প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতির নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী জনাব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকের মূল বিষয় ছিল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। নির্বাচনের ২টা সম্ভাব্য সময় আগেই জানানো হয়েছে। ১টা হলো- প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণে এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। পরবর্তীতে জানানো হয় যদি প্রস্তুতি সম্পন্ন হয় এবং গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো হয়ে যায়, তাহলে রমজানের আগেই ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে গতকাল প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রথম নির্দেশনা ছিল নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক যত প্রস্তুতি, সব আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর মধ্যে অনেক বিষয় আছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ১৭ হাজার নতুন রিক্রুটমেন্ট করা হচ্ছে নির্বাচনকে সামনে ঘিরে। তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ যাতে এ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করার অনেক পাঁয়তারা চলছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগামী মাসগুলোতে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আট লাখের মতো সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পুরো আট লাখ সদস্যকেই প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তা ডিসেম্বরের মধ্যে।
এবার অনেক নতুন ভোটার ভোট দেবেন। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে তরুণ ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন ১৮ থেকে ৩৩ বছর বয়সিদের একটা পৃথক ভোটার তালিকা করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে। তাদের জন্য কেন্দ্রগুলোতে আলাদা ভোটিং বুথ রাখার বিষয়টা দেখতে বলেছেন।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োজিত করা একটা ইস্যু। কোথায় কোথায় নিয়োজিত করা হবে, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে কীভাবে নিয়োজিত করা হবে, কতজন আনসার থাকবে, কতজন পুলিশ থাকবে, বিজিবি বা সেনাবাহিনী কীভাবে থাকবে সেগুলো নিয়ে মিটিংয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে ডিসি, এসপি, ওসি, টিএনও- এসব পদে রদবদল করতে বলা হয়েছে।
নির্বাচনকালীন প্রশাসনে রদবদল প্রসঙ্গে ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, লটারির মাধ্যমে রদবদল করা যায় কিনা তা দেখতে বলা হয়েছে। গত সরকারের আমলে একটা উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সিসি টিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে পুরো একটা আসনে নির্বাচন বাতিল করে দিয়েছিল।
পরবর্তীতে আইন সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের এ ক্ষমতাটা খর্ব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এ ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
এবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তো প্রশিক্ষণ দেওয়া হবেই, ভোটারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নারী ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বিগত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে যেসব পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে এবার নির্বাচনি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ফটো:
দখলদার ইসরাইল ফিলিস্তিনের জেরুজালেম ও পশ্চিমতীরে বেপরোয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। ফিলিস্তিনে কর্মরত জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ারস আন দ্যা প্যালেস্টাইন টেরিটরিসের (ওসিএইচএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করে তাদের ভিটেমাটি দখল করার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে শুধু এ বছর তাদের জবরদখল বেড়েছে ৬৫ শতাংশ।
পশ্চিমতীর ও জেরুজালেমে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫৩ ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস করে ফেলে ইসরাইল। পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোর করে রাস্তায় বের করে দিচ্ছে। তাদের পক্ষে কোন বাধা দিলে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা হত্যা করা হয়।
এসব এলাকায় নারী ও শিশুদের নিয়ে প্রচণ্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি পরিবারগুলো।
দখলদার ইসরাইল আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি উপেক্ষা করে এসব জায়গাগুলোতে বাড়িঘর থেকে গত মাসে ১২৭ শিশুসহ ৩০৫ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করেছে।