a দুর্বল হলেও ভারতে আঘাত হানল ‘অশনি’, ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে
ঢাকা শুক্রবার, ৩ আশ্বিন ১৪৩২, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দুর্বল হলেও ভারতে আঘাত হানল ‘অশনি’, ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১২ মে, ২০২২, ০৮:২২
দুর্বল হলেও ভারতে আঘাত হানল ‘অশনি’, ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে

ফাইল ছবি

অনেকটা দুর্বল হয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। বুধবার মধ্যরাতে রাজ্যটির উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঝড়টি। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বুধবার মধ্যরাতে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় অঞ্চল মাছিলিপটনম ও নার্সাপুরাম এলাকায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আগেই দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেওয়ায় খুব একটি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে।

অন্ধ্রপ্রদেশের জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার মতে, ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে উপকূলে আছড়ে পড়ে অশনি। এরপর শুরু হয় ভারি বৃষ্টিপাত। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে বৃহস্পতিবারও মানুষজনকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলেদের সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
 
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, অশনির প্রভাবে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা না থাকলেও অনেক জায়গায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা।

এদিকে অশনির কারণে পশ্চিবঙ্গ থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

কারিগরি ত্রুটিতে আবারও বন্ধ রয়েছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ০৪ জুলাই, ২০২৩, ০১:০৫
কারিগরি ত্রুটিতে আবারও বন্ধ রয়েছে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র

ফাইল ছবি

কয়লাসংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে কেন্দ্রটির ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকশন সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। ত্রুটি সনাক্তের পরপরই উৎপাদন বন্ধ করে দেন প্রকৌশলীরা। বর্তমানে মেরামতকাজ চলছে। ঠিক হতে আরো তিন দিন সময় লাগতে পারে। এর আগেও বয়লারের টিউব ফেটে যাওয়া এবং কুলিং হিটারে ছিদ্রসহ কিছু কারিগরি কারণে একাধিকবার কেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছে। তবে কয়লা নিয়ে আপাতত কোনো সংকট নেই।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসিএল)। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে নির্মাণাধীন কেন্দ্রটির প্রতি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ৬৬০ মেগাওয়াট। মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি)  সমান মালিকানা রয়েছে। 

কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে সমান ৫০ শতাংশ অংশীদারিত্বে গঠিত বিআইএফপিসিএল। এর নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস লিমিটেড (ভেল)। ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।

বিআইএফপিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাঈদ একরামুল্লাহ জানান, ইন্সপেকশন ও মেইনটেন্যান্সের কাজের জন্য ৩০ জুন রাতে আমরা উৎপাদন বন্ধ করেছি। ৪, ৫ অথবা ৬ জুনের দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করা যাবে।

বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, গত ১৫ আগস্ট রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট (৬৬০ মেগাওয়াট) জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। ঐ দিনে গ্রিডে ৯১ দশমিক ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত কেন্দ্রটি। তবে বেশি দিন বিদ্যুৎ উৎপাদন রাখা যায়নি। গত ২৪ অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাত থেকে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়। প্রায় এক মাসশেষে গত ২৪ নভেম্বর পুনরায় পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। 

ন্যাশনাল লোড ডেসপাস সেন্টার (এনএলডিসি) রিলায়েবিলিটি রান টেস্টের অনুমোদন দেয় ১১ ডিসেম্বরে। ১৭ ডিসেম্বরে এতে পূর্ণ সক্ষমতায় অর্থাত্ ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রথম উৎপাদিত হয়। কেন্দ্রটি পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারবে কি না তা যাচাইয়ের জন্য টানা ৭২ ঘণ্টা ফুল লোডে চালু রেখে যাচাই করার শর্ত ছিল। ১৯ ডিসেম্বর  রাত ১২টা থেকে ২৩ ডিসেম্বর রাত ৪টা পর্যন্ত পূর্ণ সক্ষমতায় টানা ৯০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কেন্দ্রটি। দ্বিতীয় ইউনিট এখনো উৎপাদনে আসেনি। সরকারের ফাস্ট ট্র্যাকে থাকা নির্মাণ প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো শেষ হয়নি। সূত্র: ইত্তেফাক
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সমাজে শালিস ও বিচারের মাধ্যমে মামলা কমানো সম্ভব: প্রধান বিচারপতি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ০৪:০৭
সমাজে শালিস ও বিচারের মাধ্যমে মামলা কমানো সম্ভব: প্রধান বিচারপতি

ফাইল ছবি: প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান


প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, সমাজে শালিস ও বিচারের মাধ্যমে মামলা কমানো সম্ভব। এজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে নাটোর জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন্তা করেছেন যে, দেশের সকল মানুষের আইনের আশ্রয়ের অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার প্রয়োগ করতে মানুষ আসেন। সেই কষ্ট দূর করতে এ বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে ৬৪ জেলায় এই বিশ্রামাগার নির্মাণের প্রজেক্ট হাতে নেওয়া হয়েছে। এক-দুইটি ছাড়া প্রায় সবগুলো সম্পন্ন হয়েছে।

এসব বিশ্রামাগারে বিচারপ্রার্থীরা এসে সময় কাটাতে পারবেন। আগে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বিশ্রামাগার ছিল না। বিচারপ্রার্থীরা এসে বাড়ি চলে যেত। কোথাও বসার জায়গা ছিল না। এখন তারা ইচ্ছা করলেই বসে বিশ্রাম নিতে পারবেন। অনেক সময় বিচার কাজ হতে দেরি হয়, সেক্ষেত্রে বিচারপ্রার্থীরা বিশ্রামাগারে বসে সময় কাটাতে পারবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল হাসান বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করছি মামলা শেষ করতে। সমাজে কিছু হলেই আমরা দৌড়ে মামলা করতে চলে যাই। যদি এটা কমে যায়, তাহলে অনেক অংশে মামলা কমে যাবে। এত মামলা শেষ করতে পারেন না বিচারকরা। প্রতি বছর ১০০ বিচারক নিয়োগ করা হয়। একজন বিচারক নিয়োগের পর মামলা বিষয়ে জানতে হয়, দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সময় লাগে। একটি পরিসংখ্যানে দেখেছি, তারা প্রতি বছর নতুন দায়েরকৃত মামলা ৮০% শেষ করতে পারেন। বাকি ২০% থেকে যায়। যদি মামলা দায়ের প্রবণতা না কমে, তাহলে মামলা কোনো দিনই শেষ হবে না। সমাজে কোনো ঘটনা দ্রুত মামলা দায়ের না করে সামাজিক শালিস ও বিচারের মধ্য দিয়ে মীমাংসা করলে কমে যাবে।

তিনি বলেন, আগের দিনে মানুষ সমাজে বিচার-শালিসের মাধ্যমে ঘটনা নিষ্পত্তি করতো। তুচ্ছ ও সাধারণ ঘটনা নিয়ে আমরা মামলা দায়ের করব না। তাহলে মামলার সংখ্যা কমে আসবে। এজন্য সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এসময় নাটোর জেলা ও দায়রা জজ অম্লান কুসুম জিষ্ণু, নাটোরের জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা, পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম, নাটোর জজ কোর্টের পিপি মো. সিরাজুল ইসলাম, নাটোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি রুহুল আমিন টগর, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মশিউর রহমানসহ জেলার সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়