a
ফাইল ফটো: আবদুল কাদের মির্জা
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে বলেন, মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এপিএস মহিতুলকে দিয়ে তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের সব খাত থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেন। এই চাঁদার টাকার একটি অংশ প্রশাসনের লোকজনকে, একটি অংশ লন্ডনে তারেক জিয়ার জন্য পাঠান এবং অবশিষ্ট টাকা মন্ত্রীর স্ত্রী রেখে দেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে লাইভে এসে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্ত্রী আজ নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরীর সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন। ঢাকা থেকে প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জাহাঙ্গীর নামে এক ছেলে। সে মন্ত্রণালয়ের বিআরটিএ লুটপাট করে খাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদা নিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। জাহাঙ্গীর এবং জুয়েল মন্ত্রীর স্ত্রীর নির্দেশে এসব করছে। এদের সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ী নাজমুল হক নাজিম, উপজেলা চেয়ারম্যার মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন, ইস্কান্দার মির্জা শামীমও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস যাবত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে এক অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দুইপক্ষের দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর আগে ৯ মার্চ সিএনজিচালক ও শ্রমিক লীগ কর্মী আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, আহত হন আরও অর্ধশতাধিক। এসব বিষয়ে আরেক সংঘর্ষে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হন। উৎস: যুগান্তর
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হরতালের মেয়াদ না বাড়িয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করেছে। রবিবার (২৮ মার্চ) পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
হেফাজতের নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সোমবার (২৯ মার্চ) দোয়া মাহফিল ও শুক্রবার (০২ এপ্রিল) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
হেফাজতে ইসলামের হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালন করার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে জিহাদী বলেন, হেফাজতের ভবিষ্যৎ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হবে। হেলমেট বাহিনী দ্বীনের শত্রু, ইসলামের শত্রু তারা কেউ হেফাজতের নয়। যারা কালেমা জানে বিশ্বাস করে তারা অন্তত বিজেপিকে ভালোবাসতে পারে না।
হেফাজতের এই নেতা বলেন, আহততের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আটকদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হোক আমরা চাই না। সরকার দলীয় লোক বাড়ি বাড়ি হামলার হুমকি দিচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে দাবি মানা না হলে আমিরে হেফাজত বাবুনগরীসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা বসে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক, হেফাজতের ঢাকা মহানগর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাখাওয়াত হোসেন, হেফাজত নেতা আতাউল্লাহ আমিন প্রমুখ। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পুলিশের অভিযানের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করার পর বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয়দের ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাব পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয় জনগন।
সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী বিহারী কলোনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে রবিবার দিবাগত রাতে পুলিশ বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদমজী বিহারী কলোনির সড়ক ও মূল সড়ক অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। পরে পুলিশ তাদের বাধা দিলে তারা রাস্তা ছাড়বেন না বলে জানায়ন। এক পর্যায়ে পুলিশ ধাওয়া দিলে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এ সময় পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় আদমজী শাহী মসজিদে ভারতে মহানবীকে নিয়ে কটূক্তির কথার প্রতিবাদে ইমামের বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ইমামের বক্তব্য চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আজিজুল হক তাকে থামিয়ে বলেন, ‘ভারতের ঘটনা ভারতে থাকুক, এখানে আমরা কোনো বিশৃঙ্খলা যেন না করি। ’
এ সময় তার ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মসজিদের ভেতরে মারধর করে মুসল্লীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান তাকে উদ্ধার করে সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মির্জা শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ১২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলার আসামি ধরতেই নাকি রবিবার দিবাগত রাতে অভিযানে চালায় পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি, বিস্তারিত পরে জানানো হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন