a
ফাইল ছবি
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আগের মতো ফেরি চলাচলের ঘোষণার পর মঙ্গলবার থেকে ঘাটে মানুষের চাপ বেড়ে যায়। গতকাল রাত পর্যন্ত ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ অনেক বেশি ছিলো। কোন ফেরি আসার সাথে সাথে ফেরিতে লোকজন উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আজ বুধবার সকাল হতে শিমুলিয়া ঘাটে লোকজন আরও বেড়ে যায়।
আইন-শৃংখলা বাহিনী বিগত কয়েকদিনের ন্যায় আজও শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ মুখে ব্যারিকেট দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারপরও প্রায় ১ কিলোমিটার পায়ে হেটে যাত্রীরা ঘাটে প্রবেশ করছে। অনেকে পরিবার পরিজন ও মালপত্র নিয়ে পায়ে হেটে ঘাটে পৌঁছাতে হাফিয়ে উঠছে। আবার ঘাটে এসে যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে আরেক যুদ্ধ করতে হয়।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারি উপমহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঘাটে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। বাংলাবাজার ঘাট হতে যখন কোন ফেরি ভিড়ছে, তখনি যাত্রীরা সবাই একসঙ্গে উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। যাত্রীদের চাপে ফেরির যানবাহনগুলো ঠিকমতো নামাতে পারছে না। আর এরফলে ধীরগতিতে যানবাহন নামিয়ে ফেরি ছাড়তে দেরি হচ্ছে।
আগের ন্যায় ঘাটে ফেরি সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে ১৩-১৪ টি ফেরি চলছে। কিন্তু যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। একটি ফেরি ঘাটে বেড়ানোর সাথে সাথেই সকল যাত্রী সেখানেই উঠার চেষ্টা করছেন। কোনোভাবেই তাদের ফেরি থেকে নামানো যাচ্ছে না বা স্বাস্থ্যবিধি মানার যে দূরত্ব তা কোনভাবেই রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছেনা।
ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করছে শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার (২৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করছে ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল কিছু খোলা থাকতে পারলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কি দোষ করেছে? সব ধরনের পরিবহন মার্কেট,অফিস খোলা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সম্পূর্ন অযৌক্তিক। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চূড়ান্ত পরীক্ষা নেওয়া ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে ঢাকাসহ কুমিল্লা,গাজিপুর,টাঙ্গাইল,পাবনা,বগুড়া,রাজশাহী, ময়মনসিংহ, বরিশাল,সিলেট সহ আরো অন্যান্য বিভাগীয় শহরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে উপস্থিত প্রায় সকল শিক্ষার্থীরাই বলেন, দেশের সবকিছু যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সেখানে আমাদের কেন বসিয়ে রাখা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এ সময় শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান। এসময় শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে গত প্রায় দুই বছর যাবৎ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। বার বার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। অথচ সকল কিছুই স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। যে কারণে অনেক শিক্ষার্থী অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়াসহ তাদের জীবনে নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ।
শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, অন্যথায় আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলনের যেতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীরা।
ফাইল ছবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দিচ্ছে না কেন? তিনি যদি উন্নত চিকিৎসার জন্য যান সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়তে পারে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় তার খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল কি না। বিদেশে উন্নত ল্যাবে এটা ধরা পড়তে পারে। এই কারণেই বেগম জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
শনিবার (১৯ আগস্ট) বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ঢাকা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে রিজভী এই অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমাদের ধারণা হয়, আশঙ্কা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে হত্যা করার অভিপ্রায়ে ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে তাকে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। কারণ শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল খালেদা জিয়া। পথের কাটা দূর করতে, নির্বাচনি মাঠ শূন্য করতে রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে, আইন আদালত ব্যবহার করে বন্দি করা হয়েছিল।
যে সুস্থ মানুষটি কারাগারের ভেতরে গেলেন, আজকে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কেন? কারণ, শেখ হাসিনার বিরাট চক্রান্ত খালেদা জিয়াকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। উনি এমন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী যে, এক দল থাকবে, এক নেত্রী থাকবে। কেউ কোনো সত্য উচ্চারণ করবে না। যে করবে সে গুমের শিকার হবে বা বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হবে। এই কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, সেটা তিনি নিজেই প্রমাণ করেছেন। তার নির্বাচনে বিরোধী দল থাকে জেলখানায়। নির্বাচনি মাঠ শূন্য করার জন্য একের পর এক পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয় না। তাই নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীর পরিচালনায় এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন মাস্টার, তমিজ উদ্দিন, দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু প্রমুখ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন