a
ফাইল ছবি
রাজধানীতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ভবনের মধ্যে ২২৯টি ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিঝুঁকিপূর্ণ ৪২টি ভবন এক সপ্তাহের মধ্যে খালি করতে ও দুই মাসের ভেতর ভবন মালিকদের নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলতে সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় রাজউক অপসারণ করে মালিকপক্ষের কাছ থেকে খরচ আদায় করবে বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক।
এছাড়া ঝুঁকির তালিকায় থাকা আরো ১৮৭টি ভবন রেট্রোফিটিং (মজবুত) করতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্পের আওতায় রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ৩২৫২টি ভবনের ওপর পরীক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২ হাজার ৭০৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ২০৭টি হাসপাতাল, ৩৬টি থানা ও ৩০৪টি অন্যান্য ভবনের ওপর এ জরিপ চালানো হয়। যে ৪২টি ভবন ভেঙে ফেলার জন্য বলা হয়েছে সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) তিনটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি, মাদ্রাসা বোর্ডের তিনটি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩০টি ভবন।
এছাড়া রিপোর্টে সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৮৭টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন মজবুতিকরণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে রয়েছে—ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির তিনটি, স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের চারটি, মাদ্রাসা বোর্ডের ছয়টি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ১০টি এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১৫৪টি ভবন।
রাজউকের তথ্য অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোকে মজবুতিকরণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো ভেঙে ফেলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আরবান রেজিলিয়েন্স প্রকল্প: রাজউক অংশের প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) দপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ভবন মজবুত ও ভাঙার বিষয়ে বলা হলেও কোন কোন ভবন ভাঙা ও মজবুতের কথা বলা হয়েছে সেটি উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সরকারি ভবন কর্তৃপক্ষ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনকে রেট্রোফিটিং করে ব্যবহার উপযোগী করতে নোটিশ দিয়েছে রাজউক। আর তিনটি ভবন ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছে। রাজউক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি গেলেও সেখানে এসব ভবন নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বলেন, আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। কিন্তু সেখানে কোন কোন ভবন ভাঙতে হবে, তা উল্লেখ নেই। তা জানার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীকে বলেছি, যেন তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন বিষয়ে রাজউকের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, বর্তমানে ভবন নির্মাণ অনুমোদনের সময় কাঠামোগত নকশা দেখে না রাজউক। ভূমিকম্পসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে আগামী মাস থেকে রাজউকের কয়েকটি অঞ্চলে ভবনের নির্মাণ অনুমোদন দেওয়ার সময় স্থাপত্য নকশা, কাঠামোগত নকশার পাশাপাশি মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিক ও অগ্নিনিরাপত্তাসংক্রান্ত নকশা জমা নেওয়া হবে।
আগামী মে থেকে পদ্ধতিটি পুরো রাজউক এলাকায় চালু করা হবে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করে সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। সূত্র:ইত্তেফাক
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সাইফুল আলম, ঢাকা: “প্রতিবাদে প্রতিরোধে নারীর পথচলা” শীর্ষক নারী সংগঠনসমূহের ৭ম জাতীয় সম্মেলন থেকে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করার জন্য ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে আজ ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২/১৬ নভেম্বর ২০২৫ ইং এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নারীপক্ষ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা নারীদের নিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন। তারা বলেন, সম্মেলনে ৩টি প্ল্যানারি অধিবেশন এবং ৮টি বিষয়ে মোট ১৬টি অর্থাৎ ১ টি বিষয়ে ২ টি করে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় । কর্মশালার আলোচ্য বিষয়সমূহ ছিল-
১. নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিনির্মাণ ও আন্দোলনকে শক্তিশালী করার উপায়
২. নারী আন্দোলনের জন্য সম্পদ আহরণ ও সম্ভাব্য উৎস
৩. বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠা
