a যে কারণে প্রাথমিক স্কুলে ‘খিচুড়ি বিতরণ প্রস্তাব’ বাতিল
ঢাকা শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩২, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

যে কারণে প্রাথমিক স্কুলে ‘খিচুড়ি বিতরণ প্রস্তাব’ বাতিল


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০১ জুন, ২০২১, ১১:৩৬
যে কারণে প্রাথমিক স্কুলে খিচুড়ি বিতরণ প্রস্তাব বাতিল

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি বিতরণের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে তার বদলে অন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় মঙ্গলবার (০১ জুন) এ নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব কথা বলেন।

এ বিষয়ে জানা গেছে, একনেক সভায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ১ কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে সপ্তাহের পাঁচ দিন খিচুড়ি, এক দিন বিস্কুট খাওয়ানোর একটি প্রকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করে। ‘প্রাইমারি স্কুল মিল’ শিরোনামের প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ দেখানো হয় ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। কিন্তু প্রকল্পটি অনুমোদন না করে ফেরত পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়নি। কারণ, স্কুলের শিক্ষার্থীদের খিচুড়ি বিতরণ করতে গেলে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে হবে। এনজিও নিয়োগ দিতে হবে। হাঁড়িপাতিল কেনাকাটা করতে হবে। চাল, ডাল, তেল, শাকসবজি এসব কিনতে হবে।
 
তারা আরো জানান, এতে শিক্ষার ওপর ব্যাঘাত ঘটতে পারে। এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে স্কুলের শিক্ষকরাও রান্না এবং কেনাকাটার দিকে মনোযোগী হয়ে উঠতে পারেন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাই এত বিশাল কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন না করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কলা-বিস্কুট, দুধ-ডিম দেওয়া যায় কিনা, সেটি ভেবে দেখতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণের উদ্যোগ ভালো। কিন্তু এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে নানা ধরনের জটিলতা তৈরি হবে। তবে সমাজের বিত্তশালী কেউ যদি নিজেদের টাকায় স্কুলে খাবার বিতরণ করতে চান, সেটা উন্মুক্ত থাকবে। কিন্তু এত বিশাল বাজেট দিয়ে সরকারের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সরকারের এই মুহূর্তে দুই চ্যালেঞ্জ- ওবায়দুল কাদের


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৭:২৮
সরকারের এই মুহূর্তে দুই চ্যালেঞ্জ- ওবায়দুল কাদের

ফাইল ছবি

এই মুহূর্তে সরকারের দুই চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করাই হচ্ছে সরকারের চ্যালেঞ্জ। এই দুই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি কাজের সুসমন্বয় এবং দলের ঐক্য আরও সুসংহত করা আশু জরুরি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার লিংক রোড থেকে উনচিপ্রাং পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার সম্প্রসারিত সড়কের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় নিজ সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এ সময় ভেদাভেদ ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ লড়াইয়ের সাহসী কাণ্ডারি শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। করোনা মোকাবিলায় সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব লঞ্চডুবির সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগকেও মিলিয়ে ফেলেছেন। কোনটি সরকারের দায়, কোনটি নয়—সেটিও বিবেচনায় নেওয়ার সক্ষমতা হারিয়েছে বিএনপি। সমালোচনা বিএনপিকে এমনই অন্ধ করেছে যে, এখন কালবৈশাখীর মৃত্যুর দায়ও সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো দেখা যাবে বজ্রপাতে নিহতের ঘটনায়ও সরকারকে দায়ী করছে বিএনপি।’

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ৩১ আগষ্ট, ২০২২, ১১:১৪
সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই

ফাইল ছবি: মিখাইল গর্বাচেভ

সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ আর নেই। মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

রুশ সংবাদ সংস্থার বরাতে বিবিসি ও রয়টার্স গর্বাচেভের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে। রাশিয়ার সেন্ট্রাল ক্লিনিকাল হাসপাতাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গুরুতর ও দীর্ঘকালীন অসুখে ভুগে মিখাইল গর্বাচেভ আজ মারা গেলেন।’

রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, গর্বাচেভের মৃত্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোক জানিয়েছেন।

মিখাইল গর্বাচেভ বিশ্বে নন্দিত ও নিন্দিত দুটোই। এক সময়ের কমিউনিস্ট নেতা ছিলেন গর্বাচেভ। রাশিয়ায় দীর্ঘসময় ধরে চলা সমাজতন্ত্রের পতন হয়েছিল তার নেতৃত্বেই। ওই পতনের মধ্য দিয়ে বিশ্বে স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটে।

তাই সমাজতন্ত্রবাদীদের কাছে নিন্দিত গর্বাচেভ স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য অনেকের কাছে নন্দিত। অনেক রুশ গর্বাচেভকে ঘৃণা করেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, পরাশক্তি থেকে রাশিয়াকে দুর্দশাগ্রস্ত দেশের কাতারে নিয়ে আসার জন্য অনেক রুশ এখনও গর্বাচেভকে ক্ষমা করতে পারেন নাই।

সোভিয়েত পতনের পর নিজেও ক্ষমতা হারান গর্বাচেভ।  এর পর পশ্চিমা দেশগুলোতে বক্তৃতা দিয়েই সময় পার করেছেন। ১৯৯৯ সালে স্ত্রী রাইসা গর্বাচেভের মৃত্যুতে অনেকটাই ভেঙে পড়েন তিনি।

১৯৯৬ সালে পরিবর্তিত রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন গর্বাচেভ, তবে ভোট পেয়েছিলেন মাত্র ৫ শতাংশ।

রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক সময় কড়া সমালোচক ছিলেন গর্বাচেভ। তবে ২০১৪ সালে পুতিনের নির্দেশে যখন ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া, তখন তার পক্ষেই ছিলেন তিনি। গত বছর গর্বাচভের ৯০তম জন্মদিনে তাকে আবার প্রশংসায় ভাসিয়েছিলেন স্বয়ং পুতিন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - জাতীয়