a
ফাইল ছবি
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার পর পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতির প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এই বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। তাহলে আপনি কেন এসেছিলেন? এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও একজন চিকিৎসক। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও অনেক চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়াও ঠিক হয়নি। দুটি পেশাজীবী সংগঠনের মাঝে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ব্যাপক আকারে প্রচার হয়।
ফাইল ছবি
করোনার বিস্তৃতি মোকাবেলায় বন্ধ আছে লঞ্চ চলাচল কিন্তু লঞ্চ শ্রমিকদের থাকতে হচ্ছে লঞ্চেই। পাহাড়া দিতে হবে কোটি কোটি টাকা দামের এই জলযান। কিন্তু ঈদের পূর্বে বেতন ও বোনাস পাওয়া নিয়ে তাদের ভিতর শঙ্কাবিরাজ করছে। লঞ্চমালিকরা শুধু খাওয়া খরচ দিয়ে দায় সাড়ছেন বলে অভিযোগ।
এদিকে লঞ্চ মালিকদের অভিযোগ তাদেরও দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। টানা লকডাউনে বন্ধ থাকা কিছু লঞ্চ সদরঘাট এলাকায় দেখা গেলেও সেখানে দেখা যায় শ্রমিকরা অলস সময় পার করছেন। লঞ্চ চললে তাদের জন্য মিলবে বেতন বোনাস। তবে আদৌ এবার কি ঈদ উদযাপন করতে পারবেন এ সংশয় নিয়ে দিন পান করছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের বিষয়ে নৌযান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, চৌধুরী আশিকুল আলম বলেন, সরকার শ্রমিকদের জন্য প্রনোদনার কথা বললেও এখনো পাইনি। অধিকাংশ শ্রমিকরাই বেতন বোনাস থেকে বঞ্চিত থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ফাইল ছবি
আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বেশকিছু পরিবর্তন আসছ্র শিক্ষা ব্যবস্থায় নতুন কারিকুলামে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেন, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না, এ বিষয়ে আগেই প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছিলেন। নতুন কারিকুলামে সেটা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবার অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তাই এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকবে না।
২০২৩ সাল থেকে নতুন কারিকুলামে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা থাকবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের পাইলটিং চলবে ২০২২ সালে। আর শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে ২০২৩ সাল থেকে। ২০২৫ সালের মধ্যে পর্যযাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাক্রমের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছেন।
এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।