a
ফাইল ছবি
আকাশে মেঘ কমে আসতে থাকায় আজ শনিবার হতে তাপমাত্রা কমতে কমতে পারে। আগামী ৩ থেকে ৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফত।
আজ তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং রাজারহাটে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৮, রংপুরে ১১ দশমিক ৬, খুলনায় ১৫ দশমিক ০ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার রাতে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে মির্জা ফখরুলকে রমনা থানায় করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাঁর আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। পুলিশ কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলকে আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে তাঁর গুলশানের বাসা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাঁকে ডিবির মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নেওয়া হয়। আজ রাত আটটার পর ফখরুলকে আদালতে নেয় পুলিশ।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদিন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলায় মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
আদালত সূত্র জানায়, মির্জা ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। তবে শুনানি শেষে আদালত সে আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ সদস্যরা গিয়ে ফখরুলসহ বাসার সবার সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ক্লোজড সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজ (চিত্র) ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যান তাঁরা। এর ঠিক ১০ মিনিট পর আবার ফিরে এসে মির্জা ফখরুলকে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনার সুযোগ রাখা হয়েছে। এই সুযোগকে অনৈতিক, অসাংবিধানিক ও বিদ্যমান আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থাটি বলছে, এই সুযোগ অর্থ পাচারের মতো অপরাধকে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার নামান্তর। এতে অর্থ পাচারসহ সার্বিকভাবে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করা হবে।
আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দেশ থেকে পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশে নতুন বিধান সংযোজনের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। নামমাত্র কর দিয়ে প্রশ্নহীনভাবে পাচার করা অর্থ বিদেশ থেকে আনার সুযোগ স্পষ্টতই অর্থ পাচারকারীদের অনৈতিক সুরক্ষা প্রদান। অথচ অর্থ পাচার রোধ আইন অনুযায়ী অর্থ পাচার গুরুতর অপরাধ। দেশের আইন অনুযায়ী যার শাস্তি পাচার করা অর্থ বাজেয়াপ্ত এবং তার দ্বিগুণ জরিমানা ও ১২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
পাচার করা অর্থ বৈধ করার সুযোগকে কালোটাকা সাদা করার বেআইনি সুযোগের ধারাবাহিকতা বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, বারবার সুযোগ দিয়েও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রত্যাশিত ফল বয়ে আনেনি। যাঁরা অর্থ পাচার করেছেন, তাঁরা এ ধরনের প্রণোদনায় উৎসাহিত হয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত নিয়ে আসবেন, এ রকম দিবাস্বপ্নের কোনো ভিত্তি নেই। অর্থ পাচারকে এভাবে লাইসেন্স দেওয়া হলে দেশে দুর্নীতি ও অর্থ পাচার আরও বিস্তৃতি পাবে। সূত্র: প্রথম আলো