a সিন্ডিকেট দুর্নীতির কারণে ব্রুনাই শ্রমবাজার অনেক বড় সংকটে পড়েছে
ঢাকা শুক্রবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩২, ২৭ জুন, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সিন্ডিকেট দুর্নীতির কারণে ব্রুনাই শ্রমবাজার অনেক বড় সংকটে পড়েছে


সাইফুল আলম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫, ১০:১২
সিন্ডিকেট দুর্নীতির কারণে ব্রুনাই শ্রমবাজার অনেক বড় সংকটে পড়েছে

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  ব্রুনাই শ্রমবাজারের সংকট ও সিন্ডিকেট দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন। ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন -এর পক্ষ থেকে আজ ২৪-৬-২৫ ইং তারিখ সকাল ১১:০০ ঘটিকায় রিপোর্টার্স ইউনিটি ঢাকায় এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে লিখিত মূল বক্তব্য পাঠ করেন “ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন” এর সভাপতি জনাব ইকরাম চৌধুরী। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তর প্রদান করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জনাব লায়ন দেলোয়ার চৌধুরী, সাংগঠনিক ও আইন সম্পর্কিত সম্পাদক মোঃ নূরুল আলম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বায়রা, আটাব ও হাবের অন্যতম নেতা লায়ন্সের প্রাক্তন কাউন্সিল চেয়ারপার্সন ও জেলা গভর্নর লায়ন এম এ রশিদ শাহ সম্রাট ও সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন রনি, অর্থ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম।

উক্ত সম্মেলনের মূল বক্তব্য তারা বলেন, আমরা বায়রা সদস্যরা অতি কষ্টে “ব্রুনাই শ্রমবাজার” এর বাংলাদেশী শ্রমিকদের একটি বাজার সম্প্রসারণ করতে সক্ষম হয়েছিলাম। দুঃখের বিষয় এই যে, হঠাৎ ব্রুনাই এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ এর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এর যোগসাজসে দুর্নীতির মাধ্যমে কালো টাকা আত্নসাতের জন্য কৌশলে বায়রা সদস্যদের মৌলিক অধিকার হরণ করে একমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান “বোয়েসেল” এর মাধ্যমে ব্রুনাই দারুসসালামে কর্মী প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। যার ফলে আমরা যারা ব্রুনাই দারুসসালামে বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ করতাম তারা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হই।

আমাদের অফিস কর্মচারীসহ আমরা পরিবার নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হই। এটি বায়রা সদস্যদের মৌলিক অধিকার হরণের সামিল। এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য এবং বোয়েসেলের পাশাপাশি আমরা যারা বায়রা সদস্য আছি তাদেরকেও ব্রুনাই দারুসসালামে শ্রমিক প্রেরণের অনুমতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা, সচিব, বিএমইটির ডিজি মহোদয়ের সাথে দেখা করে আমাদের দাবী উত্থাপন করেও অদ্যাবদি কোন সুবিচার পাইনি।

এই দিকে ব্রুনাই দারুসালাম এ প্রচুর কর্মীর চাহিদার বিপরীতে “বোয়েসেল” মাত্র ২% শ্রমিক প্রেরণে সক্ষম হয়। এমতাবস্থায়, ব্রুনাই দারুসসালামের সুন্দর বাজারটি বোয়েসেলের গদাই লস্করী সরকারী ব্যবস্থাপনার জন্য হাতছাড়া হয়ে বাংলাদেশ হারাতে যাচ্ছে রেমিটেন্স। দেশ ও জাতির কল্যাণে ও স্বার্থে এই অচলাবস্থা নিরসনে সরকারী আমলাতন্ত্রের বিরুদ্ধে “ব্রুনাই রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন (BRAA)” এর পক্ষ থেকে দেশ ও জাতিকে বিষয়টি মিডিয়ার মাধ্যমে অবহিত করনের লক্ষ্যে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন। আমাদের জনশক্তি কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগসাজসে ব্রুনাই দারুসসালাম এ বোয়েসেল একতরফাভাবে শ্রমশক্তি রপ্তানীতে জড়িত হয়ে আমাদেরকে যে কারনে রিক্রুটিং লাইসেন্স দেয়া হলো তা অস্বীকার করে সরকার নিজেই ব্যবস্থা শুরু করে আমাদের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে।

