a বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিকে সহযোগিতা করে যাবে: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা রবিবার, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিকে সহযোগিতা করে যাবে: প্রধানমন্ত্রী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
বুধবার, ০২ জুন, ২০২১, ০৮:৫৯
বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিকে সহযোগিতা করে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের পাশে আছে এবং সহযোগিতা করে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্যদের ওপর আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনা অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

জাতীয় সংসদে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবে প্যালেস্টাইনের ওপর ইসরায়েলের হামলায় নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা সত্যি অমানবিক। ছোট ছোট শিশুদের ওপর অত্যাচার। সেই শিশুদের যে কান্না, তাদের সেই আর্তনাদ, মাতৃ-পিতৃ হারানোর বেদনা সহ্য করার মতো না। ইসরায়েল কর্তৃক একের পর এক হত্যাযজ্ঞ। এর আগেও এভাবে তারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এই হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা মারা গেছেন তাদের আত্মার মাকফেরাত কামনা করি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ছোট শিশুরা আহত হয়, তাদের ওপর অত্যাচার-জুলুম; তারা মা-বাবা হারিয়েছে, সত্যি খুব দুঃখজনক। এখানে যারা মানবতার এতো কথা বলে, এসময় তারা অনেকেই চুপ থাকে কেন? আন্তর্জাতিক অনেকে আছে এখন আর কথা বলে না, সেটাই আমার প্রশ্ন। আমরা প্যালেস্টাইনি ভাই-বোনদের সঙ্গে সব সময়ই আছি। 

আমরা ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের সহযোগিতা অতীতেও করেছি, এখনও করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও করে যাব।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি, রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু



শনিবার, ০৩ এপ্রিল, ২০২১, ০৮:৪৭
বাসর রাতে চিৎকার করেনি ফুলি রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু

সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট। ডিউটি ডাক্তার সবে মাত্র বিশ্রা'ম নেয়ার জন্য ঘুম ঘুম চোখে বিছানায়। ইমারজেন্সি থেকে কল আসল। চোখের পাতায় ঘুম ঠেসে, ইমারজেন্সিতে এসে চমকে যাওয়ার মত অবস্থা।

মহিলা রোগী, পরনের চাদর র’ক্তে ভেজা। মুখের রঙ ফ্যাকাসে, সাদা। কাপড় দেখেই বো'ঝা যাচ্ছে নতুন বিয়ে হয়েছে। রোগীর নাম ফুলি (ছদ্ম নাম)। হিষ্ট্রি নেয়ার জন্য ডাক্তার জানতে চাইল, কি হয়েছে?

রোগীর সাথে সদ্য বিবাহিত জামাই, জা এবং আরও ৪/৫ জন এসেছে। ডাক্তারের প্রশ্ন শুনেই রোগীর বর চোরের মত, রুম থেকে বের হয়ে গেল। রোগীর সঙ্গে আসা এক মহিলা তেজের সাথে বলল, ‘ডাক্তার হইছেন, বুঝেন না কেরে, সব বলতে হইবো!’

ওদের গ্রামে গাছের মাথায় বাধা মাইকটিতে একটির পর একটি বিয়ের গান বেজে চলছে। বিয়ে বাড়িতে সবা'ই ব্যস্ত। বর পক্ষের যারা এসেছে, কথা বার্তায় অভিজাত ও ব্যক্তিত্ব দেখানোর চেষ্টায় ব্যস্ত।

দর কষাকষি করার পরে, কনে পক্ষ থেকে যৌতুক হিসেবে যা পাওয়া গেছে, তা নেহাতই কম নয়। কিন্তু কম হয়ে গেছে কনের বয়স। বাচ্চা মেয়ে, নাম ফুলি বেগম, সবে মাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ বছরে পড়েছে।

মেয়ের বাবাও মোটামুটি ভাবে লাল শাড়ি পড়িয়ে মেয়েকে বিদায় দিতে পেরে খুশি। মেয়ে হলে তো বিদায় দিতেই হবে। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত মেয়েকে পড়িয়েছে। কম কি! তাছাড়া, শোনা যাচ্ছে ছেলেও নাকি ভাল।

বাড়ির উঠোনে বসে মুখে পান চিবোতে চিবোতে ছেলের মামা বলল, ‘এমন ছেলে কো'থায় পাবেন মিয়া। তাছাড়া, ছেলে মানুষের একটু দোষ থাকলেও সমস্যা নেই, বিয়ের পর ঠিক হয়ে যাবে।’

