ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী অ্যাভিগডর লিবারম্যান করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল শনিবার কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি স্বেচ্ছায় আইসোলেশনে আছেন এবং বাসা থেকে কাজ চালিয়ে যাবেন। খবর রয়টার্স।
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি এবং আগামী কয়েক দিন আইসোলেশনে থাকব।’ গত ১০ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রী লিবারম্যান করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগােযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। এর আগে, গত সোমবার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়ার লাপিদের করোনায় আক্রান্ত হন।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে দৈনিক সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। মহামারি মোকাবিলায় জারিকৃত কড়া বিধি-নিষেধের কারণে অনেক কর্মচারী আইসোলেশনে আছেন এবং গ্রাহকরা বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় ব্যবসায়ীরাও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় ইসরায়েলি অনেক নাগরিক অর্থমন্ত্রী লিবারম্যানের কঠোর সমালোচনা করে আসছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করলেন দেশটির স্বশাসিত অঞ্চল ডোনেটস্কের প্রেসিডেন্ট দেনিস ভ্লাদিমিরভিচ পুশিলিন।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ রাশিয়ার অংশ এবং এগুলোকে অবশ্যই মুক্ত করে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
দেনিস ভ্লাদিমিরভিচ পুশিলিন বুধবার নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেয়া এক পোস্টে লিখেছেন, কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসার মতো ‘রুশ শহরগুলো’ মুক্ত করার সময় এসেছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’ এর প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রশ্নগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ততার সমালোচনা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২১ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডোনেটস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার নির্দেশ দেন পুতিন। গত পাঁচ মাস ধরে চলা এ অভিযানে এ পর্যন্ত ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রাশিয়া।
ডোনেৎস্কের প্রেসিডেন্ট আরও লিখেছেন, “রাশিয়ার জনগণের হাতে নির্মিত শহরগুলোকে মুক্ত করে রাশিয়ায় ফেরত আনার সময় এসেছে; কিয়েভ, চেরনিহাভ, পুলতাওয়া, ডেনপ্রোপেত্রোফেস্ক, খারকিভ, ওডেসা, জাপোরিঝঝিয়া এবং লুটেস্ককে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে। সূত্র: ফক্সনিউজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পর পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অঙ্ক বিজলেভেল্ড। শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তিনি বলেছেন, গত মাসে আফগানিস্তান থেকে শরণার্থীদের সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় নিয়ে তিনি পদত্যাগ করবেন। এর আগে বৃহস্পতিবার একই ইস্যুতে পদত্যাগ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগ্রিড কাগ। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বৃহস্পতিবার সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ অভিযোগ করে বলেছে, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে ডাচ সরকারের ধীরগতির প্রতিক্রিয়ার জন্য উভয় মন্ত্রীই (অঙ্ক বিজলেভেল্ড ও সিগ্রিড কাগ) দায়ী। নেদারল্যান্ডে আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য, এমন হাজার হাজার আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে এই দুই মন্ত্রী।
অবশ্য বিজলেভেল্ড প্রথমে বলেছিলেন যে, তিনি থাকবেন। কিন্তু তার নিজের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটস পার্টির সদস্যদের তীব্র সমালোচনার মুখে একদিন পরই পদত্যাগ করার নিদ্ধান্ত নিলেন।
অঙ্ক বিজলেভেল্ড বলেন, যারা আফগানিস্তানে এখনো আছেন এবং আমাদের নিরাপত্তার উপর নির্ভর করেন, তাদের আনার জন্য আমি আমাদের মিশন শেষ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার অবস্থান এখন আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেছে। ফলে যারা আমার জন্য কাজ করে তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি বাধা দিতে চাই না। তাই এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।
গত মাসে আফগানিস্তানে আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিশন শেষ করেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী। দীর্ঘ ২০ বছর পর আবারও দেশটির ক্ষমতা দখল করেছে উগ্রপন্থী তালেবান। এমতাবস্থায় আফগানিস্তান থেকে বিদেশি নাগরিক, কূটনীতিক ও ঝুঁকিকে থাকা আফগানদের সরিয়ে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এ কারণে কাবুল বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সেসব দায় নিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন এই দুই ডাচ মন্ত্রী।