a
ছবি সংগৃহীত
বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে পুরো বঙ্গবাজারসহ আশে-পাশে আরও ৪টি ভবন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। একইসঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল। আকাশে ৩টি হেলিকপ্টার আগুন নেভাতে কাজ করছে। মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোরের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রায় ৪ হাজার দোকান আছে বলে উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে জানা যায় এবং এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু হায়দার মো. রাসেলুজ্জামান জানান, বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত সাহায্যকারী দল কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক বলেন, মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেট আগুন লাগার খবর পাই। সংবাদ পাওয়ার পর আমাদের একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৪৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে। সঙ্গে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সাহায্যকারী দল যুক্ত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগুনে এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানানো যাচ্ছে না। এদিকে ভয়াবহ এই আগুন নেভাতে পানির সংকটে পড়েছে কর্মীরা। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানে বঙ্গবাজারের পার্শ্ববর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদুল্লাহ হলের পুকুর থেকে আনা হচ্ছে পানি।
ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মার্কেটের চার দিক থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে বাতাসের কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বঙ্গবাজার মার্কেটে লাগা আগুন পাশের এনেক্সকো টাওয়ারেও ছড়িয়ে পড়েছে। আগুনের কারণে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে বঙ্গবাজারের আকাশ। ভয়াবহ এ আগুনের কারণে প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের তীব্রতা বাড়ছে।
মার্কেটের দোকানিরা জানান, প্রথমে আগুন লাগে গুলিস্তান মার্কেটে। সেখানে থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজার মার্কেটে। এখন পাশের অন্য ভবনগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে। কাপড়ের মার্কেট হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার সকালে ঢাকার অবস্থান শীর্ষে। সকাল ৮টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ২৫৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ছিল ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’।
তালিকায় যদিও ঢাকার স্কোর ২৫৩, তবে ওই সময় রাজধানীর আইসিডিডিআর’বি এলাকার বায়ুদূষণের মাত্রা ছিল ‘বিপজ্জনক’বা দুর্যোগপূর্ণ। একিউআই’র ওয়েবসাইটে সে সময় ওই এলাকার স্কোর দেখা যায় ৩৯৬, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।
এদিকে, এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে দেখা যায়, বিশ্বের বড় শহরগুলোর মধ্যে ভিয়েতনামের হ্যানয়, শরটির স্কোর ২১১। এরপরের অবস্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই,শহরটির স্কোর ২০৩। চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই (১৯৭)। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা, স্কোর ১৮৮।
বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়। সূত্র: আইকিউ এয়ার
বাংলাদেশ ব্যাংকে পদোন্নতি পেয়ে মহাব্যবস্থাপক (জিএম) হয়েছেন দুই কর্মকর্তা। মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) পদে পদোন্নতি পেয়েছেন আনিছুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পরিসংখ্যান বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আনিছুর রহমান। সদ্য বিদায়ী বছরের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের কর্মচারী নির্দেশে তাকে মহাব্যবস্থাপক (পরিসংখ্যান) হিসেবে পদোন্নতি প্রদানপূর্বক পরিসংখ্যান বিভাগে বহাল করা হয়েছে।
আনিছুর রহমান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে সহকারী পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগদান করেন। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগ, বিনিয়োগ বোর্ডসহ বিভিন্ন বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
আনিছুর রহমান দাফতরিক কাজে ভারত, ভুটান, চীন, জার্মানি এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ডেট ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আবদুল কাদির ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে বহাল হন।
এমবিএ ডিগ্রিধারী মো. আবদুল কাদির ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার পদে যোগদান করেন। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের তৎকালীন পার্সোনেল ডিপার্টমেন্ট, বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ, ব্যয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কমন সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট-১, ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-১ এবং সিলেট অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
পেশাগত দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে তিনি নেপাল ও সুইজারল্যান্ড ভ্রমণ করেন। এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক মো. আবদুল কাদির চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর বিশকাটালী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।