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেয়েকে নিয়ে আসা হল তার নতুন ঘরে। যে মেয়েটি সবে মাত্র জীবনের সংজ্ঞা শিখতে শুরু করেছে, শৈশব থেকে কৈশোরে পা রাখতে যাচ্ছে, কিছু বুঝে ওঠার আগেই, তার আজ বাসর রাত।

পুরুষতান্ত্রিক এই সমাজে সতীত্ব যাচাই করার উৎসব। আর বিয়ে তো একটি সামাজিক বৈধতা মাত্র। সমাজ অনেক এগিয়েছে ঠিকই, কিন্তু বিয়ের সময় মেয়ের মতামতটা এখনও গৌন।

মেয়ের যদি মতামত না নেওয়া হয় বা পরিবারের কারও ধমকে মতামত দানের পর বিয়ে হয়, তাহলে তাকে ধ’র্ষণ না বলে উপায় নেই। ফুলির ইচ্ছে করছে, চিৎকার করতে, কিন্তু বাসর ঘরে চিৎকার করা যে উচিত নয়, এতটুকু বুঝতে শিখেছে ফুলি।

হাত পা ছুঁড়ে বরের লালসার যজ্ঞ থেকে বেরিয়ে আসার মিথ্যে চেষ্টা। সমাজ বিধীত ‘বর’, যখন আদিম পশুত্ব থেকে বাস্তবে ফিরে আসে, তখন ফুলি র’ক্তে ভেজা। তখনও ফিনকির মত র’ক্ত যাচ্ছে।

ক্রমান্বয়ে সাদা ফ্যাকাসে হয়ে আসছে মুখের রঙ! ফুলি এখন হাসপাতালের বেডে অ’চেতন হয়ে শুয়ে আছে। তাকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে, ফুলির চোখ পড়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর।

তারা যে কানাকানি করে কথা বলছিল, ব্যঙ্গাত্মক হাসি তামাশা করছিল। যেন সব দোষ ফুলির। লজ্জায় কারও দিকে তাকাতেও ভ’য় করে। তারপর ইঞ্জিন চালিত গাড়ীর প্রচণ্ড শব্দ।

আরও এলোমেলো কিছু মুহূর্ত। কিছুক্ষণ পর, সাদা এপ্রোন পড়া একজন ডাক্তার এসে তার হাত ধরেছে। মনে আছে শুধু এটুকুই। ডাক্তার নার্সকে সাথে নিয়ে, ফুলি বেগমকে পরীক্ষা করলেন।

ভয়াবহ রকমের পেরিনিয়াল টিয়ার (যৌ’নাঙ্গ ও তার আশপাশ ছিঁড়ে গেছে)। তখনও র’ক্ত যাচ্ছে প্রচুর। হাতে পালস দেখা হল। খুবই কম। জরুরি ভিত্তি'তে রোগীকে র’ক্ত দেয়া দরকার।

জরুরি অবস্থায় অ’পারেশন করে ছিঁড়ে যাওয়া অংশ ঠিক করতে হবে। এই ভয়াবহ সংকটাপন্ন রোগীকে নিয়ে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা কর্তব্যরত ডাক্তারের। ম্যাডামকে ফোন করা হল…

প্রাথমিক ভাবে ম্যানেজ করার জন্য র’ক্ত দরকার… রোগীর সাথে যারা এসেছে এতক্ষণ ইমারজেন্সি রুমের সামনে চিল্লা পাল্লা করছিল। ডাক্তার এসে জানালো জরুরি ভিত্তিতে র’ক্ত দরকার।

তখন সবাই চুপ। কেউ কেউ কেটে পড়ার জন্য পাশে সরে গেল। কিছুক্ষণ পর রোগীর লোক জানালো, তারা র’ক্ত জোগাড় করতে পারবে না। যা হয় হবে! ডাক্তার তাদের বুঝানোর চেষ্টা করলেন। কিন্তু লাভ হল না…

রাত সাড়ে তিনটায় ম্যাডাম আসলেন। তার ধমকে শেষ পর্যন্ত তারা র’ক্ত জোগাড় করতে রাজি হল। কিন্তু র’ক্ত আর সেই রা'তে জোগাড় হল না। অ’পারেশন থিয়েটারে ফুলিকে নিয়ে গিয়ে টিয়ার রিপেয়ার করা হল।

