a
ফাইল ছবি
আজ সোমবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুপুর ২টায় মহাখালী শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে টিকা নেবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৮ জুলাই ‘সুরক্ষা’ অ্যাপের মাধ্যমে করোনার টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন খালেদা জিয়া। রবিবার তার টিকা দেওয়ার ফিরতি এসএমএস আসে।
১৪ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ২৯ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৩ দিন চিকিৎসা শেষে ১৯ জুন গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ অবস্থান করছেন তিনি।
ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আবেদন করেনি। বিদেশ যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়াকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে সিঙ্গাপুর নিতে চায় তার পরিবার। করোনা আক্রান্ত খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের কেবিন থেকে সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে বিকাল সাড়ে ৪টায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু করেন। করোনা আক্রান্তের ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরে খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট করা হলে আবারও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সিটি স্ক্যান (চেস্ট), হৃদযন্ত্রের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে তাকে কারাগারে রাখা হয়। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর পরিবারের আবেদনে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ ‘মানবিক বিবেচনায়’ শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়।
ফাইল ছবি: প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পুতিন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে গেছে বড় বড় দু্ইটি ব্যাংক। ব্যাংক দেউলিয়ার পর এই ঘটনায় রীতিমতো চাপে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অন্য এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া সম্পর্কে প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর সেই প্রশ্ন শুনেই মাঝপথে সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রস্থান করেন তিনি।
আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এবং সিগনেচার ব্যাংক ইতোমধ্যেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। ২০০৮ সালে দুনিয়াজোড়া অর্থনৈতিক মন্দার পরে এটিকেই খুচরা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সব চেয়ে বড় ব্যর্থতা বলা হচ্ছে। এতে নড়েচড়ে বসেছে বাইডেন প্রশাসন। ফলে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তাকে।
এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “প্রেসিডেন্ট, কেন এমন বিপর্যয় ঘটল তা কি আপনি জানেন? এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলে কি আপনি আমেরিকানদের আশ্বস্ত করবেন?”
প্রশ্ন শোনা মাত্রই কোনও উত্তর না দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য দরজার দিকে হাঁটতে শুরু করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তখনও সাংবাদিকরার তাদের প্রশ্ন করা অব্যাহত রেখেছিল। ওই আরেক সাংবাদিকের প্রশ্ন, “আর কোনও ব্যাংক কি দেউলিয়া হওয়ার মুখে রয়েছে?” ততক্ষণে সাংবাদিক সম্মেলন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বাইডেন।
বাইডেনের এসব আচরণে জনমনে আশংকা, আফগানিস্তানের যুদ্ধের ময়দান থেকে আমেরিকার সেনারা যেভাবে প্রস্থান করে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন অনুরূপ, চীনা-তাইওয়ান ইস্যু, কোরিয়া দ্বীপে একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা, ইরান-সৌদির ঐতিহাসিক চুক্তিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কি অতি দ্রুত ইউক্রেন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার প্রতি মনোনিবেশ করতে পারেন।
ব্যাংক দেউলিয়ার প্রশ্নে বাইডেনের স্বভাবসূলভ দ্রুত প্রস্থান, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের যবনিকাপাতের কথাই মনে করিয়ে দেয়। সূত্র: ফক্সনিউজ