a
ফাইল ছবি: ইরান ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলে
মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যেই ইসরাইলে বেশ কয়েক ডজন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি)।
এদিকে, ইসরাইলের দাবি করেছে, শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। ওদিকে লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তারা বলেছে, তাদের অভিযান হবে সীমিত। কিন্তু হিজবুল্লাহ ইসরাইলি সেনাদের এ দাবিকে অস্বীকার করেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, ইতিহাসে সবচেয়ে বিপজ্জনক একটি সময়ের মুখোমুখি তার দেশ। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগেই হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রশাসন ইসরাইলকে সুরক্ষিত রাখতে প্রস্তুত। হিজবুল্লাহকে সমর্থন দিয়েছে তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া। এসব দেশ যদি এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে ভয়াবহ এক যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠবে। অন্যদিকে, গাজায় উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সেখানে মঙ্গলবার তারা কমপক্ষে ২৯ জন নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
এ নিয়ে গত বছর ৭ই অক্টোবর থেকে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪১,৬৩৮ জন। জর্ডান থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক নিলস আদলার বলছেন, দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। আম্মানের আকাশের ওপর দিয়ে তা উড়ে যায়। তবে এবার তার অনেকগুলোকে আকাশে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। এতে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইসরাইলের উগ্র ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, গাজা, হিজবুল্লাহ ও লেবাননের মতোই শোচনীয় পরিণতি ভোগ করতে হবে ইরানকে। এমন অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ওই অঞ্চলে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নিরাপদ রাখতে এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে রক্ষা করতে ইসরাইলকে সমর্থন করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের কাছে রাস্তায় গোলাগুলি হয়েছে। তাতে বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে। তবে সংখ্যা জানা যায়নি। সূত্র:মানবজমিন
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কুখ্যাত ইউনিট নেতজাহ ইয়েহুদা। ইহুদিবাদী এই বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইসরায়েল বলছে, তাদের সেনাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার এই মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেছেন, আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত হবে না। আমাদের সৈন্যরা সন্ত্রাসী দানবদের সঙ্গে লড়াই করছে।
ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতামার বেন গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচও মার্কিন পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়েছেন। গভির বলেন, আমাদের সেনাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা মানে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা।
ইসরায়েলি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল।
ফাইল ছবি
দক্ষিণ ও পূর্ব ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে ফের বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী। খবর আল-জাজিরার।
বিমান বাহিনী মঙ্গলবার ভোরে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বলেছে, ওডেসার দক্ষিণ বন্দর এবং মাইকোলাইভ, ডোনেটস্ক, খেরসন, জাপোরিঝিয়া এবং ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলগুলো রাশিয়ান ড্রোন হামলার হুমকির মধ্যে ছিল।
এছাড়া পোলতাভা, চেরকাসি, দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক, খারকিভ এবং কিরোভোহরাদ অঞ্চলে আক্রমণ করার জন্য রাশিয়া ব্যালিস্টিক অস্ত্রও ব্যবহার করতে পারে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী জানিয়েছে।
এদিকে ওডেসা অঞ্চলের সামরিক প্রশাসনের প্রধান ওলেহ কিপার জানান, অঞ্চলগুলোর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে নিয়োজিত ছিল।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম সড়ক ও রেল সেতুতে ‘হামলার’ পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে রুশ-নির্মিত এই সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এছাড়া এই হামলায় দু’জন নিহত হন। রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভাচিস্লাভ গ্লাদকভ টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামলায় অল্প বয়সী একটি মেয়ের বাবা ও মা নিহত হয়েছেন। সূত্র: ইত্তেফাক