a
ফাইল ছবি
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম এখন ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ‘কোমা’য় আছেন।
হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রোশান ফুলবান্ধে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে বলেন, ‘ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা গুরুতর... তিনি সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনের সহায়তায় বেঁচে আছেন... তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে... তিনি কোমায় আছেন।’
হাসপাতালের মেডিকেল সার্ভিসেস ডিরেক্টর ডা. সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান ডা. রঞ্জন বারোকার, এবং ডা. বীরেন্দ্র বেলেকারের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম।
শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন কাইউম অসুস্থ বোধ করেন।
পরবর্তীতে বিমানটিকে মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করানো হয়।
আকাশে অসুস্থ হয়ে পড়ার সাথে সাথেই ক্যাপ্টেন কাইউম কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে বিমানটির নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটিকে তার নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলটই বিমানটিকে অবতরণ করান। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের বিমানটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাইই নিরাপদে ছিলেন।
এদিকে শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। সূত্র: ইত্তেফাক
রাজধানীতে বারে অভিযানে গিয়ে নিজেরাই মদ্যপানে ব্যস্ত (ভিডিও)
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু হানিফ মোহাম্মদ আবদুল আহাদের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দলের সদস্যরা রাজধানীর একটি বারে অভিযানে গিয়ে নিজেরাই মদ্যপানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । অভিযান শেষে পরদিন দাবী করা হয়, আইরিশ পাব এন্ড রেস্টুরেন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ উদ্ধার করেছেন তারা।
রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকার রেস্টুরেন্টটিতে অভিযানের সময় গেল বৃহস্পতিবার ১৮ মার্চ তাদের মদপানের দৃশ্য ধরা পড়ে প্রতিষ্ঠানটির সিসিটিভির ফুটেজে। খবর ডিবিসি নিউজের
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের একজন সহকারি পরিচালক বারটিতে অভিযানে প্রায় ৩০ জনের দলকে নেতৃত্বে দেন। ঘটনাস্থলে এসময় বারটির অবৈধ দেশি-বিদেশি মদ উদ্ধারে যেমন ব্যস্ত ছিলেন দলটির সদস্যরা অন্যদিকে মদপানেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে।
সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় যে, অভিযান পরিচালনাকারী দলের একজন আনসার সদস্য নিজে মদপান করেন। পরে তার কাছ থেকে নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরাও মদপান করেন।
এছাড়া সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজে আরো দেখা যায় যে, অভিযান দলের একজন আনসার সদস্যও নিজে মদপান করেন। পরে তার কাছে নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরাও মদ্যপান করেন। অভিযানের সময় বারটিতে কর্মরত কয়েকজনকে মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
তাদের একজন বলেন যে, পায়ে মারতে মারতে লাঠি ভেঙে ফেলেছে। আমি শুয়ে পড়ার পর লাথি মেরেছে।
আরেকজন বলেন, দেখলাম তিন-চারজন লোক কাঠের লাঠি হাতে দৌড়চ্ছে। তখন আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কি হয়েছে? আমাকে বলে, শু… বাচ্চা, গোডাউন কোথায় বল। বলতে বলতে আমাকে পেটানো শুরু করে।
যদিও পরদিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযানের সফলতার কথা তুলে ধরেন সংস্থাটির মহাপরিচালক নিজেই।
অভিযানে গিয়ে দলটির মদপান কতোটুকু যৌক্তিক এমন প্রশ্নে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে তারা কিছু একটা খেয়েছে। আমি একদিকে বসে ছিলাম। তবে সেরকম যদি কিছু ঘটেই থাকে তাহলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ছবি সংগৃহীত
ঢাকা প্রতিনিধি: জেবুন ইনডেক্স ট্রেড সেন্টারের ১১তলায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘ল’ টেম্পল চেম্বার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক গরীব মানুষ আছে। এখানে মানুষের সেবা করার যত সুযোগ আছে, এতো সুযোগ পৃথিবীতে খুব কম দেশেই আছে। গরীব মানুষের সেবা করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি থাকে।’ কনিষ্ঠ আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেছেন সারাদেশের আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েমের চেম্বার ‘ল’ টেম্পলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
শুক্রবার (২০ জুন) রাজধানীতে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর বিজয়নগরে অবস্থিত জেবুন ইনডেক্স ট্রেড সেন্টারের ১১তলায় এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই চেম্বারের পথচলা শুরু।
অনুষ্ঠানে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘আইন ও ন্যায়বিচার মানুষের মৌলিক অধিকার। ব্যারিস্টার সায়েম সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই মহৎ উদ্যোগটি নিয়েছেন। আমি তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
বিএনপি সবসময়ই জনগণের কল্যাণে কাজ করে। ‘ল’ টেম্পল’-এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মানসম্মত আইনি সেবা পাবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। মানবাধিকার রক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’
ব্যারিস্টার আবু সালেহ মো. সায়েম উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল - আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যা মানুষকে কেবল পরামর্শ নয়, প্রয়োজনে সুরক্ষা ও প্রতিনিধিত্বের সুযোগও দেবে। ‘ল’ টেম্পল’-এর মাধ্যমে আমরা দেওয়ানি, ফৌজদারি, করপোরেট, মানবাধিকার, পরিবার আইনসহ বিভিন্ন শাখায় আইনি সেবা প্রদান করবো। এই প্রতিষ্ঠান হবে জনগণের কণ্ঠস্বর, ন্যায়ের প্রতিচ্ছবি।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞ আইনজীবী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজনের উপস্থিতিতে মিলনমেলায় রূপ নেয় জেবুন ইনডেক্স ট্রেড সেন্টার।
ব্যারিস্টার আবু সায়েম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন এবং ইউনিভার্সিটি অব ল-এ বার ভোকেশনাল কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ‘দ্য অনারেবল সোসাইটি অব দ্য মিডল টেম্পল’-এর সদস্য হিসেবে Barrister-at-Law হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে আইন পেশায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই আইনজীবীর দেশে ফেরার উদ্যোগকে স্বাগতম জানিয়ে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের দেশে মেধার বিকাশের অনেক প্রয়োজন রয়েছে।