a জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৩৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাড্ডা থানা–পুলিশ  এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম চন্দন পার্সি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাড্ডা এলাকার ওই ভবনে চন্দন মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।

চন্দন পার্শির বন্ধু ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একই ব্যাচের  আল-রাজী মাহমুদ অনিক বলেন, ' খুব শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি ও মিশুক ছেলে ছিল পার্শি। ওকে দেখে আমাদের কখনোই মনে হয়নি ও এমনটা করতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক্টিভ ছিলনা। আমরা ভেবেছি সামনে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু ওর বোন আজ আমাদের এক বন্ধুকে ফোন করে এই সংবাদ দেয়। এমন সংবাদ আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে। বেকারত্বের হতাশা থেকেই এমনটা করেছে বলেই পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা।'

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘থানায় সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন বছর তিনি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের পরিবার একমাত্র বোনের আয়ে চলছিল। এসব বিষয়ে তিনি প্রায় মানসিকভাবে পীড়িত হতেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন


এম.এস প্রতিদিন ডেস্ক:
মঙ্গলবার, ১৮ মে, ২০২১, ০৪:৩৬
একজন সাইফুল আজমের প্র‍য়োজনবোধ করছে ফিলিস্তিন

ফাইল ছবি । সাইফূল আজম

 

সাইফুল আজম শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবীর ইতিহাসের একমাত্র যোদ্ধা, যিনি আকাশপথে লড়াই করেছেন তিন তিনটি, আলাদা দেশের বিমানবাহিনীর সদস্য হয়ে। তিনিই একক ব্যক্তি হিসেবে আকাশপথে যুদ্ধের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইসরাইলি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন। ইতিহাসে নজির সৃষ্টিকারী ২২ জন ‘লিভিং ঈগলের’ অন্যতম একজন ছিলেন এই বীর বাঙালি বিমান সৈনিক'

১৯৭১ সালের পূর্বে পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কাজ করেছিলেন সাইফুল আজম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে অংশ নেন। পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় ১৯৬৭ সালের জুন মাসে তৃতীয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ আরম্ভ হলে সশরীরে যুদ্ধে অংশ নিতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ইরাকি বিমানবাহিনীতে স্থানান্তরিত হন সাইফুল আজম। পশ্চিম ইরাকে অবস্থান নিয়ে ইসরাইলিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিলেন তিনি।

যুদ্ধ আরম্ভ হবার মাত্র ৫ দিনের মাথায় গাজা এবং সিনাইয়ের কর্তৃত্ব নিয়েছিল ইসরাইল। জুনের ৫ তারিখে সিরীয় বিমানবাহিনীর দুই-তৃতীয়াংশ শক্তি ধ্বংস করে দিয়েছিল সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলি বিমান সেনারা। তেমন কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই ইসরাইল পশ্চিম তীর এবং জেরুজালেম তারা দখল করেছিল। করায়ত্ব করেছিল সিরিয়ার গোলান মালভূমিও। তাদের সামনে বিন্দুমাত্র প্রতিরোধ তৈরি করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ। এ সময় ইসরাইলিদের যমদূত হয়ে জর্ডানে যান সাইফুল আজম।

৬ জুন আকাশ থেকে প্রচণ্ড আক্রমণে মিসরীয় বিমানবাহিনীর যুদ্ধ-সরঞ্জাম গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল ইসরাইলি বাহিনী। একই দিনে চারটি ইসরাইলি সুপারসনিক ‘ডাসল্ট সুপার মিস্টেরে’ জঙ্গি বিমান আক্রমণের জন্য ধেয়ে আসে জর্ডানের মাফরাক বিমান ঘাঁটির দিকে। এবার তাদের উদ্দেশ্য ছিল জর্ডানের বিমানবাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করে মাটিতে মিশিয়ে দেয়া।

সে সময় ইসরাইলি শক্তিশালী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করার মতো সমতুল্য বিমান আরবীয়দের ছিল না। তবু ইসরাইলিদের আটকাতে মাফরাক বিমান ঘাঁটি থেকে 'হকার হান্টার’ জঙ্গি বিমান নিয়ে বুক চিতিয়ে উড়াল দিয়েছিলেন সাইফুল আজম।

আর সেই হকার হান্টার দিয়েই চিতার ন্যায় তীব্র গতিতে দুটি ইসরাইলি সুপারসনিক বিমানকে ভুপাতিত  করে মাটিতে আছড়ে ফেলেছিলেন  সাইফুল আজম। তার অব্যর্থ আঘাতের পর আঘাতে ভূপাতিত হচ্ছিল এক  একটি ইসরাইলি ‘সুপার মিস্টেরে’। 

