a গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৪২
গুমের শিকার হওয়ায় ৩৫ জনকে সরকারই খুঁজছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জন মানুষের যে তালিকা সরকারকে দিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, সেই তালিকার ৩৫ জনকে সরকার এমনিতেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে খুঁজছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

শনিবার জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক সেমিনারে মন্ত্রী একথা জানান।

বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় ধর্মীয় সংখ‍্যালঘু নারীদের আর্থসামাজিক অবস্থান ও নিরাপত্তা: ভিশন ২০৪১’ শীর্ষক সেমিনারে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। তাতে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সূত্র দিয়ে বলা হয়, গত ৫ বছরে দেশে ২ হাজার ৮০৩টি হিন্দু বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

এ সময় আয়োজকদের উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে বিস্তারিত তালিকা দেবেন।

হিন্দু বাড়িঘর ও সম্পত্তিতে হামলার সংখ্যা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী গুমের প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, গুমের কথা বলে যে, হাজার হাজার গুম হয়ে গেছে। তালিকা চাইলাম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ৭৬ জনের তালিকা দিল। এর মধ্যে ১০ জন বিএনপির কর্মী। তারা বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। আর ৩৫ জনকে আমরা নিজেরাই খুঁজছি। বিভিন্ন ধ্বংসাত্মক কাজ, মানুষ হত্যা, সম্পদ পুড়িয়ে দেওয়াসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাদের খুঁজছি। একজন আবার জেলে অবস্থান করছে।

গত বছর জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ বিভিন্ন সময় গুমের শিকার হওয়া ৭৬ জনের একটি তালিকা বাংলাদেশ সরকারকে দেয়। এ বিষয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় মানবাধিকার পরিষদের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপে আলোচনা হয়। গত ১৪ আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ঢাকা সফরে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এই তালিকা নিয়ে কথা বলেন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি, অপরাজনীতিরই নামান্তর!


কর্নেল (অব.) আকরাম, কলাম লেখক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০৭
রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি অপরাজনীতিরই নামান্তর

ছবি সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: একটি জাতির জন্য রাজনীতি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভুল রাজনীতি একটি জাতিকে নিঃসন্দেহে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায়। ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে এবং পাকিস্তান আমাদের সামনে একটি স্পষ্ট দৃষ্টান্ত। শুধুমাত্র ভুল রাজনীতির কারণে পাকিস্তান তার জন্মের মাত্র চব্বিশ বছরের মাথায় দেশভাগের সবচেয়ে দুঃখজনক অধ্যায় প্রত্যক্ষ করে। এটি পাকিস্তানের জনগণের প্রত্যাশার বাইরের একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু অপবিত্র রাজনীতিই এটি ঘটিয়েছিল।  

সম্প্রতি আমরা মিয়ানমারে অপবিত্র রাজনীতির উদাহরণ দেখেছি, যেখানে দেশটি এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ।  

অন্যদিকে, সঠিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির জন্য ভারত জন্মের পর থেকেই একটি স্থিতিশীল দেশ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। ভারতীয় নেতারা তাদের দেশকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিয়েছে।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিজেপি এবং কংগ্রেস একত্রিতভাবে একক সুরে কাজ করেছে, যা একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সংস্কৃতি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে এবং ভারতকে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে ধরে রেখেছে।  

এবার আমরা বাংলাদেশের গত পঁঞ্চাশ বছরের রাজনৈতিক সংস্কৃতির দিকে ফিরে তাকাই। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র চর্চার পরিবর্তে সেই গণতন্ত্রকে হত্যা করেন এবং রাজনীতি শূন্য করার চেষ্টা করেন। তিনি তার শাসন স্থায়ী করতে "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর সূচনা করেন। তার জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ঘোষণা করে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করেন। তিনি তার সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্মূল করেন। এটি একটি সফল প্রকল্প হিসেবে গণ্য হলেও, এই "মুজিববাদ" সমাজে একটি অপসংস্কৃতির জন্ম দেয়। এর ফলস্বরূপ, তার নিকট বন্ধু মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, একটি ষড়যন্ত্রমূলক "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর বিকাশ ঘটে। এর পরিণতিতে শেখ মুজিবের মর্মান্তিক পতন ঘটে।  

