a
ফাইল ছবি
ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলীয় আনবার প্রদেশের মার্কিন নিয়ন্ত্রিত সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘাঁটির নাম আইন আল-আসাদ। খবর আরব নিউজের
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুটি কমব্যাট ড্রোন আইন আল-আসাদ সামরিক ঘাঁটির ভেতরে হামলা চালায়।
ঘাঁটিতে সি-আরএএম এবং পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন থাকলেও তা ড্রোন দুটিকে শনাক্ত কিংবা প্রতিহত করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের মিডিয়া সেল থেকে বলা হয়েছে, ড্রোন দুটিকে ভূপাতিত করা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন এই ড্রোন হামলার দায় এখনো স্বীকার করেনি।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ইরাকে মার্কিন দখলদার সেনাদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়েই চলেছে। সূত্র: আরব নিউজ/পার্সটুডে
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, কৃষ্ণসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ কেনো এসেছে, সেই প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারছে না। তুরস্কসহ যেসব দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, তাদেরকে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এদিকে, কৃষ্ণসাগরের পথে বসফরাস প্রণালী অতিক্রম করেছে দুটি রুশ যুদ্ধজাহাজ। এছাড়া সাগরে স্থানান্তরিত হয়েছে ১৫টি ছোট নৌযানও। পশ্চিমা দেশগুলো ও ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্কে উত্তেজনা অবস্থায় মস্কো তার নৌ শক্তি বাড়িয়েছে কৃষ্ণসাগরে।
কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার বিপুল সেনা জমায়েতের পাশাপাশি নৌশক্তিও প্রদর্শন করা হচ্ছে ইউক্রেনের সীমান্তে। শীতলযুদ্ধের পরে বর্তমানে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে চরম অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার কড়া প্রতিবাদের মুখে কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধে তুরস্কসহ বেশ কয়েকটি দেশকে আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।
অপতৎপরতার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১০ রুশ কূটনীতিকে বহিষ্কারের পাল্টা জবাবে ১০ মার্কিন কূটনীতিকেও বহিষ্কার করেছে মস্কো। এদিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সংলাপের মাধ্যমে ইউক্রেন-রাশিয়ার সীমান্তের উত্তেজনা মিটিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছেন। কৃষ্ণসাগর অঞ্চলকে শান্তির অববাহিকায় রূপ দেওয়ায় তুরস্কের উদ্দেশ্য বলে এরদোগান মন্তব্য করেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলিমার জিলনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে পূর্ব ইউক্রেনের উত্তেজনা কমিয়ে আনা সম্ভব। ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে এই সমাধান বের করতে হবে।
তুরস্ক এও বলেন, রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে ক্রিমিয়াকে একীভূত করার স্বীকৃতি দেবে না। এরদোগান বলেন, ক্রিমিয়ার ভূমিতে ইউক্রেনের যে কোন উদ্যোগ তুরস্কের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
ফাইল ছবি
মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা এখন দেশটির অনেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করছে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের উত্তরাঞ্চলের এক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত আরাকান আর্মি। রাখাইনের সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মিনবিয়ায় মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর শেষ দুটি ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি মঙ্গলবার দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি।
আরাকান আর্মি জানিয়েছে, প্রায় এক মাস অবিরাম আক্রমণ চালানোর পর তারা মঙ্গলবার মিনবিয়া শহরের বাইরে জান্তা সরকারের পদাতিক বাহিনীর দুই ব্যাটালিয়নের (লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৭৯ ও লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৫৪১) সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এ সময় মিয়ানমার বাহিনীর কয়েক ডজন সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা আরাকান আর্মির যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি মিনবিয়া শহরের একই এলাকায় পদাতিক বাহিনীর আরেকটি ব্যাটালিয়নের (লাইট ইনফ্যানট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৮০) সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল আরাকান আর্মি। জান্তা সরকার ওই এলাকায় বিমান ও গানবোট মোতায়েন করলেও বিদ্রোহীদের রুখতে পারেনি।
মিয়ানমার সরকার জানুয়ারিতে মিনবিয়ায় বড় আকারে সেনাবাহিনীর শক্তি বাড়ায়। বার্জে করে সেনা সদস্যদের সেখানে পাঠানো হয়। কিন্তু আরাকান আর্মির অতর্কিত হামলায় তারা পরাস্ত হয়েছে। জানুয়ারির শেষ দিকে জান্তা ওই এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে প্যারাস্যুটের মাধ্যমে গোলাবারুদ ও খাবার পাঠায়। সেগুলোও দখলে নিয়েছিলেন আরাকান আর্মির যোদ্ধারা।
মিনবিয়ায় ঘাঁটিগুলো রক্ষায় ব্যর্থ হয়ে জান্তা বাহিনী স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথ থেকে মিনবিয়া শহর ও আশপাশের গ্রামগুলোয় ব্যাপকভাবে বোমাবর্ষণ করে। গতকাল রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে মিনবিয়া শহর এখন সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বেরিয়ে মুক্তাঞ্চল হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো