a
ফাইল ছবি
পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, ১৯৭১ সালে নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: স্বাধীনতার মহান নেতা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।
হাক্কানী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিশ্বের ইতিহাসের এক মহান নেতা এবং বিশ্বজুড়ে ২০ শতকের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন প্রবাদপ্রতিম নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান মহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান নেতাদের কাতারে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে হাডসন ইন্সটিটিউটে ফেলো হিসেবে নিয়োজিত।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণও চায় যে পাকিস্তান ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আমরা এখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এই উপলক্ষ্যে পাকিস্তান এখন গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বার্তা পাঠিয়েছেন, তবে সেই বার্তায় একত্তরের গণহত্যার ঘটনায় তারা কোনো ক্ষমা চায়নি।
উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বক্তব্য রাখেন।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের আংশিক নয়, পূর্ণবাস্তবায়ন এবং ঈদের কমপক্ষে ১০ দিন আগে পূর্ণবোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধ এর দাবি নিয়ে সরব হয়েছে ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন।
শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুসারে শ্রম আইন সংশোধন করে প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ সকল শ্রমজীবীদের নিয়োগপত্র,
কর্মঘন্টা, চাকরির নিরাপত্তা, ন্যায্যমজুরি, অতিরিক্ত কাজের মজুরি, চাকরির অবসানে ক্ষতিপূরণ, উৎসব ভাতা, ছুটি, দূর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ,
ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ আই.এল.ও কনভেনশনের আলোকে স্বীকৃত শ্রমাধিকারসমূহ সকলের জন্য নিশ্চিত করা এবং ২৭ মে’র মধ্যে পূর্ণ
ঈদ বোনাস, বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আজ ২৩ মে ২০২৫, শুক্রবার, সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও
বিক্ষোভ মিছিল করেছে “ঢাকা জেলা ট্যাক্সি, ট্যাক্সি কার, অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ ঢাক-২২৮০)।
সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু’র সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে
বক্তব্য রাখেন কার্যকরি সভাপতি বিরেশ চন্দ্র দাশ, সহ-সভাপতি আলমগির হোসেন, সধারণ সম্পাদক আহাসান হাবিব বুলবুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল মিয়া, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক দুলাল হাওলাদার, শাহবাগ উপকমিটির সাধারণ সম্পাদক জিলানী মোল্লা, হাতিরঝিল উপকমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু হাসান প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ীর চালকসহ অনানুষ্ঠানিক খাতের কোটি কোটি শ্রমিকের কোন সুরক্ষা না দিয়ে শ্রম আইন
সংশোধনের নামে দুইবার শ্রমজীবী মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে বিগত ফ্যাসিবাদি সরকার। সেই যন্ত্রনা থেকেই প্রাইভেট কার চালক দুলাল মাতবর, মামুনসহ কয়েক হাজার শ্রমজীবী মানুষ জুলাই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে। জুলাই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দায়িত্ব গ্রহণকারী অন্তবর্তী সরকার শ্রম খাতে ন্যয্যতা নিশ্চিত করতে একটি সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল। সেই সংস্কার কমিশন গত ২১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সরকারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করেছে। কমিশন তার রিপোর্টে প্রাইভেট গাড়ীর চালকসহ সকল শ্রমজীবী মানুষের শ্রম
