a
ফাইল ছবি
ইউরোপিয়ান গার্লস ম্যাথ অলিম্পিয়াড (ইজিএমও) ২০২১-এ অংশগ্রহনকারী মেয়েরা রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে। এই প্রথমবার বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়।
গত ১১ ও ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ইজিএমও ২০২১। ২০১২ সাল থেকেই ইজিএমও যাত্রা শুরু হয়। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও অনুষ্ঠিত হয় এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠান। এ বছর করোনা মহামারীর কারনে অনলাইনে আয়োজিত হয় এ প্রতিযোগিতা। এবার ৫৫টি দেশের ২১৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে।
প্রথমবার অংশগ্রহণ করেই বাংলাদেশের প্রতিযোগী নুজহাত আহমেদ দিশা ১৫ পয়েন্ট পেয়ে অর্জন করেছে রৌপ্যপদক আর রায়ান বিনতে মোস্তফা ৮ পয়েন্ট পেয়ে জয় করেছে একটি ব্রোঞ্জপদক।
এছাড়া এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে আরিফা আলম ও সাফা তাসনিমও ভালো নম্বর পেয়েছে। বাংলাদেশ দলের সর্বমোট পয়েন্ট ২৭। দলগত স্কোরে বাংলাদেশ দল ভারত, নেদারল্যান্ডসের মতো অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
ফাইল ছবি
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। এরফলে ভিপিএন নিষিদ্ধ করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। তারা বলছেন, ভিপিএন অ্যাপ ব্যবহার করে অপরাধীরা নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে অনলাইনে থাকছেন। তাই এটা বন্ধ করা অতীব জরুরী।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, অ্যাটলাস ভিপিএন-এর মতে বিশ্বে সবচেয়ে ভিপিএন ব্যবহার হয় ভারতে। দেশটিতে পাবজি গেম নিষিদ্ধের পরে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ‘ভিপিএন’। এই অ্যাপ ও টুলের সহায়তা নিয়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন নিষিদ্ধ হওয়া ওয়েবসাইটে। জনপ্রিয় ভিপিএন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম নর্ড ভিপিএন, এক্সপ্রেস ভিপিএন ও আইপি ভ্যানিশ।
রাজ্যসভায় জমা দেওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিপিএন ব্যবহার করে দেশের সাইবার নিরাপত্তার সমস্ত বিধিনিষেধ এড়িয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এর মাধ্যমে বড় ধরনের অপরাধ হতে পারে।
ভিপিএন পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা সম্ভব কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে দেশটির বিশেষজ্ঞরা জানান, অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য ভিপিএন নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কিংবা হ্যাকারদের কাছ থেকে কি তা নিরাপদ হবে? সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
কামরুল হোসেন, ঢাকা: বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তির বিকাশে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং স্ব-শিক্ষিত বিজ্ঞানীদের নিয়ে তিনদিনব্যাপি বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা' ২০২৫ শুরু।
আজ (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সকালে পরিষদের ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে। ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের এই মিলনমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সিনিয়র সচিব জনাব মোঃ মোকাব্বির হোসেন । তিনি বলেন, ছোট ছোট এই কোমলমতি ছেলেমেয়েরা যতটুকু অগ্রগতি দেখাতে পেরেছে আমাদের সময় এতটা সুযোগ ছিল না।
আমি সত্যিই আনন্দিত এই ধরনের বিজ্ঞানমেলায় আসতে পেরে। আশা করছি বর্তমান সময়কে ছাপিয়ে ভবিষ্যতে দেশের আবিষ্কারজগতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তিনি বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান সহ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীকে শুভকামনা জানান। এক আবেগঘন পরিবেশে তিনি বলেন, আমি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে থেকেও কিছু ক্রিয়েশন করতে পারিনি। আর আপনারা নতুন নতুন উদ্ভাবন করে যাচ্ছেন সত্যিই বিষয়টা দারুন। দেশের উদ্ভাবনী জগতে আপনারা আরও সাফল্য নিয়ে আসবেন সেই প্রত্যাশা করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় । তিনি বলেন, ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এক ছাতার নিচে মিলিত হতে পেরেছে এবং তাদের উদ্ভাবনী শক্তি আপনাদের মাধ্যমে প্রকাশ করতে পারছে এটি সত্যিই প্রশংসনীয়। বিসিএসআইআর বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলা-২০২৫ সফল হোক এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের মাঝ থেকে এক সময় দেশ সেরা বিজ্ঞানী তৈরি হোক এই প্রত্যাশাই করছি।
সভাপতির ভাষণে পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. সামিনা আহমেদ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্য বলেন”, তোমাদের এই শ্রম এবং সাধনা দেশ গঠনের কাজে ভূমিকা পালন করবে। তোমরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বিসিএসআইআর এর সকল বিজ্ঞানী, সকল কর্মকর্তা এবং কর্মচারীসহ পুরো মেলা জুড়ে যারা সহযোগিতা করেছেন এবং শ্রম দিয়েছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
৩ দিন ব্যাপী (২৪-২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫) আয়োজিত এই ক্ষুদে বিজ্ঞান মেলায় বিভিন্ন গ্রুপে প্রতিষ্ঠানের ৬৬টি বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শিত হয়, যেখানে অংশ গ্রহণ করে প্রায় ২০০ ক্ষুদে বিজ্ঞানী। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও মেলায় উপস্থিত দর্শনার্থীদের জন্য তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন।
বিসিএসআইআর বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মেলা-২০২৫-এর তথ্য কণিকা:
ক-গ্রুপ (৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি) – মোট প্রকল্প ২১টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -১৯টি, অংশগ্রহনকারী- ৭৬ জন: খ-গ্রুপ (৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি) – মোট প্রকল্প ১৫টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -১৫টি, অংশগ্রহনকারী- ৬০ জন: গ-গ্রুপ (একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি) – মোট প্রকল্প ১৮টি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান -১৭টি, অংশগ্রহনকারী-৫৮ জন: ঘ-গ্রুপ (স্ব-শিক্ষিত বিজ্ঞানী) - মোট প্রকল্প ২টি এবং অংশগ্রহনকারী- ৮ জন।
এছাড়া বিসিএসআইআর-এর পদ্ধতি/প্রসেস গ্রহণকারী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের ষ্টল -৭টি। বিজ্ঞান ও শিল্প প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সরকারী প্রতিষ্ঠনের ষ্টল- ৪টি।