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণের সব পর্যায়ে নারীর স্বাধীন ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর
৫. তৃণমূল নারী সংগঠনসমূহের সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধানের কৌশল
৬. আন্তঃপ্রজন্মের কথোপকথন: অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ ও পারস্পরিক প্রত্যাশা
৭. নারী অধিকারভিত্তিক সংগঠন ও নারী রাজনৈতিক কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা
৮. বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের সঙ্গে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল।
প্ল্যানারি অধিবেশনগুলোতে আদিবাসী নারী নেত্রী, শ্রমিক আন্দোলন, যৌনকর্মীদের অধিকার আন্দোলন এবং জুলাই আন্দোলনের নারী শিক্ষার্থী তাদের সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বক্তা হিসেবে বিভিন্ন প্ল্যানারীতে অনেকে উপস্থিত ছিলেন। উল্ল্যেখ্য যে, প্রথম প্ল্যানারীতে নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিনির্মাণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন শেফালিকা ত্রিপুরা, চেয়ারম্যান (অস্থায়ী), খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-
• বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, আপিল বিভাগ।
• রাশেদা কে. চৌধূরী, উপদেষ্টা, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
• খুশি কবির, সমন্বয়কারী, নিজেরা করি।
সম্মেলনে গাজা এবং বাংলাদেশের আদিবাসী মানুষের প্রতি সংহতি জানানো হয়। এছাড়া এই সম্মেলনে নারীপক্ষ'র প্রয়াত সদস্য ও নারী আন্দোলনের নেত্রী নাসরিন হক স্মারক বক্তৃতা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ।
সম্মেলনের বিভিন্ন কর্মশালা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশ সমূহের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো-
সকল ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ও নারীর স্বাধীন ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর প্রতিষ্ঠায় সংগঠিত হতে হবে, আওয়াজ তুলতে হবে, যথাযথ জায়গায় দাবী উপস্থাপন এবং দেন-দরবার করতে হবে
নারী আন্দোলনের স্বতন্ত্র ধারা বিণির্মানে সর্বস্তরে সহায়ক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে এবং তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
• নারী আন্দোলনের জন্য সম্পদ আহরণ ও সম্ভাব্য উৎস যেমন: মানবসম্পদ, নেটওয়ার্ক, বিভিন্ন জোট, স্থানীয় সম্পদ, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ইত্যাদি চিহ্নিতকরণে ও অর্জনে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে ।
• বৈচিত্রের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বিভিন্ন অধিকার আন্দোলনের সাথে কার্যকর সম্পর্ক স্থাপনের কৌশল হিসেবে বিভিন্ন উদ্যোগের, যেমন- শ্রম আন্দোলন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, যৌনকর্মীদের আন্দোলন এর সাথে নারী আন্দোলনকে সংযুক্ত করতে হবে ।
• আন্তঃপ্রজন্মের মধ্যে যোগসূত্রতা স্থাপনের মাধ্যমে নারী আন্দোলনের ধারাকে চলমান রাখতে হবে। • তৃণমূল নারী সংগঠনগুলোর নিজেদের আত্মমূল্যায়নের মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করে উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে হবে।
• নারী আন্দোলনের ইস্যুকে রাজনৈতিক দলের এজেন্ডায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে
মনোযোগ দিয়ে শোনার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আমাদের সম্মেলনের বিষয়টি আপনাদের পত্রিকায় প্রকাশ করবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করে আমার কথা শেষ করছি।
ফাইল ছবি
আগামীকাল রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকামুখী পরিবহন ধর্মঘট ডেকেছে ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি।
গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্লোথ গতির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণে ঢাকামুখী ময়মনসিংহ অঞ্চলের গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পরিবহন মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমান।
এর আগে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসনে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছিল ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টিজ ও ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতি। এজন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত দেয়া হয়েছিল আল্টিমেটাম। বেধে সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে রবিবার ভোর থেকে বন্ধ হচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকামুখী সকল যানবাহন।
তাই আগামীকাল রবিবার থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) যোগাযোগ ব্যবস্থা পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন