a
সংগৃহীত ছবি
দেশে প্রবণতা বাড়ছে ভূমিকম্পের। সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে সিলেট। গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্যহারে সিলেটে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। সিলেটের ঘন ঘন ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সারাদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, বড় ধরনের ভূমিকম্পের আগে বা পরে এমন ছোট ছোট ভূকম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের অন্যতম প্রধান কারণ হলো ভূত্বকীয় পাত (টেকটনিক প্লেট)। বাংলাদেশ তিনটি প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে। বার্মিজ ও ইন্ডিয়ান প্লেটের মধ্যে অবস্থান করছে সিলেট। সিলেটের উত্তরে রয়েছে ডাউকি ফল্ট। টেকটনিক প্লেটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমা হচ্ছে এবং এই জমে থাকা শক্তিই ভূমিকম্পের মাধ্যমে বের হয়ে আসে।
নেচার জিওসায়েন্স জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মানচিত্র অনুযায়ী, সিলেট ও চট্টগ্রাম উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল।
বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের গবেষকরা বলছেন যে, কক্সবাজার, সিলেট, রাঙামাটি, বান্দরবান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম জেলা মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল সর্বাপেক্ষা কম ঝুঁকিপূর্ণ। ডাউকি ফল্ট বা সিলেট থেকে চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চল গত ৫০০ থেকে এক হাজার বছরে বড় ধরনের কোনো ভূমিকম্প হয়নি। যার ফলে সাম্প্রতিক ভূমিকম্পগুলো বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মে সাতবার এবং ৩০ মে একবার সিলেটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সোমবার (৭ জুন) দেড় মিনিটের মধ্যে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে আন্দোলন করেছিলেন মোদি
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশের জনগণের মতো ভারতের জনগণের মধ্যেও স্বাধীনতার আকুলতা ছিল মন্তব্য করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আমাদের যারা শত্রু তারাও বাংলাদেশের শত্রু। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমর্থনে আমি ও আমার বন্ধুরা সত্যাগ্রহ (আন্দোলন) করেছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আমার সঙ্গে এখানে আছেন। আমার জীবনের প্রথম আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধ। তখন আমার বয়স ছিল ২০-২২ বছর।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দিতে পারা ভারতের জন্য গর্বের ব্যাপার। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে উপস্থিত থাকা এবং এমন একটি পুরস্কার তুলে দিতে পারা আমার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ জোরালো কণ্ঠস্বরে উচ্চারণ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এর পর শুভেচ্ছা বার্তা দেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে নরেন্দ্র মোদির হাত থেকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন শেখ রেহানা।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি পৌঁছার পর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ফাইল ছবি
পূর্ব জেরুজালেমের শেখ জাররাহ এলাকার বাসিন্দা ফিলিস্তিনি আন্দোলনকর্মী সেই দুই ভাই-বোনকে মুক্তি দিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। আটকের কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য দেয়। খবর আল-জাজিরার
খবরে বলা হয়, ২৩ বছর বয়সী দুই আন্দোলনকর্মীর নাম মুনা আল-কুরদ ও মোহাম্মদ আল কুরদ। তারা শেখ জাররাহতে চলমান ফিলিস্তিনি আন্দোলনের সম্মুখসারির কর্মী।
ইসরায়েলি পুলিশ হেফাজত থেকে মুক্তির পর মুনা আল-কুরদ বলেন, ‘আমাদের আতঙ্কিত করতে এবং ভয় দেখাতে দখলদাররা যাই করুক না কেন এবং যতোবার গ্রেফতার করুক, তাতে আমরা ভীত নয়। আমরা আমাদের বাড়িতে থাকব এবং আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠার ভূমি রক্ষায় প্রতিরোধ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
মুনার ভাই মোহাম্মদ আল কুরদ বলেন, ‘আমরা মোটেও ভীত নয়। আমরা সব অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে যাব এবং আমাদের বাড়ি ও ভূমি রক্ষায় আরও তৎপর থাকব।’
এর আগে রোববার (৬ জুন) মুনা ও মোহাম্মদকে আটক করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি পুলিশ। শেখ জাররাহ আন্দোলনের পেছনে তাদের উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ করে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ।
মুনা আল-কুরদকে আটকের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। তাতে দেখা যায় মুনাকে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি পুলিশ। এসময় মুনা তার পরিবারকে ভয় না পেয়ে আরও শক্ত হতে বলতে শোনা যায়।