a জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা


অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি:
মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৩:৩৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ফাইল ছবি

রাজধানীর বাড্ডায় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে একটি ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। বাড্ডা থানা–পুলিশ  এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

নিহত ব্যক্তির নাম চন্দন পার্সি। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ থেকে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাড্ডা এলাকার ওই ভবনে চন্দন মা ও বোনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন।

চন্দন পার্শির বন্ধু ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের একই ব্যাচের  আল-রাজী মাহমুদ অনিক বলেন, ' খুব শান্ত স্বভাবের হাসিখুশি ও মিশুক ছেলে ছিল পার্শি। ওকে দেখে আমাদের কখনোই মনে হয়নি ও এমনটা করতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে যোগাযোগ হয়নি ওর সাথে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এক্টিভ ছিলনা। আমরা ভেবেছি সামনে বিসিএস এর প্রস্তুতি নিতে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে।

কিন্তু ওর বোন আজ আমাদের এক বন্ধুকে ফোন করে এই সংবাদ দেয়। এমন সংবাদ আমাদের বাকরুদ্ধ করেছে। বেকারত্বের হতাশা থেকেই এমনটা করেছে বলেই পরিবার ও বন্ধুদের ধারণা।'

বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘থানায় সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘটনাটি জানানো হয়। আমরা ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠাই। সেখান থেকেই পরিবারের সদস্যরা তাঁর লাশ নিয়ে যায়।’

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত তিন বছর তিনি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। তাঁদের পরিবার একমাত্র বোনের আয়ে চলছিল। এসব বিষয়ে তিনি প্রায় মানসিকভাবে পীড়িত হতেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
 

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওয়াশ সেবার দাবী


সাইফুল আলম, ঢাকা প্রতিনিধি, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ০৮:৩৮
সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওয়াশ সেবার দাবী

ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

 

সাইফুল আলম, ঢাকা:  আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওযাশ) খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া উচিত। জোর দাবী জানানো হয় যেন সকল নাগরিকের জন্য বৈষম্যহীন এবং সমতাভিত্তিক ওযাশ সেবা নিশ্চিত করা হয়। সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

পিপিআরসি, ওযাটারএইড, এমএইচএম প্লাটফর্ম, ফানসা, এফএসএম নেটওয়ার্ক, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অলসহ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা এবং সংস্থাসমূহের নেটওয়ার্ক অফ ওয়াশ নেটওয়ার্ক্স যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও পিপিআরসি'র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, এটা সর্বজনস্বীকৃত যে একটা দেশের নাগরিকদের পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবার প্রাপ্তি একটি জন্মগত অধিকার। এই সেবাগুলো নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে, সামাজিক উন্নয়ন টেকসই করে এবং জলবায়ু সহনশীল পেশা নির্বাচন ও উদ্ভাবনী ওয়াশ সমাধানের মাধ্যমে পরিবেশগত অবক্ষয় রোধ করে। বাংলাদেশ সরকার ওযাশ খাতে একাধিক নীতি ও কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে—যেমন, সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান (SDP) ২০১১–২০২৫ এবং ২০২১ সালের জাতীয় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কৌশলপত্র।

তিনি আরও বলেন যে, ২০১৬–১৭ অর্থবছর থেকে ওয়াশ খাতে বরাদ্দে যে ঊর্ধ্বগতি দেখা গিযেছিল, তা ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে ব্যাহত হয় এবং ২২.৪৬% হ্রাস পায়। এই নেতিবাচক প্রবণতা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ (SDG) এবং জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা (NPTs ১৭–১৮) অর্জনের ক্ষেত্রে হুমকিস্বরূপ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ওযাশ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৮২.২৮ বিলিয়ন টাকা, যা ২০২৩–২৪ অর্থবছরে ২৩% হ্রাস পেয়ে ১৩৯.৭২ বিলিয়ন টাকায় দাঁড়ায। যদিও সংশোধিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দ কিছুটা বেড়ে ৭.২২% বৃদ্ধিসহ ১৪৯.৮১ বিলিয়ন টাকা হয়, এরপর ২০২৪– ২৫ অর্থবছরে তা ২২.৪৬% হ্রাস পেয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন যে, এই ধারাবাহিক নিম্নগামী প্রবণতা এদেশের নাগরিকদের নিরাপদ পানি এবং নিরাপদ স্যানিটেশন সেবার অধিকার নিশ্চিতকরণে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে এডিপি- ভিত্তিক ওয়াশ খাতে বরাদ্দের নেতিবাচক প্রবণতা তুলে ধরা হয়েছে। ওযাশ খাতে বিনিযোগে শহর ও গ্রামের মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, তা এখনো প্রকট, যা সমতার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। এডিপি বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দে শহর ও গ্রামাঞ্চলের মধ্যে বৈষম্য এখনো অব্যাহত রয়েছে।

ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি এন্ড এডভোকেসি লিড ফাইয়াজউদ্দিন আহমদ এডভোকেট বলেন যে, বাজেটে পাহাড়ি, উপকূলীয ও হাওর অঞ্চলের জন্য বরাদ্দে কোন ধারাবাহিকতা নেই। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপকূলীয অঞ্চলের বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পায় নতুন প্রকল্পের কারণে, তবে এসকল এলাকার মধ্যে ন্যায্যতা এখনো নিশ্চিত হয়নি। এই ধারা সরকার ঘোষিত সকল নাগরিকের জন্য নিরাপদ পানি ও নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের (NPTs ১৭ ও ১৮) প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

ক্লাইমেট জাস্টিস এলায়েন্সের সুমাইয়া বিনতে আনোয়ার বলেন যে, ২৫টি মন্ত্রণালয জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (CCTF) এবং এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওযাশ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও মাত্র ১৩টা মন্ত্রণালয ওযাশ খাতে বিনিযোগকে অগ্রাধিকার দেয় দিয়ে আসছে। তবে প্রশংসনীযভাবে, জলবায়ু-সম্পর্কিত ওযাশ বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

কিছু মন্ত্রণালয় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও অন্যান্য অভিযোজন কর্মসূচি সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার এলায়েন্সের মোহাম্মদ যোবাযের হাসান জানান যে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারি সামর্থ্যের অভাবে দেরি হয়েছে, ফলে সংশোধিত বাজেটে আংশিক বরাদ্দ প্রত্যাহার করা হয়। গত ৮ অর্থবছরেও পূর্ণ বাজেট ব্যবহার সম্ভব হয়নি। ২০২৩-২৪ বছরের সরকারী এডিপি প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষতা ও সচেতনতার অভাবে পূর্ণ বরাদ্দ ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

পিপিআরসি'র মোহাম্মদ আবদুল ওয়াজেদ বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয বাজেটে এডিপি বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসন এবং সংশ্লিষ্ট সম্প্রদাযের সম্পৃক্ততাকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। চর, হাওর, পাহাড়ি অঞ্চলসহ জলবায়ুগত ঝুঁকির আওতাধীন সুবিধাবঞ্চিত এলাকা এবং নগরগুলোর মধ্যকার বরাদ্দ বৈষম্য নিরসন করা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ওয়াশ খাতের জন্য এডিপি'র বরাদ্দ ওঠানামা এবং কম আনুপাতিক বৃদ্ধির প্রবণতা দেখায়। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাতে (এমডিজি) ওয়াশ খাতের তুলনায় এসডিজি যুগের ওয়াশ খাতের লক্ষ্যমাত্রা আরও জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং।

সম্মেলনে নেটওয়ার্ক অফ ওয়াশ নেটওয়ার্ক্স এর পক্ষ থেকে উপস্থাপিত প্রধান দাবীগুলো হচ্ছেঃ

১। শহর-গ্রাম, মাধ্যমিক ছোট শহর ও দুর্গম অঞ্চলে বৈষম্যহীন ওয়াশ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। এডিপি-তে ওযাশ উপ-খাতসমূহ (পয়ঃনিষ্কাশন ও স্বাস্থ্যবিধি) এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহ (এফএসএম, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পসমূহ) সঠিক অনুপাতে ও ন্যায্যভাবে বাড়াতে হবে।

২। অন্তর্ভুক্তিমূলক ওয়াশ বিনিযোগকে উৎসাহিত করতে হবে যাতে তা নারীর অধিকার এবং প্রান্তিক ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য (চা-শ্রমিক, বেদে, দলিত, হরিজন, জলদাস/জেলেরা প্রভৃতি) ন্যায্য বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারে।

৩। প্রকল্প বাস্তবাযননে সক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে সমযমতো বাজেট ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমে যাওয়া কমানো যায়।

৪। ওয়াশ বাজেট বাড়ানো ও এডিপি বৃদ্ধির সম্প্রসারণের মধ্যে সামঞ্জস্য করতে হবে যাতে হুট করে ওয়াশ বাজেট ওঠানামা এড়ানো যায়।

৫। জলবায়ু অর্থায়নের আওতায় সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে (মোট ২৫টি) ওযাশ-কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ঝুঁকি অবহিতকরণ এবং জনগোষ্ঠীকে সংযুক্ত (আরসিসিই) করণ বিষয়ক মেথড যথাযথভাবে প্রযোগ করতে হবে, যার মধ্যে জনগণের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ থাকবে।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

নিপুণ রায় আগাম জামিন পেলেন


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩, ০১:০৬
নিপুণ রায় আগাম জামিন পেলেন

ফাইল ছবি: আহত নিপুণ রায়

রাজধানীর কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন মাসের আগাম জামিন পেয়েছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।

সোমবার (২৯ মে) দুপুরে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।


বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০ টায় হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও হুইল চেয়ারে আদালতে আসেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।

গত ২৬ মে কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নিপুণ রায়সহ উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সূত্র: ইত্তেফাক

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - অন্যান্য