a
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়নি। আগামীতেও কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে না। এক্ষেত্রে ব্যাংকের আমানতের টাকা নিয়ে গ্রাহকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
রোববার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠক শেষে আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
তিনি গ্রাহকের উদ্দেশে বলেন, কোনো ব্যাংক আমানতের টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গ্রাহকদের যে কোনো অভিযোগ ১৬২৩৬ নাম্বারে কল করে জানালেই হবে। অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করবো।
তিনি বলেন, দেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান যেসব প্রকল্প রয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে বিশ্বব্যাংক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য ৫০ কোটি টাকা প্রণোদনা ঋণ বিতরণ করবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
সোমবার (৫ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে বিসিক। এতে বলা হয় যে, একজন উদ্যোক্তা জামানতবিহীন দশ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
বিসিকের অনুকূলে আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বিশেষ অনুদান বাবদ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঋণ ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণের জন্য বিসিকের প্রতিটি আঞ্চলিক ও জেলা কার্যালয়কে নির্দেশ প্রদান করেছেন বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান।
একজন উদ্যোক্তা জামানতবিহীনভাবে দশ লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ বিশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। উক্ত প্রণোদনা প্যাকেজের দশ শতাংশ ঋণ নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিসিক চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিসিকের অনুকূলে বরাদ্দকৃত একশ’ কোটি টাকার ঋণ তহবিলের মধ্যে বিশেষ অনুদান বাবদ ৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত অর্থ ৩০ জুনের মধ্যে বিতরণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিসিক প্রধান কার্যালয় থেকে রবিবার (৪ এপ্রিল) সারাদেশে আঞ্চলিক কার্যালয় ও বিসিক জেলা কার্যালয়ে এ ঋণ যথাসময়ে বিতরণের জন্য নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শতভাগ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এ ঋণের গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮টি মাসিক সমান কিস্তিতে সর্বোচ্চ দুই বছরে এ ঋণ শোধ করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
ফাইল ছবি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ
২০২৪ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির রাজনীতি সঙ্গে জড়িত ছিল বলে উল্লেখ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নিহত ৪২২ জনের নাম-গ্রামসহ সম্পূর্ণ তালিকা আমাদের কাছে আছে। এটি আমাদের ওয়েবসাইট প্রকাশ করা হবে।’
আজ রবিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী জুলাই গণহত্যায় ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে শহীদ হন ৮৭৫ জন। যার মধ্যে কমপক্ষে ৪২২ জন মানুষ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দেশজুড়ে শহীদ হওয়া সব শ্রেণি-পেশা-রাজনীতির মানুষগুলোর বিশাল অংশ যে বিএনপির নেতাকর্মী-এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং আমাদের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের অনিবার্য ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পোশাকশ্রমিক কিংবা রিকশাচালক, পাবলিক কিংবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। বাম কিংবা ডান আদর্শের অনুসারী, সব মত ও পথের রাজনৈতিক কিংবা অরাজনৈতিক ব্যক্তি-হতাহতের পরিচয় যাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রাণের মূল্য ও রক্তের মর্যাদা সমান। আর তাই, সমান গুরুত্বের সঙ্গেই প্রণয়ন করতে হবে প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের তালিকা ও নিশ্চিত করতে হবে সুবিচার।’ সূত্র: বিডি প্রতিদিন