a
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে এবং সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্যদের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যি অমানবিক। ছোট ছোট শিশুদের ওপর অত্যাচার। সেই শিশুদের যে কান্না, তাদের সেই আর্তনাদ, মাতৃ-পিতৃ হারানোর বেদনা সহ্য করার মতো না। ইসরায়েল কর্তৃক একের পর এক হত্যাযজ্ঞ। এর আগেও এভাবে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাকফেরাত কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছোট শিশুরা আহত হয়, তাদের ওপর অত্যাচার-জুলুম; তারা মা-বাবা হারিয়েছে, সত্যি খুব দুঃখজনক। এখানে যারা মানবতার এতো কথা বলে, এসময় তারা অনেকেই চুপ থাকে কেন? আন্তর্জাতিক অনেকে আছে এখন আর কথা বলে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা প্যালেস্টাইনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সব সময়ই আছি।
আমরা ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা অতীতেও করেছি, এখনও করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ আজ ঐতিহাসিক এইদিনে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিদলের প্রধানগণ। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
সনদটির উদ্দেশ্য—দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা একমত হন যে, জাতীয় স্বার্থই সবার ঊর্ধ্বে। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সনদ হবে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মাইলফলক। রাজনীতিবিদেরা প্রতিশ্রুতি দেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।
সনদের ধারাগুলোতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি জাতিকে বিভেদের বদলে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, এই সনদ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সামাজিক ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণ আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এই উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। তরুণ সমাজও এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছে। জুলাই সনদ তাই আজ দেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে উঠেছে। এটি জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল প্রতীক।
ফাইল ছবি
তরুণদের বিয়েতে উদ্বুদ্ধ করতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান একটি ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে। গত সোমবার (১২) দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক সংবাদে এই তথ্য জানানো হয়।
নতুন এই ডেটিং অ্যাপটির নাম ‘হামদাম’। যার বাংলা অর্থ সঙ্গী। এই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বিয়ে করতে ইচ্ছুক তরুণ-তরুণীরা পছন্দের সঙ্গী খুঁজে পেতে এবং বাছাই করতে পারবেন। খবর আল-জাজিরা।
সংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের মানুষ দেরিতে বিয়ে করছে। ফলে আশঙ্কাজনকভাবে দেশটিতে জন্মহার কমছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ তরুণ-তরুণীরা যাতে দ্রুত বিয়ে করতে পারে তার জন্য এই ডেটিং অ্যাপ চালু করেছে।
অ্যাপটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান তেবইয়ান কালচারাল ইন্সটিটিউট জানিয়েছে, অ্যাপটিতে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার’ (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করা হয়েছে। হামদামের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সত্যিকার অবিবাহিত যারা স্থায়ীভাবে বিয়ে ও একমাত্র জীবনসঙ্গীর সন্ধান করছে তাদের সহায়তার জন্যই অ্যাপটিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হয়েছে।
ইরানে ডেটিং অ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। তবে দেশটির সাইবারস্পেস পুলিশের প্রধান কর্নেল আলী মোহাম্মদ রাজাবি বলেন, ইরানে এই ধরনের এটিই একমাত্র বৈধ অ্যাপ, বাকি অ্যাপগুলো অবৈধভাবে চলছে।
উল্লেখ্য, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিসহ দেশটির বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকবার দেরি করা বিয়ে করা এবং জন্মহার হ্রাসের জন্য সতর্ক করেছেন।