সকালে রোগীর শ্বশুরবাড়ির লোক সবাই উধাও। ফুলির বাবা আসলেন সেই ভোরে, র’ক্ত জোগাড় হল কোন রকমে। ছয়দিন পর, রোগীর সেপ্টিসেমিয়া ডেভলপ করলো। ইনফেকশন র’ক্তে ছড়িয়ে গেছে। ভাল অ্যান্টিবায়োটিক দরকার।

রোগীর বাবা এসে বললেন, তারা আর খরচ চালাতে পারবেন না। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করাতে, তাহলে ঔষধ কেনার খরচ কিছুটা বাঁচবে।

কিন্তু, হাসপাতাল মানে তো, কাজকর্ম রেখে একজনকে রোগীর পাশে থাকতে হবে। রিলিজ দিয়ে বাসায় নিয়ে যেতে চাচ্ছেন, যা হবার হবে। রিলিজ নিয়ে ফুলিকে বাসায় নেয়া হল।

আরও বেশি অসুস্থ হওয়ায় চারদিন পরে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হল। পরদিন ভোর ভোর সময়। একবার চোখ খুলে আবার বন্ধ করলো ফুলি। সেই বন্ধ শেষ বন্ধ।

এই সমাজের প্রতি ঘৃ’ণায় চোখ জ্বল জ্বল করছিল কি না কেউ দেখতে পারেনি। ভোরের স্বল্প আলোয় বিদায় জানালো জীবনের নিষ্ঠুরতাকে! ফুলি ‘একিউট রেনাল ফেইলরে’ মারা গেছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ডায়ালাইসিসের জন্য বলা হয়েছিল, তারা রোগী নিয়ে এত ঝামেলা করতে পারবে না। শ্বশুর'বাড়ি থেকে সেই বাসর রাতের পর, কেউ আসেনি। তাদেরই বা এত চিন্তা কি, একটা বউ মরলে দশটা বউ পাওয়া যায়!

ফুলি একা নয়, এ রকম ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই ঘটনা গুলো চক্ষু লজ্জার ভয়ে প্রকাশ হয় না। কিন্তু সচেতনতা জরুরি।    লেখাটি ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সৌদি আরবে আটককৃত ১২জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভিকটিম পরিবারের আহাজারি কি সরকার শুনতে পায়?


সাইফুল আলম, বিশেষ প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫০
সৌদি আরবে আটককৃত ১২জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা ভিকটিম পরিবারের আহাজারি কি সরকার শুনতে পায়

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

সাইফুল আলম, ঢাকা: রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের স্বর্ণ সন্তান, দেশের জন্য তারা সবসময় মঙ্গল বয়ে আনেন। গত আট মাস ধরে সৌদি আরবের কারাগারে রেমিটেন্স যোদ্ধারা নীরবে দিন কাটাচ্ছে, জন মনে প্রশ্ন সরকার কি এই বিষয়টি দেখছে কিনা?

গত ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় উপলক্ষে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আনন্দ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠান হতে পুলিশ কর্তৃক আটককৃতদের মুক্ত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অবহেলার প্রতিবাদ এবং রেমিটেন্স যোদ্ধাদের মুক্ত করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর হস্তক্ষেপ কামনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে।

আজ ১৫-০৩-২০২৫ ইং তারিখ, রোজ শনিবার, সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে (৩য় তলা) এই সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিমের পরিবারের সদস্যরা তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। পরিবারের প্রধান কর্মক্ষম ব্যক্তি সৌদি আরবের কারাগারে। আর তাই তারা মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। অসহায় হয়ে আজ তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে। 

