a বিশ্ব কিডনি দিবস আজ
ঢাকা সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বিশ্ব কিডনি দিবস আজ


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ, ২০২২, ১২:১৯
বিশ্ব কিডনি দিবস আজ

ফাইল ছবি

দেশের কিডনি রোগীদের চিকিত্সা পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। যে পরিমাণ রোগী রয়েছে, সে অনুযায়ী চিকিত্সা ব্যবস্থা নেই। ডায়ালাইসিস সেবা পাওয়া যেন অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। ডায়ালাইসিস করতে অনেকের এক মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। যাদের সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করে বেঁচে থাকতে হয়, তাদের কী অবস্থা হয়, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিডনি চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে গিয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি অনেক উচ্চবিত্তও সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। দেশে কিডনি রোগীদের মধ্যে অনেকেই দরিদ্র। চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালই তাদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু দেশে সরকারিভাবে একমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসাপাতালে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হয়। আর কিডনি ডায়ালাইসিস হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি কিডনি ফাউন্ডেশনে কিডনি ডায়ালাইসিস হয়। এই দুটি হাসপাতালে তুলনামূলক কম মূল্যে কিডনি চিকিৎসা হয়। এই দুটি হাসপাতালে নিয়মিত কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট হচ্ছে। আর বেসরকারি আরো কিছু হাসপাতালে কিডনি চিকিৎসা হলেও সেখানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হয় না।

সারা দেশ থেকে কিডনি রোগীরা চিকিৎসা পেতে ঢাকায় চলে আসেন। দিনে ১০০ জনের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হলেও মাত্র চার জনকে দেওয়া সম্ভব হয়। এ অবস্থার পরিবর্তন না হলে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাওয়া কিডনি রোগ অচিরেই মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গ্রামাঞ্চলের রোগীদের সুচিকিত্সার জন্য প্রত্যেক সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৃথক কিডনি ইউনিট চালু, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ, জেলা শহরে অন্তত একটি ডায়ালাইসিস সেন্টার এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম চালু করার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রোগপ্রতিরোধে সচেতনার কোনো বিকল্প নেই বলে বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, যেসব কারণে কিডনি নষ্ট হয় সেই ব্যাপারে মানুষজনকে সচেতন করে তুলতে হবে।

আজ বিশ্ব কিডনি দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিশ্ব কিডনি দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতি বছর মার্চের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার এই দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। চলতি বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে—‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য-জ্ঞানের সেতুবন্ধনে সাফল্য’। কিডনি দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পস, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ (বিএসএমএমইউ) বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজি হাসাপাতাল রাজধানীতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সূত্র: ইত্তেফাক

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

হাতুড়ি-শাবল দিয়ে আশ্রয়ণের ঘর ভাঙা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:২২
হাতুড়ি-শাবল দিয়ে আশ্রয়ণের ঘর ভাঙা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সব থেকে দুর্ভাগ্য হলো আমি যখন সিদ্ধান্ত নিলাম প্রত্যেকটা মানুষকে আমরা ঘর করে দেবো, আমাদের দেশের কিছু মানুষ এত জঘন্য চরিত্রের, আমি কয়েকটা জায়গায় হঠাৎ দেখলাম যে কীভাবে ঘর ভেঙে পড়ছে, কোন জায়গায় ভাঙা ছবি ইত্যাদি দেখার পরে পুরো সার্ভে করালাম কোথায় কী হচ্ছে। সেখানে আমরা প্রায় দেড় লাখের মতো ঘর তৈরি করে দিয়েছি। ৩শটা ঘর (ভেঙেছে) বিভিন্ন এলাকায় কিছু মানুষ নিজে থেকে গিয়ে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে সেগুলো ভেঙে ভেঙে তারপর মিডিয়ায় সেগুলো ছবি তুলে দিচ্ছে। তাদের নাম-ধাম এগুলো একদম এনকোয়ারি করে সবগুলো বের করা হয়ে গেছে। আমার কাছে যে পুরো রিপোর্টটা আছে, মানে যারা গরিবের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তারা এইভাবে যে ভাঙতে পারে, সেই ছবিগুলো দেখলে, দেখা যায়।’

