a
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে এবং সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্যদের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যি অমানবিক। ছোট ছোট শিশুদের ওপর অত্যাচার। সেই শিশুদের যে কান্না, তাদের সেই আর্তনাদ, মাতৃ-পিতৃ হারানোর বেদনা সহ্য করার মতো না। ইসরায়েল কর্তৃক একের পর এক হত্যাযজ্ঞ। এর আগেও এভাবে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাকফেরাত কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছোট শিশুরা আহত হয়, তাদের ওপর অত্যাচার-জুলুম; তারা মা-বাবা হারিয়েছে, সত্যি খুব দুঃখজনক। এখানে যারা মানবতার এতো কথা বলে, এসময় তারা অনেকেই চুপ থাকে কেন? আন্তর্জাতিক অনেকে আছে এখন আর কথা বলে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা প্যালেস্টাইনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সব সময়ই আছি।
আমরা ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা অতীতেও করেছি, এখনও করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।
ফাইল ছবি
দুর্নীতিবাজরা যাতে শাস্তি পায় সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুর্নীতি দমনের কমিশন (দুদক)-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রোববার সন্ধ্যায় দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ এবং কমিশনার মো. জহুরুল হক বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে দুদক চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় বলেন, উন্নয়নের এ ধারা টেকসই করতে দুর্নীতি প্রতিরোধ খুবই প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, তরুণ প্রজন্ম যাতে দুর্নীতিবিরোধী মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে সে লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সমাজ ও পরিবার থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।
আবদুল হামিদ আশা করেন, দুর্নীতি দমন কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি প্রতিরোধেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ
২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নিহত ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে।’
আজ রবিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী-এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশ্রমিক কিংবা রিকশাচালক, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী, সব মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি-হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান। আর তাই, সমান গুরুত্বের সঙ্গেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা ও নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন