a
ফাইল ছবি
জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। আজ (শুক্রবার) রাত ১২টা থেকেই কার্যকর করা হবে।
নতুন দাম অনুযায়ী- প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিন ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রল ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১০টায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি/ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিগত ছয় মাসে (২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রয়ে (সব পণ্য) ৮০১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয়ও অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল।
আজই রাজধানীর বারিধারায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তেলের দাম বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।তিনি বলেন, ‘যেহেতু বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম ঊর্ধ্বমুখী, সেই জায়গায় আমাদের খুব চিন্তাভাবনা করতে হবে। এটার সরাসরি প্রভাব পড়ে জনগণের ওপর। ডিজেল, পেট্রল, অকটেন- এগুলো যেন একটা সহনীয় পর্যায়ে থাকে। দেশ ও দশের কথা চিন্তা করে আমরা একটা অ্যাডজাস্টমেন্টে যাব।’
এ সময় তিনি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে মিল রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিতভাবে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার পক্ষে মত দিয়ে বলেন, ‘যদি বাড়তির দিকে থাকে, তবে বাড়তি, যদি কমতির দিকে থাকে তাহলে কমতির দিকে। এখন যেহেতু বাড়তির দিকে, তাই পার্শ্ববর্তী দেশ ও বিশ্বের অবস্থা বিবেচনায় একটা অ্যাডজাস্টমেন্ট হওয়া উচিত। যদি বিশ্ববাজারে দাম কমে আসে, আমরাও চেষ্টা করব সেই অনুযায়ী দাম কমাতে।’ সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে আগামী দু'দিনে বৃষ্টিপাত কমবে। এরপর আবারও বাড়বে। সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) এমন আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিম বঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এই অবস্থায় মঙ্গলবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভবে মাঝারী ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কিঃ মিঃ।
আগামী দু'দিনে বৃষ্টিপাত কমার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এরপর পাঁচদিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শনিবার থেকে দিনের বেলায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল একেবারে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সীমিত পরিসরে জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি ফেরি চলবে। রাতে চলা ফেরিগুলো শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়াত আহম্মেদ। শুক্রবার রাতে তিনি জানান, ‘ঈদ ঘিরে দিনের বেলায় ফেরিতে ঘরমুখী যাত্রীর চাপ খুব থাকে। আপাতত কাল (শনিবার) সকাল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডব্লিউটিসি ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে সাধারণত ১৬টি যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে পারপার হয়। কিন্তু লকডাউন থাকায় ১৪ এপ্রিল থেকে সীমিত করা হয় ফেরি চলাচল। লকডাউনের শুরুতে দিনের বেলায় ২ থেকে ৩টি ফেরি ছাড়া হলেও শুক্রবার থেকে যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের চাপ বেশি থাকা প্রায় সব কয়টি ফেরি চলাচল করে আগের মতো।
এসব ফেরিতে সাধারণ যাত্রীরাই বেশি পারাপার হতে দেখা যায়। এ কারণে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফেরিঘাট সূত্রে জানা যায়, যাত্রীদের চাপের কারণে শিমুলিয়া থেকে ফেরিটিতে কোনো গাড়ি উঠতে পারেনি। প্রায় ১২০০ যাত্রী নিয়ে ফেরিটি যাত্রা করে। হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়েই পদ্মা নদী পারি জমান।
এসময় অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। আবার কারও মাস্ক থাকলেও নামানো ছিল থুতনিতে। ফেরিতে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে পার হয়েছেন নদী। এসব পরিস্থিতি দেখে করোনা সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।