এমতাবস্থায়, বিষয়টি জনগুরুত্ব ও দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্টতার প্রশ্নে বিবেচনা করে দেশবাসীর কাছে তা তুলে ধরার জন্য সকল মিডিয়ার কাছে বিনীত আবেদন করছি।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

ঢাকার ২২৯ সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, দুই মাসের মধ্যে ভাঙতে হবে ৪২টি


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০২৩, ১১:৪৮
ঢাকার ২২৯ সরকারি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ, দুই মাসের মধ্যে ভাঙতে হবে ৪২টি

ফাইল ছবি

রাজধানীতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনের মধ্যে ২২৯টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৪২টি ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে ও দুই মাসের ভেতর ভবন মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলতে সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় রাজউক অপসারণ করে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।

এছাড়া ঝুঁকির তালিকায় থাকা আরো ১৮৭টি ভবন রেট্রোফিটিং (মজবুত) করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ৩২৫২টি ভবনের ওপর পরীক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২ হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের  ওপর এ জরিপ চালানো হয়। যে ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলার জন্য বলা হয়েছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদ্রাসা বোর্ডের তিনটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন।

এছাড়া রিপোর্টে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মজবুতিকরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে—ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।

রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে মজবুতিকরণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশের প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে ভবন মজবুত ও ভাঙার বিষয়ে বলা হলেও কোন কোন ভবন ভাঙা ও মজবুতের কথা বলা হয়েছে সেটি উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সরকারি ভবন কর্তৃপক্ষ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে রেট্রোফিটিং করে ব্যবহার উপযোগী করতে নোটিশ দিয়েছে রাজউক। আর তিনটি ভবন ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। রাজউক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি গেলেও সেখানে এসব ভবন নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। কিন্তু সেখানে কোন কোন ভবন ভাঙতে হবে, তা উল্লেখ নেই। তা জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীকে বলেছি, যেন তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, বর্তমানে ভবন নির্মাণ অনুমোদনের সময় কাঠামোগত নকশা দেখে না রাজউক। ভূমিকম্পসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী মাস থেকে রাজউকের কয়েকটি অঞ্চলে ভবনের নির্মাণ অনুমোদন দেওয়ার সময় স্থাপত্য নকশা, কাঠামোগত নকশার পাশাপাশি মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক ও অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত নকশা জমা নেওয়া হবে।

আগামী মে থেকে পদ্ধতিটি পুরো রাজউক এলাকায় চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সূত্র:ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যান্ড আর্কিওলজি রিসার্চ সোসাইটির আত্মপ্রকাশ 


মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ০৫ মে, ২০২৫, ১০:০১
বাংলাদেশ হিস্ট্রি অ্যান্ড আর্কিওলজি রিসার্চ সোসাইটির আত্মপ্রকাশ 

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশের ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব চর্চায় নতুন দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বাংলাদেশ ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব গবেষণা সোসাইটি ' (BHARS) নামের একটি নতুন  সংগঠন।  

সোমবার (৫ মে) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে জাবির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের  অধ্যাপক ড.  এ কে এম শাহনাওয়াজের তত্ত্বাবধানে  আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে গবেষণা সংগঠনটি।  

এসময়    অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ তার  রিসার্চ ফেলোদের  নিয়ে  BHARS  এর  প্রথম গবেষণা  জার্নালের মোড়ক উন্মোচন ।   


অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন,  "এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তরুণ গবেষকদের  দরজা-জানালা খুলে দিতে চাই। এর মাধ্যমে তারা যেন গবেষণার ধারাকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আমি মনে করি ইতিহাস ঐতিহ্য চর্চায় যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে  সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্যে এই প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাবে।"

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এ কে এম শাহনাওয়াজের  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাবি উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন," ভলতেয়ার পরিষ্কারভাবে বলেছেন যে প্রজন্ম ইতিহাস জানে না, গুরুত্ব দেয় না তাদের অতীতও নাই ভবিষ্যৎও নাই। এই সংগঠনটি দেশের মানুষকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে আশা করছি।"


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ইতিহাস একাডেমির সভাপতি ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, "শুধু জার্নালের মাধ্যমে ইতিহাসকে জানলে হবে না; পাশাপাশি আমাদের প্রত্নস্থলগুলো পরিদর্শন করতে হবে এবং জানতে হবে। এসব কাজের পেছনে হওয়া  দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে প্রো-অ্যাকটিভ হতে হবে।" 

বিষেশ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেলে হক।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - মতামত