a
ফাইল ছবি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে বরিশালে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী তিন দিন টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে এক থেকে দুই ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল গণমাধ্যমকে এ তথ্য করেন। তিনি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বরিশালে ৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, অশনির প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে গতকাল থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুরের পর থেকেই মেঘের আড়ালে চলে যায় সূর্য। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোয় ১ নম্বর ও সমুদ্রবন্দরগুলোয় ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২৯টি সাইক্লোন শেল্টার। সেখানে গবাদি পশু রাখারও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের মাসুদ রানা রুবেল আরও জানান, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের কোথাও কোথাও ভারী ও অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: সংগৃহীত
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এতে সাগর উত্তাল রয়েছে। জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে উপকূল। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মােংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুরোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর চার) বলা হয়েছে, ‘গভীর নিম্নচাপটি আজ রবিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।’
‘গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়াে হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।’
‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কি.মি. বেগে দমকা/ ঝড়াে বাতাস বয়ে যেতে পারে, সেইসাথে ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।’
‘গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরােজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভােলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নােয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৩-০৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।’
‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, বর্তমানে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের ভয়ঙ্কর সামরিক শক্তির অধিকারী এবং তাদের ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী মধ্যপ্রাচ্যের
অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী।
মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের আর্মড সার্ভিস কমিটির শুনানিতে ইরানের সামরিক শক্তি সম্পর্কে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জেনারেল ম্যাকেঞ্জি।
তিনি আরও বলেছেন, ইরান ব্যাপকভাবে ড্রোন ব্যবহার করছে, যা কোরিয়া যুদ্ধের পর এই প্রথম আকাশ শক্তিতে আমেরিকা পূর্ণ কর্তৃত্ব হারিয়েছে।
গত বছর ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। সেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়নি মার্কিন বাহিনী। এছাড়া, ইরানের আকাশসীমায় আমেরিকার যে কোনো ড্রোন প্রবেশ করা মাত্র তা ভূপাতিত কিংবা অক্ষত অবস্থায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে ইরানি সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
ইরান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক শক্তিতে বিরাট অগ্রগতি লাভ করেছে। তবে ইরান সবসময় এসব সামরিক শক্তি বিস্তারে বলে আসছে-তাদের এসব সামরিক শক্তি নিতান্তই আত্মরক্ষামূলক এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য তা কখনো হুমকি নয়। সূত্র: পার্সটুডে ও আল আরাবিয়া নিউজ