a
 
সংগৃহীত ছবি
শিশুদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে মা বাবা। সবচেয়ে বড় শেখার জায়গাই হচ্ছে তার পরিবার। পরিবারে মা-বাবা যা করেন, সন্তানরাও তাই শেখে। বড়দের আচরণের ছাপ ছোটদের মধ্যে পড়ে। তবে এমন কিছু কাজ কিংবা আচরণ আছে, যা শিশুদের সামনে মোটেও করা যাবে না। আসুন জেনে নিই সে সম্পর্কে—
ফোন ও টিভির ব্যবহার কম করা:
শিশুরা যদি সবসময় মা-বাবাকে টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে, তা হলে সেও তাদের মতোই একইভাবে সময় কাটানো শিখবে। তাই শিশুদের সময় দিতে হবে বেশি এবং তাদের সামনে টিভি ও ফোনের পেছনে সময় যতটা সম্ভব কম ব্যয় করতে হবে।
কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার নয়:
মা-বাবা তাদের পরিবারের অন্য কোনো সদস্য, প্রতিবেশী বা বন্ধুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকলে, শিশুদের ওপর সেটির বাজে প্রভাব পড়বে। কারও সঙ্গে মতের অমিল হলে বা কাউকে অপছন্দ করলেও শিশুদের সামনে তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করা যাবে না। সেটি করলে শিশুরাও সেই ব্যক্তিকে কোনো সময় অপমান করতে পারে বা খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
খাবার নষ্ট নয়:
জীবনে খাবারের গুরুত্ব কতটা তা শিশুদের বোঝাতে হবে, তাদের কাছে খাওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে। তাই তাদের সামনে কখনও খাবার অপচয় করা যাবে না। তাদের এটা বোঝাতে হবে যে খাবার নষ্ট করা খুব খারাপ অভ্যাস।
ভদ্রতা বজায় রাখা:
শিশুরা আশপাশে থাকলে স্বামী-স্ত্রীর ভদ্রতা বজায় রাখতে হবে। তাদের সামনে এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। সবসময় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভালো আচরণ করতে হবে।
চিৎকার না করা:
রেগে গেলে বা খুব বিরক্তের সময় আমরা চিৎকার চেচামেচি করি। যেটির প্রভাব শিশুদের ওপর পড়ে। এমন পরিস্থিতি আসলে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আর যদি শিশুদের সামনে এমনটি করা হয়, তা হলে তাদের মনে হবে যে এমনটি করা ঠিক কাজ।
বাজে মন্তব্য না করা:
কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুদের সামনে বাজে মন্তব্য করা যাবে না। কারও গায়ের রঙ, রূপ, শরীর বা খারাপ গুণাবলি নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। এটি করলে তারাও এই অভ্যাস পেয়ে বসবে।
 
ফাইল ফটো:
বিয়ে একটি পারিবারিক বন্ধন। এ বন্ধনে আবদ্ধ হতে প্রাপ্তবয়স্ক একজন ছেলে ও মেয়ের লিখিত চুক্তির মাধ্যমে শুরু হয় একসঙ্গে পথ চলা। কিন্তু এই পথচলা সব সময় সহজ হয় না। সংসার যাত্রার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে বুঝে শুনে চলতে হয়। শুধু ভালোবাসায় সংসার টেকে না। ভালোবাসার পাশাপাশি আরো অনেক কিছু জানার আছে। ভালোবাসা টিকে থাকে বিশ্বাসের ওপর। এর জন্য বিয়ের আগে সঙ্গীকে কিছু বিষয়ে জানানো উচিত। যদি আপনার কোনো খারাপ অভ্যাস থাকে, সেটিও অসংকোচে জানিয়ে দিন হবু জীবন সঙ্গীকে।
আপনি আপনার জীবন সঙ্গীকে যেমন বিশ্বাস করবেন; আপনারে জীবন সঙ্গীও ঠিক তেমনই আপনাকে বিশ্বাস করবে। তাই যদি কোনো গোপনীয়তা থাকে; সে সম্পর্কে সঙ্গীকে জানিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
জেনে নিন কোন কোন বিষয় বিয়ের আগেই সঙ্গীকে জানানো উচিত:
অনেকেরই দীর্ঘমেয়াদী পুরোনো কিছু রোগ থাকে। এগুলোর বেশিরভাগই জিনগত। যা আপনাকে তো বটেই, আপনার পরিবারকেও সমস্যায় ফেলে। তাই দীর্ঘমেয়াদী রোগ থাকলে বিয়ের আগেই সঙ্গীকে জানিয়ে দিন। কোনো মানসিক অসুস্থতা থাকলে তা-ও জানাতে ভুলবেন না।
অনেকেরই বিভিন্ন নেশা থাকে। কারো বইপড়া, কারো গেম খেলায়। আবার কারো রান্না বা বেড়াতে যাওয়ার নেশা। অনেকের আবার খারাপ নেশাও থাকে। যেমন- ধূমপান, মদপান বা মাদকাসক্তি। এসব ক্ষেত্রে যার সঙ্গে বাকি জীবনটা কাটাবেন ঠিক করেছেন, তাকে আগে থাকতে জানিয়ে রাখুন।
অর্থ বা সম্পদ নিয়ে কখনো বাড়িয়ে বলবেন না সঙ্গীকে। এতে দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ে। আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে আপনার পার্টনারের স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন।
আপনি যদি অতীতে কোনো অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে থাকেন; সে বিষয়েও বিয়ের আগে সঙ্গীকে জানিয়ে দিন। আপনার সব বিষয় জেনেও যদি সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসতে পারেন, সেটাই বড় প্রাপ্তি।
 
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস বলেছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার ইসরায়েলি হুমকিতে তারা ভীত নয়। এসব হামলা প্রতিহত করতে তারা প্রস্তুত আছে।
গতকাল সোমবার হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবাইদেহ এসব কথা বলেছেন।
টেলিভিশনে প্রচারিত বিবৃতিতে আবু ওবাইদেহ বলেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ব্যাপক হামলার পর হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসাম ব্রিগেড ২০০ জন ইসরায়েলিকে বন্দী করে। এ ছাড়া গাজার অন্যান্য প্রতিরোধ দলের হাতে প্রায় ৫০ জন ইসরায়েলি বন্দী আছে।
আবু ওবাইদেহ বলেন, ‘আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে স্থল হামলা শুরু করার বিষয়ে দখলদারেরা (ইসরায়েল) যে হুমকি দিয়েছে, তাতে আমরা ভীত নই। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।’
গাজায় স্থল হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। এই হামলা চালানোর জন্য তারা ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে হামাসের কাছ থেকে এই বক্তব্য এল।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগেরি গতকাল বলেন, ইসরায়েলের ১৯৯ নাগরিককে হামাস জিম্মি করেছে বলে তারা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছেন।
হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র বলেছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে এলে তাঁরা বিদেশি বন্দীদের মুক্তি দেবেন।
আবু ওবাইদেহ জানান, গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ২২ জন ইসরায়েলি বন্দী নিহত হয়েছেন।
হামাসের কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ হাজার ৭৫০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হাজার হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। একই সঙ্গে সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালান হামাসের যোদ্ধারা। এ সময় তাঁরা বিদেশি নাগরিকসহ অনেক ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান।
জবাবে ৭ অক্টোবর থেকেই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে তারা গাজায় টানা বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। অবরুদ্ধ গাজায় দেখা দিয়েছে চরম মানবিক সংকট। সূত্র: প্রথম আলো