a
ফাইল ছবি
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ের জন্য দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণে বিএনপিসহ পাঁচটি দল যোগ দেয়নি। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ইভিএম যাচাইয়ের জন্য ইসি ১৩টি দলকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।
যে দলগুলো বৈঠকে অংশ নেয়নি সেগুলো- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)।
আর যেসব রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে সেগুলো- ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
এর আগে, ১৯ জুন ১৩টি দলকে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সেদিন গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি অংশ নেয়নি। জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) অন্যদলগুলো অংশ নিলেও তারা কেউ কারিগরি বিশেষজ্ঞ আনেনি।
উল্লেখ্য, বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপা সেদিন বৈঠকে অংশ নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার দাবি জানিয়েছে।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় আকারে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় নির্বাচন কমিশন। সেলক্ষে সবার মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
আকাশে মেঘ কমে আসতে থাকায় আজ শনিবার হতে তাপমাত্রা কমতে কমতে পারে। আগামী ৩ থেকে ৪ জানুয়ারি তাপমাত্রা আরও কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফত।
আজ তেঁতুলিয়া ও শ্রীমঙ্গলে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি এবং রাজারহাটে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় সেখানে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ দশমিক ৬, ময়মনসিংহে ১২ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৬ দশমিক ৬, সিলেটে ১৪ দশমিক ৪, রাজশাহী ১৩ দশমিক ৮, রংপুরে ১১ দশমিক ৬, খুলনায় ১৫ দশমিক ০ এবং বরিশালে ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সূত্র:বিডি প্রতিদিন
ছবি সংগৃহীত: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভবন, সেগুন বাগিচা
নিউজ ডেস্ক: চার সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলের অধিভুক্ত সরকারি কর্মচারী, ব্যাংকার, মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্মী ও ছয়টি বড় কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের আয়কর আইনের ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চার ধরনের ব্যক্তি করদাতাদের ইলেকট্রনিক মাধ্যমে অনলাইনে আয়কর দাখিল বাধ্যতামূলক করল।
তালিকার প্রথমে রয়েছেন ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত আয়কর সার্কেলসমূহের অধিক্ষেত্রভুক্ত সব সরকারি কর্মচারী। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারী। তৃতীয়ত, দেশের সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা বা কর্মচারীদেরও অনলাইনে রিটার্ন প্রদান করতে হবে।
এ ছাড়া ছয়টি বড় বিদেশি কোম্পানিতে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দিতে হবে। এই কোম্পানিগুলো হলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং নেসলে বাংলাদেশ পিএলসি।
এর আগে গত সোমবার দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন দাপ্তরিক লেনদেনে ডিজিটাল প্রযুক্তি চালুর বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঐ বৈঠকে বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের সব সরকারি কর্মকর্তাদের ই-রিটার্ন পোর্টালের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
এ ছাড়া বড় শিল্প গ্রুপগুলোকেও ই-রিটার্ন জমা দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্তের এক দিন পর এনবিআর বিশেষ আদেশ জারি করল।
২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম গত ৯ সেপ্টেম্বর করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এরপর ২ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আয়করের ই-রিটার্ন জমার সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সরকার আশা করছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১০ লাখ করদাতা অনলাইনে আয়কর নথি বা রিটার্ন জমা দেবেন।
অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাচ্ছে। আবার এই সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন। এ ছাড়া দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে। সূত্র: প্রথম আলো