অধিকার কে আইনে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছেন। মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, শ্রম উপদেষ্টা এবং শ্রম সচিব, কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি যে আগামী জুলাই -আগষ্ট মাসে শ্রম আইন সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হবে যেখানে সংস্কার কমিশনের কয়েকটি সুপারিশের প্রতিফলন থাকবে। প্রাইভেট কার-মাইক্রোবাস চালকসহ অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত শ্রমজীবীদের প্রত্যাশা এই সংশোধনীর পরে দেশের মোট শ্রমশক্তির ৮৫ শতাংশ সুরক্ষার বাইরে থাকবেনা।
অবিলম্বে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পূর্ণ বাস্তবায়নে কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বান্তবায়নে বাধা সৃষ্টি করতে কারখানা মালিকদের পোষ্য কিছু শ্রমিক নেতা কে তৎপর হতে দেখা গেছে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দাবি করে সরকারী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দিয়ে সুবিধা না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কেীশলে শ্রম প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন শ্রমিক নেতা নামের মালিকদের পক্ষের এই দালালরা যাতে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্থ হয়। শ্রম প্রশাসন কে অবশ্যই দূর্ণীতিমূক্ত হতে হবে তবে ঝাঁজর হয়ে সুইয়ের ফুটোর বিচার দাবি করা যায় না। ঝাঁজর দ্বারা সুইয়ের ফুটোর বিচারের দাবি উত্থাপন করার চেষ্টা উদ্দেশ্য
প্রণোদিত। শ্রমিক নেতার পরিচয় ধরে যারা শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করছে সকল শ্রমজীবীদের এই ধরণের দালালদের অপতৎপরতা বন্ধে সোচ্চার হতে হবে আর প্রশাসন কে এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার বৈষম্য বিলোপের প্রতিশ্রæতি দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন। নিশ্চয় সকলের উৎসব পালনের অধিকারের কথা সরকার স্বীকার করবেন। কিন্তু প্রাইভেট গাড়ীর চালকসহ পরিবহন খাতের সংখ্যাগরিষ্ট চালক-শ্রমিকরা উৎসব বোনাস বা উৎসব ছুটি থেকে বঞ্চিত। বরং উৎসবের আগমন গাড়ী চালকদের চাকরি হারানোর আতংক হিসাবে দেখা দেয়। প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস চালকসহ
হালকা যানবাহন চালকদের এই অমানবিক জীবন থেকে উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ কে উদ্যোগ নিতে হবে। নেতৃবৃন্দ, ঈদেও কমপক্ষে ১০ দিন পূর্বে অর্থাৎ ২৭ মে’র মধ্যে সকল গাড়ী চালকদের পূর্ণবোনাস ও বকেয়া বেতন পরিশোধের জোর দাবি এবং সকল ধরণের নিপীড়ন-ছাঁটাই বন্ধের আহবান জানান।
সংগৃহীত ছবি
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম চলবে আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণের ফি পরিশোধের শেষ তারিখ আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত।
চলতি বছর প্রথমবারের মতো সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফরম পূরণ শুরু করেছে শিক্ষাবোর্ডেগুলো। সকল কার্যক্রমটি চলবে অনলাইনে।
গত ৩১ জুলাই এ সংক্রান্ত নিয়ম ঠিক করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আমিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১২ আগস্ট থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণ কার্যক্রম চলবে। আর ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ফরম পূরণের জন্য শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক এসএমএম পাওয়া শিক্ষার্থীরা ফি পরিশোধ করতে পারবেন। তার আগে ১১ আগস্ট সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, এবার কোনো নির্বাচনী পরীক্ষা হবে না। তাই এ সংক্রান্ত কোনো ফি নেয়া যাবে না। কোনো প্রতিষ্ঠান এসব আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেবল বৈধ রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণ করতে পারবেন। অননুমোদিত রেজিস্ট্রেশনধারী শিক্ষার্থীকে ফরম পূরণ করলে কোনো ধরনের যোগাযোগ ছাড়াই তা বাতিল করা হবে।
বিজ্ঞান বিভাগে ১১৬০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে ১০৭০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরম সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা অতিরিক্ত অর্থ আদায় করলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের ফোনগুলো হচ্ছে-
ফোন-০২-৯৬৬৯৮১৫, ০২-৫৬৬১১০১৮১, ০২-৫৮৬১০২৪৮, ০১৬১০৭১১৩০৭, ০১৬২৫৬৩৮৫০৮, ০১৭২২৭৯৭৯৬৩