a
ছবি সংগৃহীত: নতুন বর্ষবরণ ২০২৫
নিউজ ডেস্ক: বিদায় আরও একটি বছর। সঙ্গে নতুন সব আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শুরু হলো নতুন বছর ২০২৫। পুরানো বছরকে বিদায় দিয়ে দু:খ-বেদনা দূরে রেখে নতুন উদ্যোমে, নতুন প্রত্যাশায় নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছি দেশবাসী।
গতকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজতেই অবিরত আতশবাজির ঝলকানিতে বর্ণিল হয়ে ওঠে রাজধানীর সুউচ্চ ভবনের ছাদগুলো। পাশাপাশি ফুটতে থাকে পটকা। শব্দে প্রকম্পিত হয়ে যায় সারা ঢাকা শহর। অনেকে ভয়ে ঘরের দরজা-জানালা আটকিয়ে বসে থাকেন দূর্ঘটনা এড়াতে।
যদিও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার থার্টি ফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিল। এর মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকায় যে কোনো ধরনের আতশবাজি, পটকা ফোটানো ও ফানুস উড়ানো নিষিদ্ধ করা হয় কিন্তু তা মানেনি ঢাকাবাসী।
বিধিনিষেধ থাকলেও রাজধানীবাসী মহাধুমধামে আবার কোথাও স্বল্প পরিসরে আয়োজন করছে পার্টি। অনেকে বাসার ছাদে বারবিকিউ পার্টি আর কেক কাটাসহ বিভিন্ন ধরণের আয়োজনে মেতেছে।
তবে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কঠোর নজরদারি রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। টহলের পাশাপাশি রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে তল্লাশি চালিয়েছে। আবার কোথাও কোথাও যান চলাচল কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
নতুন বছর-২০২৫ উপলক্ষ্যে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বাণীতে ড. ইউনুস বলেন, নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়। নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক এই কামনা করে তিনি বলেন, খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৫ সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
ছবি সংগৃহীত
রাত পোহালেই পহেলা বৈশাখ। নতুন বছরকে বরণের আয়োজন করতে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলা বা নাশকতার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রমনা বটমূলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশ, র্যাবসহ গোয়েন্দা বাহিনী সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। টিএসসি, শাহবাগ, রমনা, হাতিরঝিলসহ যেসব জায়গায় জনসমাগম হবে, সেখানে র্যাবের পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন থাকবে।’
বৈশাখের অনুষ্ঠানে নারীদের হেনস্তা ঠেকানো প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে হয়রানি, নারীদের উত্ত্যক্তের বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকবে র্যাব। কারণ, প্রতিবারই জনসমাগমস্থলে নারীদের হেনস্তার ঘটনা ঘটে। এ জন্য ইভটিজিং রোধে র্যাবের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।’
র্যাবের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বৈশাখের অনুষ্ঠান ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। তারপরও জঙ্গিদের যে কোনো তৎপরতা নস্যাৎ করে দিতে র্যাব প্রস্তুত রয়েছে।’ সূত্র: ইত্তেফাক
ছবি: আবছার উদ্দীন চৌধুরী
এত কি প্রশ্ন?
অধিকারের খোঁচাই বা কেন?
এখন আমার সব অধিকার তোমার দখলে!
তুমিই অধিশ্বরী! তোমার রাগ! অভিমান!প্রত্যাশা যখন!
আকাশচুম্বী। অধিকার ও হয়ে যায়! আইফেল টাওয়ার।
এত কি প্রশ্ন?
ভালবাসার খোঁচাই বা কেন?
আমার সব ভালবাসা!তোমার আঁচলে বন্দী!
তুমিই ভাগ্যবতী! আমার উপলব্ধি!তোমার আত্মবিশ্বাস!
তুমি ছিলে, আমার অনুভূতি! কোথাও কম পড়েছে কি?
এত কি প্রশ্ন?
অভিমানের খোঁচাই বা কেন?
তোমার রাগ অভিমান! আমার জীবন সর্বস্ব!
তুমিই রাজলক্ষী! তিলকহীন এই রাগ ভাঙ্গানোর সৈনিক
প্রচেষ্টা সারারাত! জমানো সব হোম ওয়ার্ক থাকে বাকী!
আর কোন প্রশ্ন নাই! যদি বল জীবনটা ও রাখব বাজী!