a
ছবি: এম.এস প্রতিদিন
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীন আরশীনগর ইউনিয়নের ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে গতকাল বুধবার ১২মে (২৯ রমজান) ৬০টি অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন বন্ধন যুবকল্যাণ সংগঠন নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ রাসেল গাজী, সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান উকিল, উপদেষ্টা সদস্য আলাউদ্দিন মিয়া বাচ্চু, যুগ্ন- সাধারণত সম্পাদক, কিরন উকিল, দপ্তর সম্পাদক, আবু সুফিয়ান বালা, প্রচার সম্পাদক, মোঃ মামুন ফকির, সহ- ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক, মিলন উকিল, সজিব বেপারিসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মাস্টার মোঃ রফিকুল ইসলাম সরদারের সুযোগ্য সন্তান জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার চৌকস কর্মকর্তা মোঃ ফয়সাল আহমেদ এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোহাম্মদ রাসেল গাজি,কিরন উকিল, সায়মন হাসান, মামুন ফকির সহ সবার সহযোগিতায় বন্ধন যুব কল্যাণ ফাউন্ডেশন নামের একটি মানবিক সেবামূলক সংগঠন গড়ে তোলা হয়।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত থেকে সমাজের কল্যাণমূলক কাজে নিরলসভাবে আত্ননিয়োগ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এবারের ঈদে ৬০টি অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদের খাদ্য সামগ্রী হিসেবে (সেমাই চিনি, গুঁড়া দুধ, মসলা) প্রদান করা হয়।
বন্ধন যুব কল্যান ফাউন্ডেশন সামাজিক ও মানবিক কাজে ভিন্নমাত্রা যোগ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়। সংগঠনটি উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে সকলের সাহায্য, সহযোগিতা ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে।
ছবি: এম.এস.প্রতিদিন
সদরঘাটের সাথে পরিচিত নন এমন লোক বাংলাদেশে হয়ত খুজেই পাওয়া যাবে না। সদরঘাট হলো দক্ষিণবঙ্গগামী সকল মানুষের জন্য নদীপথে ঢাকা ত্যাগের প্রধান ফটক। ২২টি জেলার মানুষের কাছে প্রধান চলাচল মাধ্যম সদরঘাট। পূর্বে সদরঘাটের নাম শুনলেই চোখে ভেসে আসতো এদিক সেদিক ময়লার ভাগাড় কিন্তু বর্তমান সদরঘাটের চিত্র দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবে না তারা কোথায় চলে এসেছে।
বাংলাদেশ সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় বিআইডব্লিউটিআইর সাবেক যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিনের প্রচেষ্টায় ২০১৯ সালে দখলদারদের থেকে সদরঘাটের বিভিন্ন যায়গা উদ্ধার করে গ্রিন সদরঘাট করা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন তার সেই পদক্ষেপ আজ মানুষের সামনে দৃশ্যমান।
বর্তমানে দেশের এই নদী বন্দরকে সর্বদা পর্যবেক্ষণ করার জন্য ৩২টি পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। যেকোনো সময় যাত্রী সেবা দিতে চালু করা হয়েছে হটলাইন নম্বর। দখলি স্থান উদ্ধার করে সেখানে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের গাছ, ঝাউ গাছ, বট গাছ, কৃষ্ণচূড়া গাছ উল্লেখযোগ্যভাবে সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলছে। একেবারে লালকুঠি ঘাট থেকে পশ্চিমের সীমানা পর্যন্ত রাস্তার পাশে ড্রামের ভিতর লাগানো হয়েছে ঝাউ গাছ এছাড়া লালকুঠি ঘাট থেকে প্রধান ফটক পর্যন্ত ইট দিয়ে গোলা করে মাটি উচু করে বট গাছ লাগানো হয়েছে। যা টার্মিনালের সামনের সড়কের শৃঙ্খলা বজায়ে রাখতে সহায়তা করে।
টার্মিনালের সামনেই রয়েছে পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা যা খুব প্রয়োজন ছিল এমন গুরুত্বপূর্ণ যায়গায়। প্রধান ফটক থেকে শুরু করে আহসান মঞ্জিল পর্যন্ত প্রত্যেক গেট দিয়ে ঢুকার সময়ই মন কেড়ে নিবে বাহারি ফুলের সৌন্দর্য্যে।
বর্তমানে যাত্রীর চাপ হালকা করতে বিভিন্ন অঞ্চলের ঘাট আলাদা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, পূর্বে সদরঘাটে পন্টুন সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩টি উচ্ছেদ অভিযানের পর পন্টুনের সংখ্যা এখন ৩০টি। ঘাটে কমেছে কুলি ও দালালদের দৌরাত্ব।
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পদ্মা সেতু থেকে টুস করে ফেলে দেওয়ার কথাটি ছিল হিউমার। তিনি আরও বলেছেন, বিএনপি ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ানোর কথাটিও হিউমার ছিল। আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে একজন সাংবাদিক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপিকে চা খাওয়ার দাওয়াতের কথা বলে আসলে সংলাপের দরজা খুলতে চাইছেন কি না। জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখুন, এ তো পলিটিক্যাল হিউমার। যেমন বেগম খালেদা জিয়াকে টুপ করে ফেলে দেওয়ার কথাটি হিউমার। তারা (বিএনপি) ঘেরাও করবে, আন্দোলন করবে—এটারই জবাবে হিউমারের দিক থেকে বলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলেরা ঘেরাও করতে এলে চা খাওয়ালে অসুবিধা কী?’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৮ মে দলীয় এক সভায় পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অতীত মন্তব্যের সমালোচনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়া বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে। সেতুতে যে স্প্যানগুলো বসাচ্ছে, এগুলো তার কাছে ছিল জোড়াতালি দেওয়া। বলেছিল, জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না। চড়লে ভেঙে পড়বে। আবার তার সঙ্গে কিছু দোসরেরাও...তাদের এখন কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত।’
গত শনিবার দলীয় আরেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, বিএনপি যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব।’ সূত্র: প্রথম আলো