a বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত: পাকিস্তানের সাবেক দূত
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৮ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত: পাকিস্তানের সাবেক দূত


নিউজ ডেস্ক:
বুধবার, ৩১ মার্চ, ২০২১, ০৯:৩৯
বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত: পাকিস্তানের সাবেক দূত

ফাইল ছবি

পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেছেন, ১৯৭১ সালে নৃশংসতার জন্য পাকিস্তানের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন। বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: স্বাধীনতার মহান নেতা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাস। আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ।

হাক্কানী বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিই নন, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিশ্বের ইতিহাসের এক মহান নেতা এবং বিশ্বজুড়ে ২০ শতকের স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন প্রবাদপ্রতিম নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান মহাত্মা গান্ধী এবং নেলসন ম্যান্ডেলার মতো মহান নেতাদের কাতারে।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি বর্তমানে হাডসন ইন্সটিটিউটে ফেলো হিসেবে নিয়োজিত।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশের জনগণও চায় যে পাকিস্তান ১৯৭১ সালের অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুক। আমরা এখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছি। এই উপলক্ষ্যে পাকিস্তান এখন গণহত্যার জন্য বাংলাদেশের কাছে ক্ষমা চাইতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বার্তা পাঠিয়েছেন, তবে সেই বার্তায় একত্তরের গণহত্যার ঘটনায় তারা কোনো ক্ষমা চায়নি।

উক্ত আলোচনা অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ বক্তব্য রাখেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ০৬:০১
রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐক্য জরুরী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার, অডিট আপত্তি এবং বিব্রত সংবাদ প্রচার, কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের নিয়োগ, টিএলআর ও প্রকল্পভুক্ত গেট কিপারদের চাকরি স্থায়ীকরণ, রেলওয়ে ইঞ্জিন ও কোচ সংকট, সকল কর্মচারী সহ নিরাপত্তা কর্মীদের রেশনিং ও ঝুঁকি ভাতা প্রদান, আউটসোর্সিং নিয়োগ বাতিল শীর্ষক সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সম্মানিত সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আজকের জাতীয় সংলাপ এবং সংবাদ সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল রেলওয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন কর্মকর্তা কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় এবং জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।  
বাংলাদেশ রেলওয়ের চলমান অবস্থা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় রেলওয়ে এখনো সবচেয়ে নিরাপদ, সাশ্রয়ী ও গণমুখী মাধ্যম। তবু নানা সময়ের অব্যবস্থাপনা, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, অদক্ষ নেতৃত্ব, দুর্নীতি ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে রেলপথ আজও তার সম্ভাব্য শক্তিতে পৌঁছতে পারেনি। সম্প্রতি দেশে ঘন ঘন ট্রেন লেট, ট্রেন লাইনচ্যুত, ইঞ্জিন বিকল, টিকিট ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম, যাত্রীসেবায় অবনতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক টানা-পোড়েন রেলওয়ের প্রতি মানুষের আস্থাকে আবার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জসমূহ
• ইঞ্জিন ও কোচ সংকট: নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং যন্ত্রাংশ সরবরাহে দুর্নীতি ও অনিয়মের ফলে ঘন ঘন ইঞ্জিন বিকল হচ্ছে, কোচের সল্পতায় যাত্রী চাহিদা মেটাতে পারছেনা বাংলাদেশ রেলওয়ে ।
• প্রশাসনিক বিভক্তি ও জবাবদিহির অভাব: রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ে অধিদপ্তরের দ্বৈত-নেতৃত্ব কাঠামো কার্যত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে জটিল করে তুলেছে।
• কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার উপেক্ষা: তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং তাদের পরিবার আজও ন্যায়সংগত নিয়োগ, পদোন্নতি ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত।
করণীয় বিষয়গুলো হলো - 
ভূমি ও সম্পদ অপব্যবহার: রেলওয়ের হাজার হাজার একর জমি নানা অজুহাতে বেসরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যাচ্ছে, অথচ রেল নিজেই অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছে, বেকার রেলওয়ে পোষ্যদের কর্মসংস্থানে জমি বরাদ্দ চাইলেও কর্তৃপক্ষ দিতে পারে না।
১. একক নেতৃত্ব কাঠামো নিশ্চিত করা- রেলওয়ে মহাপরিচালকের (ডিজি) দপ্তরকে পূর্ণ প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।
২. ইঞ্জিন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে হবে- প্রতিটি ব্যর্থ ইঞ্জিন/কোচের জন্য তদন্ত ও দায় নির্ধারণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার সংরক্ষণ- নিয়োগ নীতিতে “ডিপেন্ডেন্ট কোটাকে” আইন দিয়ে সংরক্ষিত
করতে হবে।
৪. টিকিট ও যাত্রীসেবা ডিজিটাল মনিটরিং- অনলাইন টিকিটিং অপারেটরদের চুক্তিতে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. রেলভূমি সুরক্ষা ও নিজস্ব বাণিজ্যিক ব্যবহার- হাসপাতাল, মার্কেট, পার্কিং, রেলওয়ে পোষ্য সুপার মার্কেট ইত্যাদি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এনে আয় বাড়াতে হবে।
রেল শুধু একটি যানবাহন নয়, এটি রাষ্ট্রের অর্থনীতি, প্রশাসন ও জন-মানুষের আস্থার প্রতীক। এখন সময় এসেছে “প্রকল্পভিত্তিক রেল” থেকে “সরকারি দায়িত্বশীল রেল” প্রতিষ্ঠার।

