a
ফাইল ছবি
বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে আঁতোয়া গ্রিজম্যানের গোলে জয় পেয়ে যায় ফ্রান্স। বুধবার রাতে সারায়েভোয় ‘ডি’ গ্রুপের খেলায় শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও ফ্রান্সকে একটিমাত্র গোলেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে যথেষ্ট সুযোগ পেলেও বসনিয়ার খেলোয়াড়রা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। বিশেষ করে, হুগো লরিসকে ফাঁকি দিতে পারেনি স্বাগতিকরা।
অবশেষে দ্বিতীয়ার্ধে ৬০তম মিনিটে গ্রিজম্যান গোলে ব্যবধান ঘটান। আদ্রিওঁ রাবিওর ক্রসে মার্কারকে এড়িয়ে দারুণ হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে জালে ঢুকে দেন এই ফরোয়ার্ড। এতে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে ফ্রান্স।
ফাইল ছবি
কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের বাচা-মরার লড়াইয়ে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে টিকে থাকলো টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট দল আর্জেন্টিনা। আজ বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে মেক্সিকোর বিপক্ষে অগ্নিপরীক্ষায় নামে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধ শেষে গোল করতে ব্যর্থ হয় মেসির দল। তবে বিরতির পর জোড়া গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই অ্যাটাকে যায় তারা। তবে সেখান থেকে কোন বিপদ ঘটে না। অন্যদিকে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলতে থাকে মেক্সিকো। ম্যাচের ৮ মিনিটে কর্নার পায় মেক্সিকো। তবে তা থেকে সুযোগ তৈরী করতে পারেনি তারা। ম্যাচের ৯ মিনিটে পাওয়া ফ্রি কিক থেকে সুযোগ তৈরী হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি মেক্সিকো।
ম্যাচের ২০ মিনিটে ডি বক্সের বাইর থেকে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। তবে সেই ফ্রি কিক কাজে লাগাতে পারেনি মেক্সিকো। অ্যালেক্সিক ভেগার নেওয়া ফ্রি কিক নিজের গ্লোভসে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ২২ মিনিটে ডি পলকে ফাউল করার কারণে নেস্টোর আরাউজোকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোছানো আক্রমণে যায় আর্জেন্টিনা। ডান দিক থেকে লাউতোরো মার্টিনেজের নেওয়া শট চলে যায় পোস্টের বাইর দিয়ে।
ম্যাচের ৩১ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। সেই কর্নার কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা। ডান প্রান্তে ডি পলকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া সেই ফ্রি কিক থেকে ঠেকিয়ে দেন মেক্সিকোর গোলরক্ষক গুইলের্মো ওচোয়া। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে আক্রমণে গেলেও তার পূর্ণতা দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে আবারও কর্নার পায় আর্জেন্টিনা। শট কর্নার নেয় মেসি। মেসির থেকে বল পেয়ে ক্রস করে ডি মারিয়া। তার ক্রস থেকে হেড করে লাউতোরো মার্টিনেজ। তবে তা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে ফাউল করার কারণে গঞ্জালো মন্টিয়েলকে হলুদ কার্ড দেখান রাফারি। ডি বক্সের বাইর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক অসাধারণ সেভে দলকে রক্ষা করেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
এরপর কিছু আক্রমণ চালালেও তা থেকে গোল বের করতে ব্যর্থ হয় দুই দল। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকো।
বিরতি থেকে ফিরে গোলের আশায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে দু'দলই। ম্যাচের ৫০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে মেসিকে ফাউল করার কারণে হলুদ কার্ড দেখেন গুতেরেজ। মেসির নেওয়া ফ্রি কিক চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ম্যাচের ৫০ মিনিট পেরিয়ে গেলেও গোলশূন্য থাকে দু'দল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার বাড়ানো বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকাররা।
এরপর থেকে আক্রমণে ধার বাড়ায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। সেই ফ্রি কিক থেকে বিপদের সম্ভাবনা তৈরী হলেও তা ক্লিয়ার করে দেয় আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডাররা। গোলের আশায় ম্যাচের ৬৩ মিনিটে লাউতোরো মার্টিনেজের পরিবর্তে জুলিয়ান আলভারেজকে মাঠে নামান আর্জেটিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।
ম্যাচের ৬৪ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শটে বল জালে জড়ান লিওনেল মেসি। তার গোলে ম্যাচে লিড পায় আর্জেন্টিনা। পিছিয়ে পড়ে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে মেক্সিকো। অন্যদিকে সমান তালে আক্রমণ করতে থাকে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ডান দিক থেকে আক্রমণে সুযোগ তৈরী করলেও তা থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয় আর্জেন্টিনা।
এরপর ম্যাচের ৮০ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। তবে সেই ফ্রি কিক থেকে নেওয়া হেড সহজেই নিজের গ্লোভসে নেন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। ম্যাচের ৮৫ মিনিটে কর্নার পায় মেক্সিকো। তবে তা কাজে লাগেত পারেনি তারা। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে যায় আর্জেন্টিনা।
ম্যাচের ৮৭ মিনিটে কর্নার আদায় করে আর্জেন্টিনা। সেখান থেকে ম্যাচের ৮৭ মিনিটে আবারও গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ডি বক্সের সামান্য ভেতর থেকে অসাধারণ শটে বল জালে জড়ান এন্দ্রো ফার্নান্দেজ। এই গোলের সুবাদে দুই গোলের লিড পায় আর্জেন্টিনা। সেইসঙ্গে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় মেক্সিকো।
এরপর বেশ কিছু আক্রমণ করলেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় দু'দল। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপ-২০২২ ভক্তদের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো আর্জেন্টিনা। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, দলীয় নেতা নূরে আলম ও আবদুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপির যে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে তা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, চাল-ডাল-তেলসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে ভোলায় আমাদের ছাত্রদল নেতা নূরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবদুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে আমরা সারাদেশের ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছি। এই প্রতিবাদ আন্দোলনে সারাদেশের জনগণের মধ্যে একটি অভূতপূর্ব সারা সৃষ্টি করেছে। ভয়াবহ, কর্তৃত্ববাদী, ফ্যাসিবাদী, অত্যাচারী, নির্যাতনকারী সরকারের দুঃশাসনের ফলে সমগ্র দেশের মানুষ যে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে তারই প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমে এসেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা দেখেছেন এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে মানুষ বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে। লাখ লাখ মানুষের সমাবেশ হচ্ছে এই সরকারের বিরুদ্ধে। এতে সম্পূর্ণভাবে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী চরিত্র আরও একবার উদ্ভাসিত হয়েছে। আমি সব সময় বলি, আওয়ামী লীগের বডি ক্যামিস্ট্রির মধ্যেই সন্ত্রাস আছে। রাজনৈতিকভাবে তারা দেউলিয়া হয়ে বলপ্রয়োগ ছাড়া তাদের টিকে থাকার আর কোনো শক্তি নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের যে প্রতিবাদ কর্মসূচি সেটা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব থানা উপজেলায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে হবে। এরমধ্যে আগামী ৩০ আগস্ট সারাদেশে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের স্মরণে সারাদেশে আন্তর্জাতিক দিবস পালন করবো। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে পালন করবো।
অন্যদিকে ১ সেপ্টেম্বর আমাদের (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সারাদেশে পালিত হবে। এ উপলক্ষে আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা হবে। ১০ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন