a
ফাইল ছবি
সারা বিশ্ব বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে প্রত্যাশা করছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার (১০ এপ্রিল) ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে একথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরাল ও গভীর করতে আগ্রহী। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানবাধিকার বিষয়েও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করতে চায়। ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় ও দেখভালের জন্য বাংলাদেশের মহানুভবতারও প্রশংসা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দুই দেশের চলমান অংশীদারিসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে সফর নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা মোদির বিরুদ্ধে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তার পাসপোর্ট বাতিলেরও দাবি জানিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা
বাংলাদেশে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষের জন্য মোদি ভোট ‘চাইতে’ গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মমতা বলেন, বাংলায় ভোটের সময় আপনি বাংলাদেশে কেন? আপনি যদি ভোট চলাকালীন বাংলাদেশে একটি বিশেষ শ্রেণির মানুষের জন্য ভোট চাইতে যান, তাহলে আপনার ভিসা-পাসপোর্ট কেন বাতিল হবে না?
নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। মোদিকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, কখনও বলছে বাংলাদেশ থেকে মমতা সব অনুপ্রবেশ করিয়েছে, আর এখন তিনি ভোটের সময় বাংলাদেশে গিয়ে মার্কেটিং করছে। কে ঠিক আর কে ভুল, তার জবাব চাই। নইলে যতদূর যাওয়ার আমরা যাব।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশি অভিনেতা ফেরদৌসের ভিসা বাতিলের প্রসঙ্গও টেনে আনেন মমতা।
তিনি বলেন, ফেরদৌস নামে এক বাংলাদেশি ফিল্মস্টার ২০১৯ লোকসভায় আমাদের একটা র্যালিতে যোগ দিয়েছিল। বিজেপি এসে সরকারের সঙ্গে কথা বলে ওর ভিসা বাতিল করে দেয়। আর প্রধানমন্ত্রী ভোট নোটিফিকেশন হওয়ার পরে বিদেশে গিয়ে ভোট নিয়ে কথা বললে কী হয়? আপনার জন্য সব ছাড়। আর অন্যদের জন্য নয়।
ফাইল ছবি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এটা একটু কম-বেশি হবেই। কিন্তু আমাদের নানা লোকজন রয়েছে যারা এটা নিয়ে নানারকম মন্তব্য এবং গুজব করে বেড়ায়।’
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমাদের ৩ মাসের খাদ্য কেনার যে রিজার্ভ সেটা থাকলেই যথেষ্ট। তবে ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্যপণ্যে পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে, নিজের দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের যে উর্বর জমি ও জনসংখ্যা রয়েছে তাতে উদ্যোগ নিলে আমরা সেটা করতে পারি। শুধু উৎপাদন নয় খাদ্যপণ্য সংরক্ষণ আধুনিকীকরণ করতে হবে এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পও ব্যাপকভাবে গড়ে তুলতে হবে। এতে করে দেশের মানুষের জন্য যেমন একটা বাজার তৈরি হবে আবার বিদেশেও আমরা রপ্তানি করতে পারব।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলা করতে হয়েছে আমাদের, তারই সঙ্গে শুরু হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই যুদ্ধ অর্থহীন। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এই যুদ্ধ শুধুমাত্র যারা অস্ত্র তৈরি করে তারাই লাভবান হচ্ছে, আর সাধারণ মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই যুদ্ধ, শুধু যুদ্ধই না তার সঙ্গে আবার স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা)। এই স্যাংশন, পালটা-পালটি স্যাংশনের ফলে আজকে সারা বিশ্ব অর্থনৈতিক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে এবং তারা এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয়, জ্বালানি সাশ্রয়, খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত এবং সে কারণে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। সেখানে আমাদের মতো দেশ, কেবল আমরা উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছি। আমরা একটা লক্ষ্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আপ্রাণভাবে, আর তখনই এই ধরনের বাধা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক।’
আমাদেরকে থেমে থাকলে চলবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে জ্বালানি সাশ্রয়ের ব্যাপারে সব দেশই কিন্তু নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরাও সেটা অনুসরণ করছি।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সেন্টেনিয়াল কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন উপজেলায় নির্মিত ২৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র উদ্বোধনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দরকার হচ্ছে একটা দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা। কেননা আমাদের যুব সমাজ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে এবং আমরা তা নিচ্ছি।’
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন এবং বিএমইটির মহাপরিচালক মো. শহিদুল আলম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সূত্র: বাসস