a
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী (এ
কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বনবিভাগের ঝিলংজা বনভূমির ৭০০ একর জায়গাতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের বিরোধিতা করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিরোধিতা করা হয়। সংসদীয় কমিটি বলেছে, সরক্ষিত ওই বিপুল বনভূমি কীভাবে বরাদ্দ দেয়া হলো- তা খতিয়ে দেখা হবে। ওই জায়গায় যাতে প্রকল্পটি গ্রহণ না করা হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে কমিটি।
সাবের হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন- কমিটির সদস্য পরিবেশনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, নাজিম উদ্দিন আহমেদ, তানভীর শাকিল জয়, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন ও মো. শাহীন চাকলাদার।
সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য আরেকটি প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণ করতে সংরক্ষিত বনভূমির ৭০০ একর জায়গা বরাদ্দ দেয়ার খবর বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশ হয়। জমি এক টাকা প্রতীকী মূল্যে প্রশিক্ষণ একাডেমি নির্মাণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ওই এলাকা প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন।
এর আগে ২০১৮ সালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধু একাডেমি অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নির্মাণের জন্য পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিবেশ অধিদফতরের কাছে অনাপত্তিপত্র চায়। সংস্থাটি ওই বছরই বিভিন্ন শর্তে অনাপত্তিপত্র দিয়ে দেয়।
বন অধিদফতর বলছে, বনভূমির মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মন্ত্রণালয়ও বলেছে, ওই এলাকায় প্রস্তাবিত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই জমি বরাদ্দ নিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, প্রতিবেশগতভাবে সঙ্কটাপন্ন এ বনভূমিতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা নিষেধ।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা যেখানে বেদখলে থাকা বনভূমি উদ্ধার করছি, সেখানে সরকারের আরেকটি সংস্থা যদি জমি নিয়ে নেয়, এটা তো ঠিক নয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা বোঝার চেষ্টা করছি এটা কীভাবে হলো। যদি কেবল জমির দাগ ও খতিয়ান দেয়া হয় এবং ভূমির আকার ও প্রকৃত বর্ণনা না করা হয়, সেটা হতে পারে কি না। আমরা মনে করি, সেটাই হয়েছে। এটা আমরা দেখব। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে যে অনুমতি এসেছে, সেই দফতর হয়তো এই বিষয়টি পুরোপুরি জানে না।
এদিকে বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কক্সবাজারে ওই বনাঞ্চলের ৭০০ একর জায়গায় জনপ্রশাসন একাডেমি নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে পর্যালোচনা করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে কমিটি। সূত্র: নয়াদিগন্ত
ফাইল ছবি: নবনির্মিত ডাক ভবন
নবনির্মত ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর ‘ডাক ভবন ’ এর আগামীকাল আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে। ডাক বাক্সের মডেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত নান্দনিক এই ভবনটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে অনলাইনে শুভ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে নিজে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো: আফজাল হোসেন এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: সিরাজ উদ্দিনসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও এর অধীন দপ্তর ও সংস্থা সমূহের কর্মকর্তাগণ স্বাস্থ্য বিধি মেনে আগারগাঁও প্রান্ত থেকে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।
৯১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর ঢাকার আগারগাঁওয়ে দৃষ্টিন্দন এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। ২টি বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা ভবন নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের সদরদপ্তর শীর্ষক প্রকল্পটি গত ২০ মার্চ ২০১৮ তারিখ একনেকে অনুমোদিত হয়। নবনির্মিত ডাক ভবনটিতে থাকছে সুসজ্জিত ও সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, আধুনিক পোস্টাল মিউজিয়াম, সুপরিসর অডিটরিয়াম, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, মেডিক্যাল সুবিধা, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং সার্বক্ষণিক ওয়াইফাইসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তিগত সুবিধা রাখা হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই তৎকালীন ঢাকা জিপিও ভবনের কয়েকটি কক্ষ নিয়ে ডাক অধিদপ্তরের যাত্রা আরম্ভ হয়। তীব্র স্থান সংকটের মধ্যে স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকার গুলিস্তানে অবস্থিত ঢাকা জিপিও ভবন এর তৃতীয় তলায় ডাক অধিদপ্তরের প্রশাসনিক সদর দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। ঢাকা জিপিও প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো হয়ে যাওয়ায় ভবনটির উর্ধমুখী সম্প্রসারণ এখন সম্ভব নয়। ফলে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দাপ্তরিক কর্মপরিবেশ ও গতিশীলতা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল। এ অবস্থায় ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ও নান্দনিক স্বতন্ত্র ডাক ভবন স্থাপন করা ছিল একান্ত জরুরী। এ সংকট নিরসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য আন্তরিকতায় বর্তমান সরকার তাঁর উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় উন্নত কর্মপরিবেশ ও প্রশাসনিক কাজে উদ্যম ও গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ডাক অধিদপ্তরের সদর দপ্তর হিসেবে একটি স্বতন্ত্র ভবন স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি এই অনন্য ভবনটি নির্মাণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে পবিত্র হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের বর্ধিত নিবন্ধনের সময় শেষ হচ্ছে আজ। এ জন্য হজের কার্যক্রম সম্পৃক্ত ব্যাংকগুলো ছুটির দিনেও খোলা রাখা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শনিবার হজের নিবন্ধন শেষ হচ্ছে। প্রাক নিবন্ধনের ক্রমিক ২৯৪৬২ এর মধ্যে থাকা হজ যাত্রীদের এই সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত নিবন্ধন করার কথা বলা হয়েছে। নিবন্ধন শেষে নির্ধারিত ব্যাংকে হজের টাকা জমা দিতে পারবেন।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, শনিবার হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত সব ব্যাংক খোলা থাকবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন হজে যেতে পারবেন।
সরকারিভাবে হজে যেতে প্যাকেজ-১-এ পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৩৪০ এবং প্যাকেজ-২-এ পাঁচ লাখ ২১ হাজার ১৫০ টাকা খরচ ধরা হয়েছে। হজ শেষে ফিরতি ফ্লাইট আগামী ১৪ জুলাই শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ আগস্ট। সূত্র: যুগান্তর