a দৈত্যকে আলিঙ্গন করছে বাংলাদেশ:চীন ইস্যুতে ডেকান হেরাল্ড
ঢাকা রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

দৈত্যকে আলিঙ্গন করছে বাংলাদেশ:চীন ইস্যুতে ডেকান হেরাল্ড


আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ০৪ জুন, ২০২৪, ০৫:২৮
দৈত্যকে আলিঙ্গন করছে বাংলাদেশ:চীন ইস্যুতে ডেকান হেরাল্ড

ফাইল ছবি


একটি সাবমেরিন ঘাঁটি, ৫০০ কোটি ডলার সহায়তা, ভারতের শিলিগুড়ির কাছে অবকাঠামো প্রকল্প, বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য ও সামরিক এক্সারসাইজের মাধ্যমে বেইজিং ভারতকে খুব পরিষ্কার করে তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছে। তা হলো এ অঞ্চলে ক্ষমতার কাঠামো বদলে যাচ্ছে। বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের অংশ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চলে চীন তার এ অভিযান পরিচালনা করছে। সর্বাবস্থায় বন্ধু পাকিস্তান ছাড়াও শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, নেপাল, মালদ্বীপ এবং ভুটানের দিকে সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা এখন বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার ও তা শক্তিশালী করছে।

শিলিগুড়ি করিডোর কন্টিনজেন্সি দিয়ে তার প্রস্তুতি শুরু করেছে চীন। তারা তখনকার বাংলাদেশি প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদকে দিয়ে ১৯৮৭ সালে বেইজিংয়ে একটি বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছে যে, তিনি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভিতর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতীয় সেনা পরিবহনে অনুমতি দেবেন না। এক্ষেত্রে স্যামডুরোং চু ঘটনার উল্লেখ করা হয়। তখন সেখানে ২০০ সেনাকে মোবিলাইজ করেছে চীন। তারা ‘নির্ভরযোগ্য বন্ধু’ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে ২০০২ সালের ডিসেম্বরে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। বাংলাদেশের কাছে চীন কমপক্ষে ৫০০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রি করে।
   
বিশ্বব্যাপী যে অস্ত্র বিক্রি করে বেইজিং তার মধ্যে বাংলাদেশে বিক্রি করা হয় শতকরা প্রায় ১০ ভাগ। শিলিগুড়ি করিডোর নেপাল এবং বাংলাদেশকে পৃথক করেছে। এই করিডোর ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রক্ষা করেছে। এই শিলিগুড়ি করিডোরের খুব কাছে তিস্তা নদীতে ১০০ কোটি ডলারের ড্রেজিং প্রকল্পে চীন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। ২০১৭ সালে ভারতের সঙ্গে দোকলামে অচলাবস্থার পর চীন জামফেরি রিজে একটি সড়ক নির্মাণে অগ্রসর হয় এবং নির্মাণ করে। এটা শিলিগুড়ি করিডোর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। বাংলাদেশে বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পে বেইজিং খরচ করেছে ৪০০ কোটি ডলার। সামনের বছরগুলোতে তাদের কমপক্ষে মোট ৫০০০ কোটি ডলার খরচের পরিকল্পনা আছে। দুই দেশের মধ্যে ২০ বছর আগে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ১২০ কোটি ডলার। তা গত বছরে বেড়ে হয়েছে ২২০০ কোটি ডলার। এর মধ্য দিয়ে ভারতকে সরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ঘাটতি প্রায় ২১০০ কোটি ডলার এবং তা বৃদ্ধি পাচ্ছেই।

বস্ত্র, পাট ও অন্যান্য পণ্য সহ বাংলাদেশি পণ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা। কিন্তু এক্ষেত্রে বেইজিং কর্ণপাত করছে না।

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছেই। মে মাসে তা ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল। এ অবস্থায় চীনের কাছে ৫০০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে ঢাকা। তাদের উদ্দেশ্য এই অর্থ দিয়ে কাঁচামাল কেনা এবং বাজেটে সাপোর্ট দেয়া। পছন্দের শতকরা এক ভাগ সুদে ঢাকা যখন দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ চাইছে, তখন বেইজিং সুদের হার বাড়াতে চায়, আরও  শর্ত দিতে চায়- যা তারা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে করেছে। বিআরআইভুক্ত কমপক্ষে ১৬টি দেশের উচ্চ পর্যায়ে ঋণ আছে। পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার আর্থিক পতন থেকে শিক্ষা নিতে পারে ঢাকা। বাংলাদেশকে এরই মধ্যে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে চীন। মোট যে ঋণ আছে বাংলাদেশের তার মধ্যে এই ঋণ শতকরা ১০ ভাগ।  

চীনের আরেকটি দুঃসাহসী প্রকল্প হলো কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিএনএস শেখ হাসিনা সাবমেরিন ঘাঁটি। এটি এ বছর মার্চে উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি নির্মাণে চীনের ১২১ কোটি ডলার তহবিল ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে একসঙ্গে ৬টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ নোঙর করতে পারে। ২০১৬ সালের শুরুর দিকে চীনের কাছ থেকে ২০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে দুটি মিং-শ্রেণির সাবমেরিন কেনে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের এই চয়েস ছিল বিস্ময়কর। কারণ, মিং শ্রেণির সাবমেরিন ২০০৩ সালের এপ্রিলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে থাকা ৭০ নৌসেনার সবাই নিহত হন।

অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে তারা হস্তক্ষেপ করে না- এটা বলা সত্ত্বেও, যেসব দেশ তাদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে তাদেরকে বাধ্য করা চীনের একটি আর্টে পরিণত হয়েছে। এর আগে তাইওয়ান, তিব্বত ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে বিরোধে এক চীন নীতিতে অন্য দেশগুলোকে শ্রদ্ধাশীল হতে বলে চীন। বেইজিং শেষের দিকে অন্য দেশগুলোর তাদের নিরাপত্তা নীতি প্রসারিত করার দাবি করেছে। ২০২১ সালের মে মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং ঢাকাকে সতর্ক করে দেন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার সমন্বয়ে কোয়াডে যোগ দেয়ার বিষয়ে। কারণ, এতে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি। উপরন্তু বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ২০২২ সালের জুনে বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লিউ জিনসং ‘শীতল যুদ্ধের মানসিকতা’ প্রত্যাখ্যান করতে এবং ওই ‘ব্লক রাজনীতিতে’ যুক্ত না হতে বলেন। এসব দাবি পূরণের ক্রমবর্ধমান চায়না রাডারের অধীনে এখন ঢাকা। ঢাকাকে আরও গভীরে টেনে নিতে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টাকে নয়া দিল্লি কিভাবে প্রতিহত করে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: মানবজমিন

লেখক: শ্রীকান্ত কোন্দাপাল্লি

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করা মানবাধিকার পরিপন্থি: মানবাধিকার কমিশন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ০৯:২০
জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করা মানবাধিকার পরিপন্থি: মানবাধিকার কমিশন

ফাইল ছবি

প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ছেলেকে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাজির করা সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। পাশাপাশি এ ঘটনার নিন্দাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়- আলী আজমের মা সাহেরা বেগম বার্ধক্যজনিত কারণে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান। শেষবার মায়ের লাশ দেখতে ও জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতে আইনজীবীর মাধ্যমে ১৯ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন আলী আজম। ২০ ডিসেম্বর তিন ঘণ্টার জন্য তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। তিনি তার মায়ের জানাজায় উপস্থিত থাকার সুযোগ পান। প্যারোলের পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জানাজা পড়ানোর সময় তার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হলেও তা খুলে দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কমিশন মনে করে, ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার পরও একজন বন্দিকে মায়ের জানাজায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে নিয়ে যাওয়া শুধু অমানবিকই নয় বরং বাংলাদেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বা দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানসিক বা লাঞ্ছনাকর দণ্ড দেওয়া যাবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাশাপাশি কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ডান্ডাবেড়ি পরানো বিষয়ক উচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা রয়েছে, সেটা এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েনসহ যথাযথ নজরদারিসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া সমীচীন ছিল। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণে যত্নবান হতে হবে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাবে: হু


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
রবিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২১, ০৮:২১
ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে অনেক মানুষ মারা যাবে: হু

ফাইল ছবি

আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে নতুন করে ৫ লাখ মানুষের মৃত্যু দেখতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় অঞ্চলের পরিচালক হ্যান্স ক্লুগে।

ইউরোপীয় অঞ্চলের ৫৩ দেশে এখনও কোভিডের সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। ফলে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রাণহানির সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে করোনার ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ ও ‘উদ্বেগজনক’ অ্যাখ্যা দেন তিনি। বিশেষ করে ইউরোপে প্রাণঘাতী কোভিডের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডব্লিউএইচও’র এই পরিচালক। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পাঁচ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডব্লিউএইচও'র তালিকায় ইউরোপের ৫৩টি দেশের পাশাপাশি মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশও রয়েছে। যদিও মহামারির দূর করতে বিশ্বজুড়ে টিকাদান কার্যক্রম ভালই চলছে। তবে দরিদ্র দেশগুলো এক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। কোভিড টিকার সুষমে বণ্টনে সব ধনী দেশকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আসছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনায় এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ৫০ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

সর্বশেষ - মতামত