a
ফাইল ছবি
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৫৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
তালিকায় যদিও ঢাকার স্কোর ২৫৩, তবে ওই সময় রাজধানীর আইসিডিডিআর’বি এলাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ‘বিপজ্জনক’বা দুর্যোগপূর্ণ। একিউআই’র ওয়েবসাইটে সে সময় ওই এলাকার স্কোর দেখা যায় ৩৯৬, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
এদিকে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দেখা যায়, বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের হ্যানয়, শরটির স্কোর ২১১। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই,শহরটির স্কোর ২০৩। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই (১৯৭)। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, স্কোর ১৮৮।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। সূত্র: আইকিউ এয়ার
ফাইল ছবি
মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ১০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে।
শনিবার সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমন তথ্য জানান।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয় এবং প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। নুরুন্নবী চৌধুরী তার প্রশ্নে দেশের মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা জানতে চাওয়ার পাশাপাশি কতজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা জানতে চান।
জবাবে আ ক ম মোজাম্মেল হক জানান, দেশে গেজেটধারী বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে যাদের নাম বেসামরিক গেজেটে প্রকাশিত হয়েছিল যাচাই-বাছাই করে প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন অন্তর্ভুক্তি এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিদের নাম বাতিল সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সরকার দলের বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ইস্যুকৃত সাময়িক সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল সনদ (স্থায়ী সনদ) এবং জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনুকূলে ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিজিটাল সনদ তৈরি সম্পন্ন হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একযোগে বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ফাইল ছবি
টানা তিন দিন মাঠে থাকবে বিএনপি। অবিলম্বে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আজ সারা দেশে লিফলেট বিতরণ এবং শনিবার সব মহানগর ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা।
এছাড়া ‘অবৈধ, লুটেরা ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে’ শুক্রবার যুগপৎ আন্দোলনের ধারায় ঢাকা মহানগরসহ সব মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে। এসব কর্মসূচি সফল করতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে আজ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের প্রতিটি সাংগঠনিক থানায় লিফলেট বিতরণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও অংশ নেবেন। শুক্রবার ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি গণমিছিল শুরু করবে বেলা ৩টায় গুলশান-২ থেকে। গুলশান-১, তিতুমীর কলেজ হয়ে মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে।
একই সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি রাজধানীর দয়াগঞ্জ থেকে গণমিছিল শুরু করবে। গণমিছিল সায়েদাবাদ ব্রিজ, ধলপুর কমিউনিটি সেন্টার, গোলাপবাগ, কমলাপুর, বৌদ্ধমন্দির হয়ে খিলগাঁও, শাজাহানপুর, ফকিরাপুল হয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হবে।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকায় পদযাত্রা শুরু হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের জনগণ সরকারের পদত্যাগ চায়। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। দাবি আদায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আন্দোলনে আছি। ঢাকা মহানগরের কর্মসূচিতে মানুষের ঢল নামবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন বলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই, এখন অস্তিত্বের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেতাকর্মীরা ঘরে থাকলেও মামলা-হামলা, গ্রেফতার, গুম আর হত্যার শিকার হন। কবরে গিয়েও গায়েবি মামলা থেকে রেহাই পান না।
এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য যে কোনো আন্দোলনে, যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছেন।’ সূত্র: যুগান্তর