ঢাকা শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
https://www.msprotidin.com website logo

সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু আর নেই


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১, ০৫:৫২
সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু আর নেই

ফাইল ছবি

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু মারা গেছেন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকালে সিএমএইচে তিনি মারা যান। তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ মার্চ সকালে সিএমএইচে ভর্তি হন তিনি। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ২৫ মার্চ রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থায় উন্নতি হওয়ায় ৩১ মার্চ কেবিনে দেওয়া হয়।

এরপর তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। গত ১ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু হঠাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৬ এপ্রিল তাকে ফের আইসিইউতে নেওয়া হয়। তারপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

গত ১২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল মতিন খসরু। তিনি বিএনপি সমর্থক প্রার্থী ফজলুর রহমানকে পরাজিত করেন।

গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নবনির্বাচিত কমিটির কাছে সুপ্রিম কোর্ট বারের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকায় নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু অংশ নিতে পারেননি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ সালে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিন খসরু। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে মোট ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ৭ম সংসদে (১৯৯৬-২০০১) আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সংসদে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আবারও স্থগিত


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৪
স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান আবারও স্থগিত

ফাইল ছবি

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ার কারণে স্বাধীনতা পদক প্রদান অনুষ্ঠান আবারও স্থগিত করা হয়েছে। ফলে আগামী ১১ এপ্রিলও পদক প্রদান অনুষ্ঠান হচ্ছে না।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, আসছে ১১ এপ্রিল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পূর্বনির্ধারিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়।

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ২০২১ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাবেন। গত ৭ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে গেলো ২৪ মার্চ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৪ মার্চের অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। সে সময় নতুন সময় নির্ধারণ করা হয় ১১ এপ্রিল।

কিন্তু করোনার পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় তা আবারও পিছিয়ে গেল।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রত্যেক বছর এ পুরস্কার প্রদান করে আসছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়ের মানববন্ধন


সাইফুল, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৩ জুন, ২০২৩, ১১:১০
৪ দফা দাবিতে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়ের মানববন্ধন

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

বেকারদের জন্য পর্যাপ্ত হোস্টেল তৈরি, ভাতা প্রদান, চাকরির আবেদন ফি বাতিল এবং সহজ শর্তে ঋন প্রদানসহ ৪ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়। শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বেকারদের এ সংগঠন।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়ের নেতাকর্মীরা চার দফা দাবি জানান। তাদের দাবি গুলো হল-

১. ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে পর্যাপ্ত বেকার হোস্টেল করতে হবে এবং প্রত্যেক বেকারকে বেকার ভাতা দিতে হবে।

২. সকল চাকরির আবেদন ফি ও বিশ্ববিদ্যালয় এর আবেদন ফি বাতিল করতে হবে। 

৩. ৩য় এবং ৪র্থ শ্রেণির চাকরিতে (১১-২০ গ্রেড) পিএসসি'র আদলে জাতীয় নিয়োগ বোর্ড গঠন করে নিয়োগ দিতে হবে। 

৪. বেকারকে উদ্যোক্তা তৈরিতে সহজ শর্তে ঋণ দিতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বৃদ্ধি করতে হবে।

এসময় ৪ দফা দাবির যৌক্তিকতা বুঝিয়ে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায় এর সভাপতি মো: আল কাওছার মিয়াজী বলেন, 'ঢাকাসহ প্রত্যেক বিভাগ ও জেলা শহরে বেকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আবাসন সমস্যা। বেকার বা ব্যাচেলরদের বাড়িওয়ালারা বাসা ভাড়া দিতে চায়না, আর দিলেও হাজারো শর্ত জুড়ে দেয় এবং বাসা ভাড়া কয়েকগুন বেশি দিতে হয়। বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশে বেকারদের জন্য বেকার হোস্টেল রয়েছে। বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন। তাই বর্তমানে সময়ের প্রয়োজনে বাংলাদেশেও বেকার হোস্টেলের কোন বিকল্প নেই।' 

কাওছার মিয়াজী আরো বলেন, 'বেকারদের জন্য বিশ্বের প্রত্যেক দেশে বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকলেও কেবল বাংলাদেশই হচ্ছে একমাত্র ব্যতিক্রম, যেখানে বেকার ভাতা তো দূরের কথা এখানে বেকারদেরকে হেয় করে দেখা হয়। এ কারণেই প্রত্যেক বছর অনেক বেকারকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়। বাংলাদেশে যদি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৈশাখী ভাতা ইত্যাদি চালু থাকতে পারে তাহলে বেকার ভাতা কেন নয়? তাই উন্নত বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বেকার ভাতা চালু করতে হবে।'

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল আলম সরকার বলেন, 'বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে চাকরিতে আবেদনের কোন ফি নেওয়া হয় না। সেখানে বাংলাদেশ যেন আবেদন ফি নেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি আবেদন ফি ব্যতীত পরীক্ষা নিতে পারে, তাহলে ব্যাংক, মন্ত্রণালয়ে বা দপ্তরে কেন ফি নিতে হবে? সময় এসেছে পরিবর্তনের। যেহেতু তাদের প্রয়োজনে তারা নিয়োগ দিবে। সুতরাং পরীক্ষার ব্যায় তাদেরকেই বহন করতে হবে।'

সহ-সভাপতি মো: সবুজ হাওলাদার বলেন, 'একদিনে একজন চাকরী প্রার্থী সর্বোচ্চ একটি বা দুটি পরীক্ষা দিতে পারে।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে' আমাদের দেশের মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কোন সমন্বয় না থাকায় একই দিনে ২০, ২৫ এমনকি ২৬টি পরীক্ষা নেওয়ার নজির রয়েছে।'

সাংগঠনিক সম্পাদক মো: অসীম নায়েক বলেন, 'শিক্ষাকে যদি জাতির মেরুদন্ড বলা হয়ে থাকে তাহলে শিক্ষার মেরুদন্ড হলো বিশ্ববিদ্যালয়। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার মানে পিছিয়ে থাকলেও ভর্তির আবেদন ফি নিতে মোটেও পিছিয়ে নেই।' 

এছাড়াও মানববন্ধনে আরো বক্তব্য প্রদান করেন, মো: আসাদ আলী খান, মো: কামরুল ইসলাম, মো: সাইদুল ইসলাম, মোঃ মিজানুর রহমান, মো: সাদেকুল ইসলাম, বঙ্কিম চন্দ্র সরকার, অহিদুল ইসলাম ফয়সাল, শ্রী পবিত্র কুমার রায়, মো: মেহেদী কাওছার, মোছা: রওশন আক্তার পিংকি, কোহিনুর আক্তার, মোছা: শায়লা আনাম, মো: মাসুম বিল্লাহ, মো: লোকমান হোসেন, মো: মোসলিম মিয়া এবং জোবায়ের আলম সৈকত প্রমুখ।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook