a
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে এ সতর্কতা দিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভারতের ছত্তীসগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। ফলে সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চলের নদ-নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকালেই চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, কক্সবাজার, ফেনী ও নোয়াখালীতে বৃষ্টি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আস্তে আস্তে রাজধানীসহ সারাদেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জায়গায়, আগে যেমন শুধু সিলেটে হচ্ছিল সেটা এখন চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে ছড়িয়ে পড়েছে। আস্তে আস্তে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোর থেকেই নোয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল ৮টার দিকে কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর তা মাঝারি আকার ধারণ করে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
একইভাবে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ৩ মিনিট। সামান্য এ বৃষ্টির দেখা পেয়েও জনমনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সামনে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা স্থানীয়দের।
আবহাওয়া অফিসও জানায়, বৃষ্টিপাতের এ ধারা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। এরপর আবার তাপপ্রবাহ বাড়তে পারে।
এছাড়া সকালে বান্দরবানে থেমে থেমে বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং বৃষ্টি হয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামও। সেখানেও ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় বজ্রপাতের খবরও পাওয়া গেছে। সূত্র: ইত্তেফাক
প্রতিকী ছবি
ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো সংঘর্ষে ছাত্রলীগ সভাপতি রনি, রাতুল ও শুভ। এঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনিসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় পৌর যুবলীগের সভাপতিসহ ৩ জনের অফিস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দফায় দফায় এ হামলার ঘটে।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) অরবিন্দ সরকার ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সামনের একটি দোকানে ছাত্রলীগ সভাপতি রনির ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অফিস ছিল। এই দোকানের মালিকানা স্বত্ত্ব নিয়ে মালিক পক্ষের দুইটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলছিল। রনি এই দ্বন্দ্বনিরসনের প্রতিশ্রুতি দিলেও দ্বন্দ্ব এখনও নিরসন হয়নি বলে তিনি জানান।
এ অবস্থায় মালিকদের একটি পক্ষ শুভ আরেক গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে বুধবার সকালে রনির অফিসে তালা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন শুভ এবং যুবলীগ কর্মী আকমলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তবে পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পাবনা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এনে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঈশ্বরদী থানা কর্তৃপক্ষ। সূত্র: ইত্তেফাক