সে দিন ভয়ডরহীন বৈমানিক সৈনিক সাইফুল আজমের অকল্পনীয় সাহস আর বীরত্বের কাছে ইসরাইলের সকল পরিকল্পনাই হারিয়ে যায়। উল্টো নিজেদেরই দুটো বিমান হারাতে হয়েছিল তাদের। এমন সাহসী বীরত্বের জন্য পুরস্কারস্বরূপ সাইফুল আজমকে ‘হুসাম-ই-ইস্তিকলাল’ সম্মাননায় ভূষিত করে জর্ডান সরকার।

সাইফুল আজমের কাছে ইসরাইলি বৈমানিকদের ধরাশায়ী হওয়া এটাই প্রথম। পরদিনই তার কৃতিত্বে ইরাকি বৈমানিক দলের কাছে চরমভাবে পরাজিত হয় ইসরাইলিরা। ৭ জুনে ইরাকের ‘এইচ-থ্রি’ ও ‘আল-ওয়ালিদ’ ঘাঁটি রক্ষা করার দায়িত্ব পড়ে এক ইরাকি বৈমানিক দলের কাঁধে। আর সাইফুল আজম সেই দলের অধিনায়ক। সে দিন চারটি ‘ভেটোর বোম্বার’ ও দু’টি ‘মিরেজ থ্রিসি’ জঙ্গি বিমান নিয়ে আক্রমণ চালায় ইসরাইল।

একটি ‘মিরেজ থ্রিসি’ বিমানে ছিলেন ইসরায়েলি ক্যাপ্টেন গিডিওন দ্রোর। দ্রোরের গুলিতে নিহত হন আজমের উইংম্যান। তার হামলায় ভূপাতিত হয় দুটি ইরাকি বিমান। পরক্ষণেই এর জবাব দেন আজম। তার অব্যর্থ টার্গেটে পরিণত হয় দ্রোরের ‘মিরেজ থ্রিসি’। সে আঘাতের পর বাঁচার উপায় না পেয়ে যুদ্ধবন্দি হিসেবে ধরা দেন ক্যাপ্টেন দ্রোর। ওই যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে জর্ডান ও ইরাকের সহস্রাধিক সৈন্যকে মুক্ত করে দেয় ইসরাইল।

আরব-ইসরাইল যুদ্ধের প্রথম ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সাইফুল আজম একটি অনন্য রেকর্ড তৈরি করেন। ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ভূপাতিত করেছেন সর্বোচ্চ তিনটি ইসরাইলি বিমান। যে জন্য ‘নাত আল-সুজাহ’ সামরিক সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ইতিহাসে তার অন্যান্য নজিড় স্থাপনকারী এই কাজের জন্য তাকে  পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ সামরিক সম্মাননা ‘সিতারা-ই-জুরাত’-এ ভূষিত করা হয়। সাইফুল আজমই পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বৈমানিক যিনি চারটি দেশের বিমানবাহিনীর সৈন্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই চারটি দেশ হল পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক ও মাতৃভূমি বাংলাদেশ।

এই চার দেশ ব্যতিত ও তিনি আটটি আলাদা দেশের আট বাহিনীর বিমান পরিচালনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, জর্ডান, ইরাক, রাশিয়া, চীন ও নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের হয়ে বিমান চালিয়েছেন তিনি। যুদ্ধক্ষেত্রে অনন্য সব অর্জন আর ইতিহাস গড়া সাইফুল আজমকে ২০০১ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স বিশ্বের ২২ জন ‘লিভিং ইগলস’-এর একজন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

কিংবদন্তি এই বীর বাঙালি আমাদের মাঝে আর বেচে নেই। গত বছর জুনে ঢাকার মহাখালী ডিএসএইচওর তার নিজ বাস ভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। দীর্ঘদিন তিনি নানা জটিল ও কঠিন রোগে ভুগছিলেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com

বরিশালের হিজলায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়


হিজলা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫, ১২:৫১
বরিশালের হিজলায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন



হিজলা, বরিশাল: বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। ২৫ জুন বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার  সিনিয়র মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের বাস্তবায়নে (২০২৪-২৫) অর্থ বছরে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ মাঠে নিবন্ধিত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উপকরণ সহায়তা হিসেবে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইলিয়াস সিকদার। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের  জেলেরা। সকল জেলেদের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন এই গরু গুলো আপনারা যথাযথভাবে লালন পালন করবেন এবং এটাই আপনাদের আগামীদিনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল নক্ষত্র তৈরি করতে পারে। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জেললেদের মাঝে সুশৃংখলভাবে গরুগুলো বিতরণ করেন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর জনপ্রিয়

সর্বশেষ - অন্যান্য

সর্বোচ্চ পঠিত - অন্যান্য

অন্যান্য এর সব খবর