শেখ মুজিবের পতনের পর রাজনৈতিক পরিবর্তন এলেও দেশ আবারও "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" এর শিকার হয় এবং মোশতাকও পতিত হন। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ যখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ে এবং ভারতীয় হস্তক্ষেপ প্রকাশ্যে আসে, তখন ৭ই নভেম্বর ১৯৭৫ সালে সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন।  

একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয় এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন আলোর আবির্ভাব ঘটে। ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হয়ে জাতি এবং দেশ স্বাধীন রাজনীতির স্বাদ পেতে শুরু করে। জিয়াউর রহমান সৎ প্রচেষ্টায় সঠিক রাজনীতির সূচনা করার চেষ্টা করেছিলেন। তবে "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" তাকে ছাড়েনি, এবং শেষ পর্যন্ত দেশপ্রেমের জন্য তাকে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হয়।  

এরপর বাংলাদেশে সৎ রাজনীতির সমাপ্তি ঘটে, এবং আমরা বহুবার "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" প্রত্যক্ষ করেছি। এটি চলতে থাকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা শাসনের ঐতিহাসিক পতন পর্যন্ত।  

তবে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪ এর বিপ্লবের পর মানুষ নতুন করে সৎ রাজনীতির আশা দেখতে শুরু করেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রবণতা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে এই আশা পুরোপুরি দৃঢ় মনে হয় না। দেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় দল বিএনপিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা স্পষ্ট, যা জাতির জন্য একটি ভালো বার্তা দেয় না। আমরা ভুলে যেতে পারি না, গত পনেরো বছরে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী যে ত্যাগ ও ভোগান্তির শিকার হয়েছে। তাদের ত্যাগের ফলেই সাম্প্রতিক বিপ্লবের মাটি প্রস্তুত হয়েছে।  

বিপ্লবের পরবর্তী পরিস্থিতি সৎ রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যদি আমরা এই সুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হই, জাতি ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজনীতিতে কোনো ষড়যন্ত্র মানুষ মেনে নেবে না এবং "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" কে কোনোভাবেই উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। এধরণের ষড়যন্ত্র সাধারণ জনগন কঠোরভাবে দমন করবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে অনেক রক্ষপাত ঘটার সম্ভাবনা তো থেকেই যায়।  

জাতীয়তাবাদী এবং ইসলামী শক্তির ঐক্য একটি নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য অপরিহার্য। তাই যেকোনো বিচ্যুতি আবারও "রাজনীতির মধ্যে রাজনীতি" জন্ম দেবে এবং অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত শক্তিগুলি তাদের স্বার্থে এটি ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। আমাদের নিজেদের ভুলের মাধ্যমে শত্রুদের এমন সুযোগ দেওয়া যাবে না।  

লেখক: সম্পাদক, মিলিটারি হিস্ট্রি জার্নাল এবং আইন ও ইতিহাসের অধ্যাপক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রাশিয়া পশ্চিমাদের দৌড়ের উপর রাখতে বিভিন্ন দেশকে অস্ত্র দেয়ার হুমকি


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন, ২০২৪, ০১:৩৭
রাশিয়া পশ্চিমাদের দৌড়ের উপর রাখতে বিভিন্ন দেশকে অস্ত্র দেয়ার হুমকি

ছবি: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

 

এবার পশ্চিমাদের কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনে রাশিয়াও পশ্চিমাদের আক্রমণ করার জন্যে বা তাদের দৌড়ের উপর রাখতে পশ্চিমাবিরোধী বিভিন্ন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে বলে জানান।

ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় দেশগুলোর অস্ত্র সরবরাহের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন পুতিন। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ।

পশ্চিমাদের এমন কর্মকাণ্ড ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলেও হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন পুতিন।

বিদেশি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে পুতিন বলেছেন, ‘যদি কেউ ভাবে এভাবে রণাঙ্গণে অস্ত্র সরবরাহ করে আমাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করা সম্ভব, তবে কেন আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে একই ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার রাখবো না, যা দিয়ে পশ্চিমাদের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনায় হামলা করা যাবে।’

তবে মস্কো কোন কোন দেশকে অস্ত্র সরবরাহ করবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানাননি পুতিন। সূত্র: বিবিসি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - মতামত