a
ফাইল ফটো: মাশরাফি
সাকিব ছাড়া নিউজিল্যান্ড সফরটা কঠিন হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুক্রবার (৫ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে মুজিববর্ষ অমর একুশে ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এমন কথা বলেন।
মাশরাফি জাতীয় দলের চলতি সফরের বিষয়ে বলেন, আমরা সবাই জানি নিউজিল্যান্ডে খেলা খুব কঠিন। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যে, সাকিব নাই। কাজটা অনেক কঠিন হতে যাচ্ছে। তবে মাশরাফি আশাবাদী, ভালো করবে তার সতীর্থ খেলোয়াড়রা।
মাশরাফির ভাষ্য, (নিউজিল্যান্ড) যাওয়ার আগে ওরা (খেলোয়াড়রা) যেভাবে কথা বলেছে, তা খুব ইতিবাচক। আমার বিশ্বাস যে, ইনশাআল্লাহ ভালো করবে। সবাই তা-ই আশা করছে, বাংলাদেশ দল নিউজিল্যান্ডে আছে, ভালো করবে।
এক্ষেত্রে অবশ্য সবার কাছে একটি চাওয়াও রয়েছে মাশরাফির। আর সেটি হলো, দলকে চাপমুক্ত ক্রিকেট খেলতে দেয়া। এটি হলে নিউজিল্যান্ডেও ভালো করার সামর্থ্য আছে বলে মনে করেন মাশরাফি।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না বাংলাদেশ দলকে অপ্রয়োজনীয় চাপ দেয়া উচিত। আমরা সবাই জানি, কঠিন কন্ডিশন। ওখানে… আমরা যদি এখান থেকে সাপোর্ট দেই… সাপোর্টের বিভিন্ন ধরন আছে। চাপটা থেকে যদি ওদেরকে মুক্ত করে দেই, আমি নিশ্চিত যে ওরা ভালো করবে।
আমার বিশ্বাস ওরা ভালো করবে, যদি আমরা চাপটা ওদের ওপর থেকে কমিয়ে দেই। আমার কাছে মনে হয় যে, যে দল আছে ওখানে, ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। সবাই তো দেখে ম্যাচ জিতেছি নাকি হেরেছি… সেই বিষয়টাও আছে। আমাদের যত সম্ভব চাপ কমাতে হবে।
ফাইল ছবি: মাশরাফি বিন মুর্তজা
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই কথা বলে আসছেন সাবেক ওয়ানডে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুক্রবার একটি গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘বিসিবি প্রেসিডেন্ট বক্সে আসলে একজন ক্রিকেটারকে উলঙ্গ করা হয়। পুরো উলঙ্গ করা হয়। এটা উনারাও জানেন। উনারা অস্বীকার করতে পারবেন না। ওখানে আমাদের মানুষরাও থাকেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে সম্পৃক্ত, ভালো সম্পর্কের মানুষও থাকেন। আমরা শুনি।’
এবার আরেকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি বললেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এমন মানুষ কারা আছেন, যে ক্রিকেট খুব বোঝে? কজন আছেন এরকম মানুষ, আপনি আমাকে দেখান। এমন মানুষও ড্রেসিং রুমে ঢুকে আমাদের অর্ডার করেন, আমাদের ক্যারিয়ারের ১০ বছর হওয়ার পরও যাদের আমরা ক্রিকেটে দেখিনি।
আমাদের সঙ্গে বোল্ডলি কথা বলে তারা। আমি তো ২০০১ সালের খেলোয়াড়। আতহার ভাই তখন অবসর নিলেন। এ ছাড়া সব সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে আমি খেলেছি, আকরাম ভাই, বুলবুল ভাই, মনি ভাই, রফিক ভাই, এমন কোনো ক্রিকেটার নেই, যাদের সঙ্গে খেলিনি। তখন থেকেই দেখে আসছি। যারা ক্রিকেট বোঝে, তারা অনেকেই নেই। যারা বোঝে, তাদের নিয়েও এমনিতে সমস্যা নেই।
বোর্ডের সুবিধায় যাকে খুশি নিতে পারে। কিন্তু তারা যখন বড় বড় কথা বলে, তাদের ছাড়া কাজ হবে না বলে, তাদের দেখে কষ্ট লাগে কী, এরা তো কোনোদিন ক্রিকেটই খেলেনি!’
‘তো কথা হচ্ছে, এই মানুষগুলো ড্রেসিং রুমে ঢোকে, মাঠে ঢুকে বা বিসিবিতে এমন ভাবে কথা বলে, তখন নিজের কাছে মনে হয়, নিজের জুতো বেঁধে গলায় ঝুলিয়ে হেঁটে বেড়াই। এ ছাড়া আর বলার কিছু থাকে না।
এই মানুষগুলি যখন আমাদের নিয়ে সমালোচনা করেন, তখন মনে হয়, ক্রিকেট না খেলে, তেলবাজি করে বেড়ালে আমার জীবনে অনেক ভালো কিছু হতো।’ সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে বিবৃতিতে সই করবেন না বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া।
সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এমরান আহমেদ বলেন, অধ্যাপক ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জনের বেশি নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অনেকেই বিবৃতি দিয়েছেন যে—ওনাকে বিচারিক হয়রানি করা হচ্ছে। সেটার বিপরীতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়ার কথা রয়েছে।
নোটিশ দেওয়া হয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে কর্মরত সবাইকে সেই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করার জন্য। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করব না।
কারণ জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, ইসরাইলের অ্যাটর্নি জেনারেল সেদেশে যে আইন সংস্কার করছে বিচার সম্পর্কিত, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, এটা আমার নিজস্ব সে রকমই চিন্তা।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, যে বিবৃতি দিয়েছেন ১৬০ জন নোবেল বিজয়ী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, আমি ওনাদের বিবৃতির সঙ্গে একমত পোষণ করছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, অধ্যাপক ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটাকে তিনি বিচারিক হয়রানি বলেন। সূত্র: যুগান্তর