উক্ত বক্তব্যে সভাপতি আরো বলেন, রেলওয়ে কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পোষ্যদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা - রাষ্ট্রের দায়িত্ব, উপহার নয়"। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি বিষেশায়িত কারিগরি প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য সরকারী দপ্তরের মত নয়- এটি হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জীবন-জীবিকার কেন্দ্রবিন্দু। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত কয়েক দশক ধরে রেলওয়ের নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় যারা মাঠপর্যায়ে কাজ করেন, যাদের ঘাম আর শ্রমে রেল চলে- তাদের কণ্ঠ সবচেয়ে কম শোনা হয়।
যে অধিকারগুলো এখনো বঞ্চিত-
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের ন্যায্য পদোন্নতি দীর্ঘদিন ঝুলে থাকে ।
• অবসরপ্রাপ্তদের পরিবার ও পোষ্যদের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা নীতি নেই । • নিয়োগে ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয় - ফলে পোষ্যরা হয়রানির শিকার হন । রেলওয়ে কল্যাণ ট্রাস্ট ও হাসপাতালগুলো এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী ও পোষ্যরা প্রকৃত সুবিধা
পান না ।
• নিম্নপদস্থ কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যমূলক আচরণের মুখোমুখি হন, কিন্তু তাদের স্বর উচ্চপর্যায়ে পৌঁছায় না ।
ন্যায্যতার দাবি- কোনো দয়া নয়, এটি আইনি ও মানবিক অধিকার
• ডিপেন্ডেন্ট কোটা আইন করে সংরক্ষণ করতে হবে- পোষ্যদের নিয়োগ আর কোনো “অনুগ্রহ” নয়, এটি হতে হবে “আইনসিদ্ধ অধিকার”
প্রতি গ্রেডে স্বয়ংক্রিয় পদোন্নতি ব্যবস্থা চালু করতে হবে। 
• রেলওয়ে কল্যাণ তহবিলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে পোষ্যদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও আবাসনে সহায়তা দিতে হবে
• রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যকার বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে- সবাই এক রেলের মানুষ
• ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে দলীয়করণ নয়, প্রকৃতভাবে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে
রেলওয়ে বাঁচাতে হলে, আগে রেলকর্মীর অধিকার বাঁচাতে হবে।
রাষ্ট্র যদি রেলওয়েকে বাঁচাতে সত্যিই আন্তরিক হয়- তবে তাকে প্রথমে রেলকর্মী ও তাদের পরিবারের ন্যায্য দাবিগুলো স্বীকার করে আইনি কাঠামোতে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২৭ মার্চ, ২০২১, ১১:০৪
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ

ফাইল ছবি

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু, সংবিধান প্রনয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ এবং গণফোরাম এর মূখপাত্র সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন- আমরা উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি যে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ  উদযাপনকালে বর্তমানের অনির্বাচিত সরকার যেভাবে মোদির আগমন বিরোধী প্রতিবাদকে সরকারের মদদপুষ্ট তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাষ্ট্রিয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা দমন ও নির্যাতন চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। 

ছাত্রলীগ ও যুবলীগ যা করছে তা সন্ত্রাসের সামিল। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত হাটাহাজারী ও বি-বাড়িয়ায় ৯ জন নিহত হয়েছে।

যেভাবে মসজিদে ও মাদ্রাসায় ঢুকে নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তারও কঠোর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শত শত শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন হাসপাতালে ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। গত কয়েক দিনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। গত দু’দিনের ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবী করছি।

সরকারী আমলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অনেক বুদ্ধিমান, বিচক্ষণ, সুস্থ্য বিচার-বুদ্ধি সম্পন্ন ভাল লোক আছেন তাদের প্রতি অনুরোধ ও দাবী জানাচ্ছি যে, আপনারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সংবিধানের সঠিক দিক নির্দেশনা অনুসরণ করুন যাতে আইনানুগ পদক্ষেপ ভুলুন্ঠিত না হয় এবং যাতে জাতীর মর্যাদা, মানবিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার সুনিশ্চিত হয়।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - মতামত