আজ বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিডিয়া এগুলো ধারণ করে প্রচার করে, তারা কিন্তু এটা কীভাবে হলো সেটা কিন্তু না। কয়েকটা জায়গায় গেছে, যেমন এক জায়গায় ৬শ ঘর সেখানে হয়তো ৩/৪টা ঘর, ঐ যে প্রবল বৃষ্টি হলো যখন এজন্যই মাটি ধসে কয়েকটা ঘর নষ্ট হয়েছে। মাত্র ৯টা জায়গায় আমরা পেয়েছিলাম যেখানে কিছুটা দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে, মাত্র ৯টা জায়গায়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেখেছি যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে ঘর নির্মাণে প্রত্যেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। আমাদের ইউএনও-ডিসি সমস্ত কর্মচারীরা ছিল তারা কিন্তু অনেকে নিজেরা এগিয়ে এসেছে এই ঘরগুলো তৈরিতে সহযোগিতা করার জন্য। যারা ইট তৈরি করে তারাও এগিয়ে এসেছে, অল্প পয়সায় তারা ইট দিয়ে দিয়েছে। এভাবে সবাই। সবার সহযোগিতা, আন্তরিকতাটাই বেশি। কিন্তু এর মধ্যে দুষ্টু বুদ্ধির কিছু... এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্টকর। যখন এটা গরিবের ঘর, সেখানে হাত দেয় কীভাবে?’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নবীনে মুখর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়


জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ০৯ মার্চ, ২০২২, ১২:২৯
নবীনে মুখর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

ফাইল ছবি

এসো হে নবীন, বাজিয়ে সুর-লহরী উল্লাসিত নব বীণ। আজ সুর মিলিয়ে গাইব জয়যাত্রার গান, আনন্দে আহ্লাদিত নবীন প্রাণ। দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর শেষে নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। নবীনদের আগমনে ক্যাম্পাসে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।

এবারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ৩৬ টি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ২ হাজার ৭৬৫ জন শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) নবীন শিক্ষার্থীদের পৃথকভাবে বরণ করে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্ব স্ব  বিভাগ। নবীন শিক্ষার্থীদের পরিচয় পর্ব, শিক্ষার্থীদের অনুভূতি, শিক্ষকদের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য, নবীনদের ফুল, বইসহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবীনদের বরন করে নিয়েছে।

সকাল ১১টায় বিভিন্ন বিভাগে উদ্বোধনী ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের নিজস্ব বাসগুলোয় ছিল নবীনদের উপচে পড়া ভিড়।

ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই ক্যাম্পাসে আসতে থাকেন নবীন শিক্ষার্থীরা। সবুজ ছায়ায় আচ্ছন্ন বিভিন্ন আড্ডা স্থান যেমন শান্ত চত্বর, শহীদ মিনার, কাঁঠাল তলা, টিএসসিসি, পোগোজ মাঠ ও বিভিন্ন ভবনের প্রাঙ্গণসহ পুরো ক্যাম্পাস নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে ব্যস্ত সবাই। চলছে বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তোলার ধুম।

এদিকে নারী দিবস উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম শুরূ করেছে।

প্রথম দিনের ক্লাসের অনুভূতি জানতে চাইলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় স্বপ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে পেরে অনকে ধন্য মনে করছি।”বিশ্ববিদ্যালয় যে জ্ঞান-ভান্ডার ও প্রেরণার বাতিঘর তা প্রথম দিনেই উপলদ্ধি করলাম।”

এ বিষয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থী তন্ময় মৃধা বলেন- স্কুল-কলেজের গন্ডি পেরিয়ে প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। করোনা পরিস্থিতির কারনে কম  বেশি সবারই স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছিল। তার উপর ভর্তিযুদ্ধের বাড়তি চাপ ছিল ভর্তিচ্ছুদের। সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থায় পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের।

যেহেতু অটোপাশের তকমা লেগে গিয়েছে তাই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাই ছিল মেধার স্বাক্ষর রাখার উপযুক্ত মঞ্চ। তাই মহামারির মধ্যেও নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। গুচ্ছ অধিভুক্ত ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি এবং আশানুরূপ ফলাফল অর্জন করি। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল আমার প্রথম পছন্দ। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপা ও মা-বাবার আশীর্বাদে আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ অর্জন করি। দেশের অন্যতম সেরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সবাই ভীষণ আনন্দিত।

করোনা পরবর্তী সময়ের পর সশরীরে  ক্লাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরিবেশ, আমার সহপাঠী, শ্রদ্ধেয় শিক্ষক-শিক্ষিকা সবকিছু  মিলিয়ে এক অন্যরকম অনুভুতি।

 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - জাতীয়