a
ফাইল ছবি
লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ঘটনায় দুই পেশাজীবী সংগঠনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।
আদালতে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার পর পেশাজীবী সংগঠনগুলোর পাল্টাপাল্টি বিবৃতির প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
আদালত ইউনুছ আলী আকন্দকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গতকাল আপনি এই বিষয়টি নিয়ে এসেছিলেন। আপনি তো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি নন। তাহলে আপনি কেন এসেছিলেন? এ পর্যায়ে ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, আমার মেয়েও একজন চিকিৎসক। তাছাড়া আত্মীয়-স্বজনের মধ্যেও অনেক চিকিৎসক রয়েছেন।
আদালত চিকিৎসক-পুলিশের বাকবিতণ্ডার প্রসঙ্গে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে এমন আচরণ অনাকাঙ্ক্ষিত। আবার এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেওয়াও ঠিক হয়নি। দুটি পেশাজীবী সংগঠনের মাঝে পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে লকডাউনে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চিকিৎসক-পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ব্যাপক আকারে প্রচার হয়।
ফাইল ছবি
ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিশ্বের ১২ দেশে ভাইরাসজনিত বিরল রোগ মাংকিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বাংলাদেশেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব বিমানবন্দরে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে।
রোববার সকালে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, নতুন কোনো রোগের তথ্য পাওয়া গেলে আমাদের অন্যান্য বন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করা একটা রুটিন ওয়ার্ক। সে হিসেবে আমরা সব বন্দরকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সাধারণত পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার দেশগুলোতে মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। সর্বপ্রথম বানরের দেহে শনাক্ত হওয়া এ রোগটি ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এবং এর আগে আফ্রিকার বাইরে দেখা যায়নি।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রলিয়ায় এ পর্যন্ত মাংকিপক্সের রোগী পাওয়ার পাওয়া গেছে।
দেশের বিমানবন্দরের মেডিকেল অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কারও মধ্যে উপসর্গ থাকলে বা সন্দেহ হলে তাকে চিহ্নিত করে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে বলা হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
অতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দিয়ে দ্রুততম সময়ে ক্লাস পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ ২৯ মে (শনিবার) দুপুর সোয়া এগারোটা নাগাদ এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা সকল শিক্ষার্থীদের জোর দাবি ছিলো সরকারি নীতিনির্ধারণী এবং শিক্ষামন্ত্রীর নিকট অবিলম্বে ক্যাম্পাস খোলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের বাতি আবার ফিরিয়ে দিতে। দীর্ঘসময় ধরে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, সকল শিক্ষার্থীরা আজ হতাশায় নিমজ্জিত এবং অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ পড়াশোনা থেকে বাহিরের জগতে চলে গেছে। মানসিক শক্তি হারিয়ে অনেকে পরিবারের মাঝে থেকেই আজ নানা সমস্যার মধ্যে জর্জরিত। তাই সকল শিক্ষার্থীদের একটা দাবি ক্যাম্পাস খুলে দেওয়া।
এই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মানববন্ধনে। এক এক করে কয়েকজনের বক্তব্য ফুটে উঠে জ্বালাময়ী ক্ষোভ। বক্তব্যের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম ব্যাচের আরিফ আহমেদ বলেন, আমাদের একটা দাবি অবিলম্বে আপনারা ক্যাম্পাস খুলে দেন। ক্যাম্পাসে যারা আছে সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। আবাসিক শিক্ষার্থীরা শুধু ভ্যাকসিন পাবে, অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা পাবে না বিষয়টা কোনোভাবে মেনে নেওয়া হবে না। শিক্ষামন্ত্রীর এমন সিন্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই।
১৪তম ব্যাচের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান রাসেল বলেন, দেশে সবকিছু চলে শুধু আমাদের ক্লাস চলতে পারে না। খেলা চলতে পারে স্টেডিয়ামে, বাস চলতে পারে রাস্তায়, সবকিছু খোলা রয়েছে, শুধুমাত্র আমরা ঘরে বসে লকডাউন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি আপনাদের মতো কিছু অযোগ্য লোকের জন্য।
১৩ তম ব্যাচের বোটানি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থী আজ বিভিন্ন গেম, টিকটিক, পাবজিসহ অপ্রয়োজনীয় কাজে আজ লিপ্ত। একের পর এক লকডাউনে শিক্ষার্থীরা আজ মানসিক ভাবে বির্পযয়। আমাদের সরকারি কর্মকর্তার সন্তানেরা তো আর আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মতো পড়াশোনা করে না, করলে আপনাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একটু চিন্তা করতেন।
আজ যারা গ্রামে বসে এই সমস্ত বাজে অভ্যাসে আসক্ত হয়েছে তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য কোন টিকা দিবেন, কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার করবেন, কোন মেডিসিনে মুক্ত করবেন তাঁদের সমস্যা।
মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী জহির উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোলার তারিখ শুনতে শুনতে আজ বিরক্ত। আমরা আর এই সমস্ত তারিখ শোনাতে চাই না। আড়ংয়ের সামনে লাইন দিয়ে মানুষ ঈদের কেনাকাটা করলে সেখানে করোনা নাই। মাছের বাজারে ভিড় করে মাছ কিনলে করোনা নেই। শুধু আমাদের বেলায় করোনা। শিক্ষামন্ত্রী নিজে আজ জানে না অনলাইনে কবে যে ক্লাস বন্ধ হয়েছে আদৌ চলে কিনা। যত দ্রুত আমাদের দাবি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলে দিতে হবে।
গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী শাহিন বলেন, আমাদের রাস্তাঘাট, বাজারে, দোকানে নিয়ে ক্লাস নেওয়া হোক। হাটে - বাজারে করোনা নেই, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা। আমাদের প্রয়োজনে গার্মেন্টেসে নিয়ে পরীক্ষা নেন, কারণ সেখানে করোনা নেই। অনলাইনে যে পরীক্ষা নিবেন গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের কি হবে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে এসমস্ত বিষয়ে ক্লাস বা পরীক্ষা দিতে অনাগ্রাহী।
এই সময় মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করা সকলের দাবি বিশ্বিবদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম খুলে আমাদের বাঁচান। আমাদের আজ করেনার ভ্যাকসিন থেকে বেশি প্রয়োজন পরীক্ষায় দেওয়া। মানববন্ধনের শেষে বক্তরা বলেন, আমাদের দাবি না মানা হলে কোনো ছাত্র আর ঘরে বসে থাকবেনা। কঠোর আন্দোলন ডাক দেওয়া হবে। তাঁরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে এসময় আলটিমেটাম দিয়ে বলেন" স্বল্প সময়ে ক্যাম্পাস না খোললে যথাযথ জবাব দিবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।