a
সেবাব্রতী মুক্ত স্কাউট গ্রুপ বাংলাদেশের একটি অন্যতম মুক্ত স্কাউট গ্রুপ, যা বিগত ৪৬ বছর ধরে এ দেশের স্কাউট আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ন আবদান রেখে আসছে। গত ৬ বছর ধরে সেবাব্রতী অভিনব পদ্ধতিতে ও শরীয়াহ মোতাবেক পবিত্র রমজান মাসে দুঃস্থ ও গরীবদের মাঝে যাকাত ও ফিতরার অর্থ ও খাবার বিতরণ করে আসছে। এ বছরও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
এই বছর পবিত্র রমজানের শুরু থেকে সেবাব্রতী যাকাত ফিতরা ও সাদকা সংগ্রহ শুরু হয়। গতকাল ১২মে বুধবার সকালে মোহাম্মদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ফিতরা-সাদকার অর্থ দিয়ে ৪০ টি ছয় সদস্য বিশিষ্ট পরিবারকে চাল, সেমাই, দুধ, কিসমিস, আলু, পেয়াঁজ, রসুন,হলুদ,মরিচ,চিনি,লবন, মুরগি, মশলাসহ সর্বমোট ২১ ধরনের উপকরন সম্বলিত টুকরিতে ঈদের খাবার বিতরন করে তাদের ঈদ উদযাপনে অংশ নিয়েছে।
সেবাব্রতীর এই ঈদের খাবার বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন সেবাব্রতী মুক্ত স্কাউট গ্রুপের কাউন্সিলর ও প্রাক্তন সভাপতি এবং স্কাউট অব দ্যা ওয়ার্ল্ড এওয়ার্ডের কান্ট্রি কো অর্ডিনেটর, বাংলাদেশ স্কাউটস, ঢাকা মেট্রোপলিটনের জেলা কাব লিডার জনাব আলী আহাদ দিপু। এছাড়াও দলের রোভারদের সাথে পুরো প্রস্তুতিতে সরাসরি যুক্ত ছিলেন সেবাব্রতী মুক্ত স্কাউট গ্রুপের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় উপ কমিশনার(প্রোগ্রাম) জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সেবাব্রতীর এই মহতী উদ্যোগে দেশের বাইরে অবস্থানরত সেবাব্রতীর সদস্যরাসহ যাঁরা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এছাড়াও বর্তমানে সেবাব্রতীর যাকাত সংগ্রহ বিতরন, করোনা পরিস্থিতিতে অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর অনন্য উদ্যোগ "সেবার আলোয় সেবাব্রতী, সুবিধাবঞ্চিতদের অক্সিজেন সরবরাহ সহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সেবার আলো হাতে নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সেবাব্রতী এই ধরনের আরো অনন্য উদ্যোগ বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শায়েস্তাগন্জ,পচ্শিম বিরামচর জগন্নাথপুরে জমির মালিক ছিলেন আব্দুল গফুর মিয়া। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে ১২ শতাংশ জমি মসজিদের জন্য দান করে যান। নিকটে কোন মসজিদ না থাকায় তার বড় ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া রমজান মাসে এলাকার মানুষের নামাজের ব্যবস্থা করতে দ্রুত সময়ে মসজিদটি নির্মাণ কাজে সহযোগিতা করেন।
শায়েস্তাগঞ্জ পশ্চিম বিরামচর জগন্নাথপুর উক্ত মসজিদটি মাত্র চারদিনে নির্মাণ করা হয়। এলাকাবাসী জানায়, অনেক দূরে আল ফালাহ নামে একটা মসজিদ আছে, সেখানে বয়স্ক মুসুল্লীসহ সব ধরণের নামাজী ব্যক্তিদের নামাজ পড়া অসুবিধা হচ্ছিল। এলাকার মানুষের এধরণের সমস্যা সমাধানে পবিত্র রমজান মাসে মরহুম আব্দুল গফুর মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া ও এলাকার যুবকদের কায়িক পরিশ্রমে মাত্র ৪ দিনে ২২ মার্চে মসজিদের কাজ সম্পন্ন করে উক্ত মসজিদে তারাবি নামাজেরও ব্যবস্থা করা হয়।
অত্র এলাকার প্রবাসীরা মসজিদটি নির্মাণে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন বলে এলাকাবাসী জানান। অত্র মসজিদ নির্মাণে অনেকে টাকা-পয়সা, আবার অনেকে দিন-রাত শ্রম দিয়ে দ্রুততম সময়ে আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণে সহযোগিতা করেন।
এদিকে বিরামচর এলাকার সন্তান শায়েস্তাগন্জ পৌরযুবলীগের সভাপ্রতি মসজিদ নির্মাণ কাজের জন্য স্থানীয় এমপির বরাবর দরখাস্ত করেছেন, যাতে সরকার তথা ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে কিছু সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়।
এলাকাবাসী আশা করছেন, রমজানের পর পর সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় মসজিদটির বিল্ডিং-এর কাজ শুরু করা হবে ইনশাল্লাহ্।
মসজিদটির জমি বরাদ্দের পর অস্থায়ীভাবে অর্থাৎ আপাতত বাঁশ, টিন দিয়েই মসজিদটি সম্পন্ন করা হয়, যাতে রমজান মাসের ওয়াক্তের নামাজ ও তারাবি নামাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। আর এব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মুজিবুর রহমান, মো. হাবিবুর, মো. জিয়াউর, আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ সৈয়দ মিয়া, মির হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুছ আলী, শহিদ মিয়া জুবায়েল, ফজুলুল হকসহ অনেকে।
ফাইল ফটো: ড. মোশাররফ
পাঁচটি রাষ্ট্রের সরকার প্রধানদের ঢাকা সফরকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের দলের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন ড. মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, গত বছর মার্চ মাসে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ ও মৃত্যুর হার যে পরিমাণ ছিল এখন তার চাইতে বেশি। তারপরও যে দুঃসাহস করে বিদেশী মেহমানরা ঢাকা আসছেন তাতে আমরা স্বাগত জানাই। তবে বিদেশী মেহমানদের আগমন উপলক্ষে আমাদের সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১০ দিনের জন্য এটা কাম্য নয়।
ড. মোশাররফ বলেন, বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা অতীতেও এদেশে এসেছেন। সার্ক সম্মেলন হয়েছে ৭টি দেশের সরকার প্রধানগণ এসেছিলেন। তখন সেসব কর্মসূচি পালন করতে অন্যসব বন্ধ করে দেয়া হয়নি। এই খবর যদি অন্যান্য রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা জানেন তাহলে তারাও লজ্জা পাবেন। সেজন্য আমরা সরকারকে বলব, ১০ দিনের জন্য যেভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি পালন বন্ধ করে দিয়েছেন সেটা প্রত্যাহার করুন এবং সব কিছু স্বাভাবিকভাবে চলতে দিন। স্বাভাবিক অবস্থায় বিদেশি মেহমানরা এদেশে আসুক, আমরা তাদের স্বাগত জানাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোশাররফ বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের তিস্তা পানির সমস্যা অনেক পুরনো এবং এসব বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। এর আগে যখন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হয় তখন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই, তবে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার এটাতে রাজি হচ্ছে না। আর এখন আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ১০ বছর আগে নাকি তিস্তাচুক্তির পাতায় পাতায় সই হয়ে রয়েছে। তাহলে এর মধ্যে কি রহস্য রয়েছে?