তারা বলেন, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ শেখ হাসিনার পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয় উপলক্ষে সৌদি আরবে অবস্থানরত বাংলাদেশি রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আনন্দ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠান হতে পুলিশ কর্তৃক আটক হন, ১। মোঃ বাদল, পিতা: সিদ্দিকুর রহমান, গ্রাম-ইমামপুর, পো-মাহমুদপুর, থানা-মেলান্দহ, জেলা- জামালপুর। ২। ইসমাইল হোসেন, পিতা- ইব্রাহিম খলিল, গ্রাম- মোহাম্মদপুর, পো- মোহাম্মদপুর, থানা- চাটখিল, জেলা- নোয়াখালী। ৩। মোঃ কাউসার হোসেন স্বপন, পিতা- মোঃ আবুল হোসেন, সাং- লক্ষীপুর, পো-বহরিয়া বাজার, জেলা- চাঁদপুর সদর। ৪। এরশাদ, পিতা- ইসরাফিল, গ্রাম- ঘাটেশ্বরী দক্ষিণ পাড়া, ডাকঘর-বহেড়া তৈল-১৯৫০, সখিপুর, টাঙ্গাইল। ৫। জুয়েল রানা, পিতা- ফিরোজ মিয়া, গ্রাম- বড়তলা, পো- আশুগঞ্জ, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া । ৬। মোঃ শাকির হোসেন, পিতা- কবির হোসেন, গ্রাম- কড়াইল, পো- মির্জাপুর, থানা-মির্জাপুর, জেলা- টাঙ্গাইল। ৭। মোঃ হাবিবুর রহমান, পিতা- হাজী হাফেজ আলী মিঝি, গ্রাম-মহজনপুর, পো-আলগী বাজার, থানা-হাইমচর, জেলা-চাঁদপুর। ৮। মোঃ আবুল হোসেন, পিতা- মোঃ নানু মিয়া, গ্রাম-মুক্তরামপুর, পো-সলিমগঞ্জ, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ৯। মোহাম্মদ জামিল হোসাইন, পিতা- মোঃ আবদুল মান্নান, সাং-নোয়া বাড়ি, অটেহরা, ডাকঘর- কালির হাট-৩৫০১, বরুড়া, কুমিল্লা। ১০। মোহাম্মদ ইয়াকুব, পিতা মৃত- মোঃ আক্তার, দক্ষিণ মালিভিটা, পো- দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ, আব্দুল্লাহপুর, ঢাকা। ১১। সাদ্দাম হোসাইন, পিতা- আবু তায়েব, গ্রাম- কালিকাচর, পো- কালিকাচর, থানা-সরাইল, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ১২। মাসুদ গাজী, পিতা- মুনাফ গাজী, গ্রাম-মহজমপুর, পো- আলগি বাজার, থানা- হাইমচর, জেলা- চাঁদপুর।বর্তমানে তারা সৌদি আরবের আল কাসিম বুরাইদা সফর জেলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন৷

তাদের মুক্তির দাবিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় আবেদন, নিবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তাদের মুক্তির কোন সঠিক দিক নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের বন্দী হওয়ার ফলে একদিকে বাংলাদেশ সরকার ব্যাপক পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে এই ১২টি পরিবারের সদস্যরা তাদের গ্রেফতারের ফলে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তাদের একটাই অপরাধ ফ্যাসিবাদের পতনের পর পর বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার কারণে নিজেরা একত্রিত হয়ে একটি প্রীতিভোজ ও আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেছিল। সেখানে সৌদি পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। সেখানকার রাষ্ট্রদূত এ ব্যাপারে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। 

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও সৌদি আরবে ঘাপটি মেরে থাকা রাষ্ট্রদূত আওয়ামী দোসর হওয়ার কারণে নিরবতা পালন করছে। এই ব্যাপারে প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রবাসী উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টরা যদি উদ্যাগ গ্রহণ করে আমরা বিশ্বাস করি ঈদের আগেই পরিবারের কাছে তাদের মুক্তির সুখবর আসবে। আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি বাংলাদেশে বর্তমানে জাতিসংঘের মহাসচিব এক সংক্ষিপ্ত সফরে এসেছেন। আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা জাতিসংঘের মহাসচিবের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি ।

আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিম পরিবারের স্ত্রী, সন্তান, ভাইসহ পরিবারের অন্যান্যরা উপস্থিত হয়েছেন। ঈদের আগে যদি তাদের মুক্তির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে এই ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তাদের মুক্তির দাবিতে আমরণ অনশনে কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে। আমরা আশা করছি আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি দ্রুত প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌছে যাবে। 

সৌদি প্রবাসী ১২ জন বাংলাদেশী রেমিটেন্স যোদ্ধার পরিবারের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ লাকিন সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান, বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার সিদ্দিক, জাতীয় জনতা ফোরামের সভাপতি। আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ, সমাজ এবং মানবাধিকার কর্মী, প্রেস ক্লাবের বিশিষ্ট সাংবাদিক বৃন্দ। এছাড়া বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ভিক্টিমের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়