a পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
ঢাকা সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল, ২০২১, ০৪:০৭
পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।

আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার পর পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতির প্রতিবেদন তুলে ধরেন। 

আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এই বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। তাহলে আপনি কেন এসেছিলেন? এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও একজন চিকিৎসক। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও অনেক চিকিৎসক রয়েছেন।

আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়াও ঠিক হয়নি। দুটি পেশাজীবী সংগঠনের মাঝে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়।
 
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 
ব্যাপক আকারে প্রচার হয়।  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ফখরুল সাহেব নির্বাচনে আসুন, নয়তো আম-ছালা দুটোই হারাবেন: কাদের


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৭ আগষ্ট, ২০২৩, ০৮:৪৪
ফখরুল সাহেব নির্বাচনে আসুন, নয়তো আম-ছালা দুটোই হারাবেন: কাদের

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘পৃথিবীর একটা দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রয়েছে, পাকিস্তানে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলব, আপনি তত্ত্বাবধায়ক চাইলে পাকিস্তানে চলে যান। না হয় তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছেড়ে নির্বাচনে আসুন। নয়তো আম ও ছালা দুটোই হারাবেন।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সতর্ক থাকবেন। আগুন নিয়ে বিএনপি-জামায়াত আবারো সন্ত্রাস চালাতে পারে।

‘তাদের (বিএনপির) আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে, এই টাকা কোথা থেকে আসে’- এ প্রশ্নও তুলেছেন কাদের।

বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশে’ তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল বিএনপি- এমন অভিযোগ করে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘হাজারো নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। কী অত্যাচার তাদের ওপর করা হয়েছে! বিএনপি এখনো প্রকাশ্যে রাজনীতি করছে। তাদের আন্দোলনে হাজার হাজার কোটি টাকা আসছে। এই টাকা কোথা থেকে আসে?’

তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব ইতিহাস ভুলে গেছেন? আজকে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল যখন বলেন- আওয়ামী লীগ নাকি জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। দিনের আলোতে যাদের চক্ষু লজ্জা নেই তারা অন্ধকারে বলতে পারে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ মাসটি আমাদের জন্য রক্তক্ষরণের মাস। এ মাসে আমাদের বেদনা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। এই মাসে ভয়াল ট্র্যাজেডির স্মৃতি আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের আন্দোলন, আমাদের সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর আত্মহত্যা, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বিশ্বস্ত ঠিকানার নাম শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কোথায় থেকে কোথায় নিয়ে এসেছেন? ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ আজকের বাংলাদেশ। অন্ধকার থেকে আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা। এখানে মানুষ অভাব অনটনে থাকত, এখানকার মানুষ অন্ধকারে থাকত, সেই বাংলাদেশকে আজকে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক,  মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশে ৩১ ঘণ্টায় ৪ বার ভূমিকম্প ও আমাদের করনীয়


বিশেষ প্রতিনিধি, নিউজ ডেস্ক
রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৮:৫৪
বাংলাদেশে ৩১ ঘণ্টায় ৪ বার ভূমিকম্প ও আমাদের করনীয়

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্কঃ রাজধানী ঢাকায় ও আশপাশের এলাকায় মাত্র ৩১ ঘণ্টার মধ্যে চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু করে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই ধারাবাহিক কম্পন ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের কাছে নতুন সতর্কবার্তা যে, বাংলাদেশ বড় ধরনের ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।

দুই সেকেন্ডে রাজধানীতে দুটি ভূমিকম্পঃ
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, প্রথমটি অনুভূত হয় সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭। এর এক সেকেন্ড পর—৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে—আরও একটি ভূমিকম্প হয়, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ৩ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল বাড্ডায়। আর ৪ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে।

এর আগে একইদিন সকালে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

গতকাল ২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত এবং ছয় শতাধিক মানুষ আহত হন। আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়া, ভবন হেলে যাওয়া ও ফাটল সৃষ্টি হওয়ার মতো অনেক ঘটনা ঘটে। সবচেয়ে বেশি—৫ জনের মৃত্যু হয় নরসিংদীতে; ঢাকায় মারা যায় ৪ জন এবং নারায়ণগঞ্জে ১ জন।

পরপর ৪ বার ভূমিকম্প হওয়ার যেসব ইঙ্গিত দিচ্ছেঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পগুলো একটি বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস। ভূতাত্ত্বিকরা দীর্ঘদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন যে বাংলাদেশ একটি সক্রিয় প্লেট সীমান্তে অবস্থান করছে, যেখানে যেকোনো সময় বড় ধরনের কম্পন ঘটতে পারে।

বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্পের প্রধান উৎস দুটো। এর একটি হলো ‘ডাউকি ফল্ট’, যা ভারতের শিলং মালভূমির পাদদেশে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ-জামালগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলে বিস্তৃত যা প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ।

আরেকটি হলো- সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, টেকনাফ পর্যন্ত যা সব মিলিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই উৎসটিকে খুব ভয়ংকর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

টেকটনিক প্লেটে বাংলাদেশের যে অবস্থান তাতে দুটো প্লেটের সংযোগস্থল রয়েছে- পশ্চিমে ইন্ডিয়ান প্লেট আর পূর্ব দিকে বার্মা প্লেট। আর বাংলাদেশের উত্তরদিকে আছে ইউরেশিয়ান প্লেট।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার গণমাধ্যমে বলেন, ‘ভারতীয় প্লেটটি ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বার্মা প্লেটের নিচে অর্থাৎ চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রামের নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। তলিয়ে যাওয়ার কারণে একটা সাবডাকশান জোনের তৈরি হয়েছে। আর নটরিয়াস (ভয়ংকর অর্থে) এই জোনের ব্যাপ্তি সিলেট থেকে টেকনাফে বিস্তৃত। পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল এর মধ্যে পড়েছে। এখানে বিভিন্ন সেগমেন্ট আছে। আমাদের এই সেগমেন্টে ৮.২ থেকে ৯ মাত্রার শক্তি জমা হয়ে আছে। এটা বের হতেই হবে।’

তার মতে, নরসিংদীর মাধবদীতে যে ভূমিকম্পের উৎস ছিলো সেই এই সেগমেন্টেরই এবং নরসিংদীতে দুই প্লেটের যেখানে সংযোগস্থল, সেখানেই ভূমিকম্প হয়েছে।

অধ্যাপক হুমায়ুন আরও বলেন, ‘এখানে প্লেট লকড হয়ে ছিল ফলে অতি সামান্য ক্ষুদ্রাংশ খুলার কারণে শুক্রবারের ভূমিকম্প হয়েছে। এটিই ধারণা দেয়, সামনে বড় ভূমিকম্প আমাদের দ্বারপ্রান্তে আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই যে বড় একটি প্লেট বাউন্ডারির খুব ক্ষুদ্র শক্তি খুলে গেলো তার মানে হলো সামনে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। কারণ একটু খুলে যাওয়া কিছু শক্তি বের হওয়ায় সামনে এই শক্তির বের হওয়া আরও সহজ হয়ে গেছে।’

আগের বড় ভূমিকম্পের নজিরঃ বাংলাদেশ ও আশপাশের এই অঞ্চলে আগেও ৮ মাত্রার ওপরে বড় ভূমিকম্প হয়েছে—

   * ১৮৯৭ সালে ডাউকি ফল্টে ৮.৭ মাত্রার ভূমিকম্প
   * ১৭৬২ সালে টেকনাফ-মিয়ানমার অঞ্চলে ৮.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
   * ১৭৯৭ সালে ভূমিকম্পে ব্রহ্মপুত্র নদীর গতিপথ বদলে যাওয়া
   * ১৮৬৮ ও ১৯২২ সালে সিলেট–মৌলভীবাজার অঞ্চলে ৭.৫ ও ৭.৬ মাত্রার বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। এই ইতিহাস ইঙ্গিত দেয়—অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে ভূমিকম্পপ্রবণ।

কেন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ঢাকা?
বিশেষজ্ঞদের মতে— ঢাকার অধিকাংশ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মিত নয়। অতিরিক্ত ঘনবসতি ও সংকীর্ণ রাস্তার পাশাপাশি উদ্ধার ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। তাই বড় ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা এই ঢাকা শহরেই।

অধ্যাপক হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘মাধবদীর ভূমিকম্প দেখাচ্ছে বড় শক্তি বেরিয়ে আসার পথ খুলছে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ঢাকা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হতে পারে।’

ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের ভবনগুলোর জরুরি অডিট, বিল্ডিং কোড প্রয়োগ, উদ্ধার সক্ষমতা বাড়ানো, জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি—সবই এখন সময়ের দাবি।

সতর্কবার্তাঃ ৩১ ঘণ্টায় ৪ দফা কম্পন জানান দিচ্ছে, ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে এবং বড় কম্পনের সম্ভাবনাকে আর হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। --তথ্য সূত্র যুগান্তর

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়