a
আসাদুজ্জামান খান কামাল । ফাইল ছবি
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা যাচ্ছেনা। কারণ সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ আইনে নেই।
রবিবার (৯ মে) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার আবেদন পর্যালোচনা করে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল রবিবার সকালে মতামতের জন্য কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে।
খালেদা জিয়া গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। গত ২৭ এপ্রিল তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। গত সোমবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।
ফাইল ছবি
সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে আজ শনিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে গণটিকা কার্যক্রম। আগামী ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ক্যাম্পেইন চালিয়ে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে।
গ্রাম, শহর ও দুর্গম এলাকার মানুষ ছয় দিনে পর্যায়ক্রমে টিকা পাবেন। এছাড়াও মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদেরও টিকা দেওয়া হবে।
টিকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম বলেছেন, ‘আপনারা দেখেছেন নানান জায়গা থেকে নানা মন্তব্য এসেছে। নানা বিষয় এসেছে। আমরা সে ব্যাপারগুলোর বিষয়ে সজাগ আছি। আমরা চেষ্টা করব, ভবিষ্যতে যাতে এই ব্যাপারগুলোর পুনরাবৃত্তি না হয়। তবে টিকা নিয়ে যা হয়েছে সেটার সবটুকুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের না।’
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাকক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আজ ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে টিকা ক্যাম্পেইন করে ৩২ লাখ মানুষকে করোনা ভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সি জনগোষ্ঠী এই টিকা পাবে। তবে এ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া এবার দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আবুল বাশার।
তিনি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সি অনেকের এনআইডি নেই। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, যদি এনআইডি ছাড়া ১৮ বছর বয়সিদের টিকার আওতায় আনতে যাই, মাঠে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, সেটা আমরা সামাল দিতে পারব না। সে জন্য অনেক আলোচনা করে আমরা ঠিক করেছি বয়সসীমা ২৫ বছর হবে। আমরা চিন্তা করেছিলাম, যদি আমরা ম্যাসিভ আকারে ক্যাম্পেইন না করতে পারি বা মানুষের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করতে না পারি, তাহলে সারা দেশে যেখানে আমাদের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে, এত মানুষকে আমরা কীভাবে কাভার করব? এটা পাইলট প্রজেক্ট বলা যেতে পারে। আমরা নিজেদের সক্ষমতা যাচাই করতে চাই। আমরা দেখতে চাই, আমাদের লোকেরা, প্রান্তিক পর্যায়ে এক দিনে কী পরিমাণ টিকা দিতে পারেন।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর গুলিস্তান ফুলবাড়িয়ারন এক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে দুই শতাধিক। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়ার এক পাঁচ তলা ভবনে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ভবনের দেয়াল ও জানালার গ্লাস রাস্তায় ভেঙে পড়লে অনেকে আহত হন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কমপক্ষে ১৮ জনের লাশ রাখা হয়েছে। আর ২০০ জনের বেশি মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে ১০০ জনের বেশি মানুষকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহতদের তালিকা:
১. মো. সুমন (২১), ১ নং সুরি টোলা, বংশাল ঢাকা, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা থানা।
২. মো. ইসহাক মৃধা (৩৫), কাজির হাট, বরিশাল। ইসলামপুরে কাপড়ের ব্যবসা করতেন।
৩. মো. মুনসুর হোসেন (৪০), পশ্চিমপাড়া যাত্রাবাড়ী।
৪. মো. ইসমাইল (৪২), ৯৭ লুৎফর রহমান লেন, আলু বাজার।
৫. মো. আল আমিন (২৩), পশ্চিম লালপুর, মতলব, চাঁদপুর। আলামিন বিবিএ শিক্ষার্থী বলে তার ভাই হাবিবুর রহমান জানান।
৬. মো. রাহাত হোসেন (১৮), মাস্টার বাড়ি, দক্ষিণ চুনকুটিয়া, কেরানীগঞ্জ।
৭. মমিনুল ইসলাম (৩৮), ১১৫/৭/৫ ইসলামবাগ, চকবাজার।
৮. নদী বেগম (৩৬), ১১৫/৭/৫ ইসলামবাগ, চকবাজার থানা।
৯. মো. মাঈন উদ্দিন (৫০), গ্রাম-সৈয়দপুর, মুন্সিগঞ্জ সদর।
১০. নাজমুল হোসেন (২৫), ৪৭ নং কে পি ঘোষ স্ট্রিট, বংশাল।
১১. ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), চর বেউথা গ্রাম, মানিকগঞ্জ সদর।
১২. আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), মুন্সিগঞ্জ, গজারিয়া, বালুয়া কান্দি।
১৩. আকুতি বেগম (৭০), ১৮/১ আগামাসি লেন, বংশাল।
১৪. মো. ইদ্রিস মির (৬০), মীর হাজারীবাগ যাত্রাবাড়ী,
১৫. নুরুল ইসলাম ভূইয়া (৫৫), মাতুয়াইল, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
১৬. মো. হৃদয় (২০), সিদ্দিক বাজার জাবেদ গলি, বংশাল।
১৭. মো. সম্রাট (২২)
১৮ মোহাম্মদ সিয়াম (২০)
ঢাকা মেডিক্যালে থাকা এক প্রতক্ষদর্শী জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে আহত রোগীদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য ২৫ জনের বেশি চিকিৎসক বাড়িয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা আহতদের রক্ত দেওয়া সহ চিকিৎসা কাজে নানা ধরনের সহযোগিতা করছেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক গণমাধ্যমকে জানান, ‘ভবনে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১৬ জন হয়েছে। আর আহত ২০০ জনের বেশি হবে। বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে সিদ্দিক বাজারে বিআরটিসি বাস কাউন্টারের পাশে একটি ভবনে খুব ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা আহতদের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’ সূত্র: ইত্তেফাক