a
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকালে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট।
এ সময় আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার ৭ তলা ভবনে। এ ঘটনায় মিনা আক্তার (৪০) ও স্বপ্না রানী নামে দুই শ্রমিক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
হতাহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিকের বেশি বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজে ১৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালালেও আড়াই ঘণ্টার মধ্যেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ওই কারখানায় ৭-৮ হাজার লোক কর্মরত আছেন বলে শ্রমিকদের মাধ্যমে জানা যায়।
এদিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার মো. শাহাদাত হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানার হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ২ জন নিহত হয়েছেন।
অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল আল আরেফিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে শুনেছি ওয়েল্ডিংয়ের কারণে কারখানায় আগুন লাগে।
ফাইল ছবি: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে তাদের কার্যক্রমে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন রোববার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে বলেন, 'পুলিশ সদস্যদের কাজ যাতে জনবান্ধব হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।'
রাষ্ট্রপতি বলেন, পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে। জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তিতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন। খবর বাসস
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, 'তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তিজ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।' রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: সমকাল
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
৪৮তম বিসিএসে উত্তীর্ণ চিকিৎসকদেরকে নিয়োগের দাবিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি মো: সাইফুল আলম সরকার, ঢাকা: দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চলমান চিকিৎসক সংকট নিরসন এবং ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারের ওভারলিপিং নিরোসনে ৪৮ তম বিসিএস থেকে ৩১২০ জন এর অতিরিক্ত লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অপেক্ষমান চিকিৎসকদের নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ৪৮তম বিসিএস নিয়োগপ্রত্যাশী সাধারণ চিকিৎসক ফোরাম।
তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ ১৩/১০/২০২৫ইং দুপুরে রাজধানী ঢাকার মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন হয়। ডা: গোলাম সামদানী, ডা: শরিফ, ডা: সাদমান সাকিব রাফি, ডা: আল মুনতাসির এবং ডা: সেজানা খানের নেতৃত্বে এই অবস্থান কর্মসূচিতে তারা বলেন, উপজেলায় পদ খালি স্বাস্থ্য সেবায় জোড়াতলী, ডাক্তার বঞ্চিত জাতি লজ্জিত, উপজেলা ডাক্তারদের সংকট নিরসন চাই, সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার শূন্য ৪৮ থেকে নিতে আপত্তি কেন, উপজেলায় রোগী মরে ইন্টারিম কি করে?, ইফতারি সহ আরো অনেক স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তারা।
৪৮তম বিসিএস নিয়োগপ্রত্যাশী সাধারণ চিকিৎসকদেরকে শুন্য পদে নিয়োগ দেবার আহ্বান জানান বারবার। ডা: গোলাম সামদানী বলেন, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে নিয়োগ প্রদান করুন। কারন ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ। তাই সরকারের নিকট আমাদের আহ্বান, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শুন্য পদে আমাদের নিয়োগ দিন এবং জনগণের সেবা করার সুযোগ দিন। এর আগে তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সমাবেশ এবং সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে সকল ডাক্তাররা বলেন, সমাজের বিত্তশীলেরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে চিকিৎসা নিতে পারেন এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন। তবে তৃণমূলের অধিকাংশ জনগোষ্ঠীর একমাত্র অবলম্বন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহ। প্রায় ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ ফাঁকা রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত দুরূহ।
উপস্থিত সকল সাংবাদিকদের সামনে ডা: সাদমান সাকিব রাফি বলেন, আমরা ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস –এ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে নিয়োগ প্রদান প্রসঙ্গে আমরা ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ নিয়োগবঞ্চিত চিকিৎসকবৃন্দ। বর্তমানে স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২,৯৮০টি চিকিৎসক পদ শূন্য রয়েছে। ফলশ্রুতিতে সাধারণ জনগণ পর্যাপ্ত সরকারি চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।
বর্তমান সরকার প্রান্তিক পর্যায়ে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ তার মধ্যে অন্যতম। ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে চিকিৎসক নিয়োগ চলমান রয়েছে, যা বর্তমান সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সফলতা। ইতোমধ্যে ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর মাধ্যমে ৩১২০ জনকে সহকারী সার্জন পদে চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ৪৪তম, ৪৫তম ও ৪৬তম বিসিএস-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া অসমাপ্ত থাকায় ওই বিসিএসগুলোর নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে অপেক্ষমান চিকিৎসকরাও ৪৮তমতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ প্রায় ১৫০০ জন প্রার্থী ৪৪তম-৪৬তম বিসিএসের নিয়োগের বিভিন্ন পর্যায়ে অপেক্ষমান রয়েছেন। ৪৭তম বিসিএস-এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।
৪৪তম-৪৮তম বিসিএসে সর্বমোট ৭৩৪৬টি পদ থাকলেও পূর্ববর্তী বিসিএসগুলোর নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে ৪৮তম থেকে নিয়োগ প্রদান করা হলে আনুমানিক ২২০০ রিপিট প্রার্থী থাকবে। রিপিট প্রার্থীরা সিনিয়রিটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কারণে ৪৪তম, ৪৫তম, ৪৬তম ও ৪৭তম বিসিএসে যোগদান করবে। অর্থাৎ, ৪৮তম বিশেষ বিসিএসের সহকারী সার্জন পদগুলো পুনরায় ফাঁকা হয়ে যাবে এবং চিকিৎসক সংকট নিরসন হবে না; যা রাষ্ট্রের সময়, অর্থ ও শ্রমের অপূরণীয় ক্ষতি। একই সাথে বিশেষ বিসিএস নেওয়ার মাধ্যমে তৃণমূল জনগোষ্ঠীকে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা জোরদারের উদ্দেশ্যও ব্যর্থ হবে।
এছাড়াও, মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের দেওয়া তথ্যমতে, আরও ৩,০০০ শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে স্বাক্ষরিত হয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এর বিজ্ঞপ্তির বিশেষ নির্দেশনায় বলা আছে – নতুন পদ সৃষ্টি, পদ বিলুপ্তি, পদোন্নতি, অবসর গ্রহণ, মৃত্যু, পদত্যাগ অথবা অপসারণ ইত্যাদি কারণে বিজ্ঞাপিত শূন্যপদের সংখ্যা পরিবর্তন হতে পারে। যেহেতু ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং চূড়ান্ত গেজেট হবার আগেই ৩,০০০ শূন্যপদে চিকিৎসক নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে, সেহেতু অবিলম্বে ৪৮তম বিশেষ বিসিএস-এর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মেধাক্রমের ভিত্তিতে শূন্যপদে নিয়োগের সুপারিশ করার আবেদন জানানো যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এখনও ৪৪তম বিসিএস-এর নিয়োগের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ সম্ভব হয়নি।
তাই ৫০তম বিসিএস-এর চূড়ান্ত নিয়োগও নিকট ভবিষ্যতে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। এমতাবস্থায়, সহকারী সার্জন পদে পর্যাপ্ত শূন্যপদ থাকায় রিপিট প্রার্থীর সংখ্যা ও সাধারণ বিসিএস-এর দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়গুলো আমলে নিয়ে, ৪৮তম (বিশেষ) বিসিএস-এ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকলকে সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর আবেদন জানানো যাচ্ছে।