a গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩২, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৪২
গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জন মানুষের যে তালিকা সরকারকে দিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, সেই তালিকার ৩৫ জনকে সরকার এমনিতেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুঁজছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে মন্ত্রী একথা জানান।

বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় ধর্মীয় সংখ‍্যালঘু নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থান ও নিরাপত্তা: ভিশন ২০৪১’ শীর্ষক সেমিনারে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। তাতে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সূত্র দিয়ে বলা হয়, গত ৫ বছরে দেশে ২ হাজার ৮০৩টি হিন্দু বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আয়োজকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে বিস্তারিত তালিকা দেবেন।

হিন্দু বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে হামলার সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী গুমের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, গুমের কথা বলে যে, হাজার হাজার গুম হয়ে গেছে। তালিকা চাইলাম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ৭৬ জনের তালিকা দিল। এর মধ্যে ১০ জন বিএনপির কর্মী। তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। আর ৩৫ জনকে আমরা নিজেরাই খুঁজছি। বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজ, মানুষ হত্যা, সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাদের খুঁজছি। একজন আবার জেলে অবস্থান করছে।

গত বছর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জনের একটি তালিকা বাংলাদেশ সরকারকে দেয়। এ বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপে আলোচনা হয়। গত ১৪ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ঢাকা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই তালিকা নিয়ে কথা বলেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছে


কর্নেল আকরাম, লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:০৯
 বাংলাদেশ ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

নিউজ ডেস্ক: সন্ধিক্ষণ বা ক্রসরোড ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি জাতীয় জীবনের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের জীবনের যে কোনো সময়েই আসতে পারে। "ইতিহাসের ক্রসরোড" বলতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা বোঝানো হয়, যেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, "আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি।"

ক্রসরোড ছিল এমন একটি স্থান যেখানে দুটি পথ বা সীমারেখা মিলে যেত—একটি জায়গা, "না এখানে, না সেখানে।" বিভিন্ন সংস্কৃতি ও পৌরাণিক কাহিনিতে, ক্রসরোডের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী এবং জাদুকরি অর্থ রয়েছে। এটি সাধারণত এমন একটি স্থান হিসেবে চিহ্নিত করা হয় যেখানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, পরিবর্তন এবং রূপান্তর ঘটে, কারণ এটি জীবনগত এবং রূপকভাবে সমসাময়িক জীবনের আন্তঃসংযোগ।

ইতিহাসের ছাত্র হিসেবে, আমরা ইতিহাসকে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যবেক্ষণ করার চেষ্টা করি, সব দিক থেকে বিশ্লেষণ করি এবং সকল দৃষ্টিভঙ্গি পর্যালোচনা করি। আমরা প্রায়ই ইতিহাসের পাঠকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের সমঝোতার জন্য আহ্বান করি।

যেমন পূর্বে ইতিহাস ছিল বিজয়ীদের গল্প, তেমনটি নয়, আমরা ইতিহাসকে নিরপেক্ষভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করি, যেখানে আগের সময়ের নিদর্শনগুলোকে ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তগুলির জন্য অবজেকটিভভাবে উপস্থাপন করা হয়।

এটি আমাদের কর্তব্য, আমাদের ব্যাপক দক্ষতা এবং জ্ঞানকে সঠিক দিকের জন্য ব্যবহার করা, যাতে আমরা বাংলাদেশকে সেই অবস্থায় পুনর্গঠন করতে পারি, যেখানে এটি ১৯৭১ সালে শুরু হওয়া উচিত ছিল। তবে দুর্ভাগ্যবশত, আমরা একটি সঠিক পথ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছি।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের বিপ্লবের মধ্যে ছাত্ররা একটি অনন্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং আমাদের জন্য পরিবর্তনের একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এটি একটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রসরোড ছিল—রাজনীতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, ধর্ম এবং আরও অনেক ক্ষেত্রের ক্রসরোড।

যেহেতু আমরা ইতিহাসের ক্রসরোডে দাঁড়িয়ে আছি এবং আমাদের উপরে সাইনপোস্টগুলো দেখতে পাচ্ছি, একটি সাইনপোস্ট আমাদের পেছনে, একটি ভয়াবহ এবং অপ্রত্যাশিত রাস্তা নির্দেশ করছে। অন্যটি একটি ভালো ভবিষ্যতের দিকে, তবে সে পথ মসৃণ নয়। এটি একটি পথ যার বাঁক এবং কণ্টকপূর্ণ মোড় রয়েছে।

এটি কখনো কখনো আমাদের অগ্রগতি ধীর করে দেবে এবং পিছনে ফিরিয়ে নেবে। তবুও, আমাদের সেই পথটি নিতে হবে, ইতিহাসের সত্য ব্যবহার করে, অবশেষে, একটি রুটম্যাপ হিসেবে, যা আমাদের আগের সময়ের কষ্ট ও সমস্যার পাশাপাশি সামনে আসা নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।

আমরা এক ধরনের ক্রসরোডে রয়েছি, কোনো না কোনো কারণে, যেখানে আপনিই থাকার জন্য নির্ধারিত ছিলেন, তাই সেখানে পথ খুঁজুন। এই ইতিহাসের মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন এমন একজন নেতা, যিনি বাংলাদেশে ঐতিহাসিক এবং সাহসী সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম।

লেখক: কর্নেল আকরাম, সম্পাদক: মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবসে জবি প্রানীবিদ্যা বিভাগের সেমিনার


অমিত রায়, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
শুক্রবার, ০৭ মে, ২০২১, ০৮:৪০
বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবসে জবি প্রানীবিদ্যা বিভাগের সেমিনার

সংগৃহীত ছবি

 

"Sing, Fly, Soar — Like a Bird!" স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ৮ ই মে শনিবার বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২১ (World Migratory Bird Day-2021) পৃথিবীব্যাপি পালিত হতে যাচ্ছে। মহামারি করোনার কারনে নেচার স্টাডি এন্ড কনজারভেশন ক্লাব (NSCC), প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনের  মাধ্যমে নানান কর্মকান্ডের মাধ্যমে দিনটিকে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৮ ই মে শনিবার দিনের শুরুতেই থাকবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও পরিযায়ী পাখির উপর বিশেষ আলোচনা সভা। অনলাইনে উক্ত কর্মসূচীর উদ্বোধন করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ। পরিযায়ী পাখির উপর বিশেষ আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন অধ্যাপক ড. মনিরুল হাসান খান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ,  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং শ্রীমান দিলীপ কুমার দাশ, সহকারী অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও  পিএইচডি শিক্ষার্থী, খ্রোনিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়, নেদারল্যান্ডস। 

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করবেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের সম্মানিত ডীন ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল  ইসলাম।

এছাড়া বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস-২০২১ উপলক্ষে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে নেচার স্টাডি এন্ড কনজারভেশন ক্লাব (NSCC), প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। 

প্রতিযোগিদের জন্য রয়েছে পরিযায়ী পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সচেতনতামূলক পোস্টার প্রতিযোগিতা, বারোয়ারি বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা যার সবগুলোই অনুষ্ঠিত হবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। এসব প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের জন্য রয়েছে পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট।

উল্লেখ্য যে, ক্লাবটি আয়োজিত এই ইভেন্টটি বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস সংস্থা (World Migratory Bird Day Organization) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - মতামত