a
সংগৃহীত ছবি
আমি চাই কেউ আমাকে ডাকুক
অচিন পাখির মতো শুভ্র সকালে
নিরলোভ আকুতি নিয়ে
চোখ রাখুক।
কেউ আমাকে ডাকুক অনাহুত
পাখির মতো অবিরাম!
বৃষ্টির শব্দ যেমন আনন্দ আলোক,
চাই কেউ আমাকে ডাকুক
মরমি মানুষের মতো মগ্ন দুপুর,
ছায়াঘেরা সবুজ
মায়াময় কেউ ডাকুক।
অনন্ত বসে আছি তাঁর জন্য
রাতের অন্ধকারে কুঁজো হয়ে।
দিনের খোঁজে নিঘুমরাত পার করে
কতবার খুজেছি তাঁকে!
আমি চাই পাখিটি ডাকুক
কোন এক পশর সকালে,
দরজার উঠোনে অচিন পাখি...
....... চৌধুরী নূরুল হুদা
ছবি:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এই উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায়। রাত ১টা ৩০ মিনিটে সংঘটনের সভাপতি মো: আল কাওছার এবং সাধারণ সম্পাদক মো: সাইফুল আলমের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছা নিবেদন করেন।
একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এরপর স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তার কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ বেকার সম্প্রদায় সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সকলে মিলে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন। পরবর্তীতে উপস্থিত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
বেকারের অধিকার আমাদের অঙ্গীকার এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশের লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থান এবং বেকারদের জন্য ৪ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষে সক্রিয় আন্দোলন এবং গণসংযোগ করে যাচ্ছেন এই সংগঠনটি। জাতির সূর্যতরুণদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সবাই। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জসীম নায়েক, সহ- সভাপতি - জোবাইদুল হক সবুজ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক - আ আ ম আশিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক - বঙ্কিম চন্দ্র সরকার, প্রচার সম্পাদক - মো: রোমান গাজী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অনদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যেকোনো জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।
১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শংকিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। সেই থেকে দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।
ফাইল ছবি
সিলেটের ওসমানীনগরে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ নিহতের স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত রবিবার (৯ মে) দুপুরে স্থানীয় থানায় কনে পক্ষ হত্যা মামলা দায়ের করলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের বড় ভাই ইসলাম উদ্দিন শনিবার (৮ মে) রাতে নিহতের স্বামী এবং শ্বাশুড়িকে আসামি করে ওসমানীনগর থানায় মামালা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর বাড়ি থেকে নিহত শরিফা বেগমের (২০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের দাগ বিদ্যমান ছিল। নিহত শরিফা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে দাবি তার পরিবারের।
তবে স্বামী ও শাশুড়ির অভিযোগ ছিল, শরিফা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু শনিবার দুপুরে তার স্বামীর নিজ ঘরের বিছানা থেকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওসমানীগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেন। আসামীদের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে নিহত শরিফার পারিবার থেকে জানতে পারা যায়, প্রায় ৯ মাস আগে ওসমানীনগর উপজেলার উসমানপুর ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের মৃত ইছন আলীর ছেলে আরশ আলীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পুটিয়া গ্রামের শাকিম উল্লাহর ছোট মেয়ে শরিফার। বিয়ের অল্পকিছুদিন পর থেকেই যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী আরশ আলী ও শাশুড়ি মিনারা বেগম তার ওপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি নিহতের পরিবার জানা সত্ত্বেও শরিফা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় কারণে তার বাবা মা তাকে এসব সহ্য করে শ্বশুরবাড়িতেই থাকার কথা বলে।
পরিবারের অভিযোগ, এই রমজানে আরশ আলী শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। এ সময় ইফতার দিতে কিছুটা দেরি করার নানা কথা শোনান স্বামী। এছাড়া তাকে কেন আলাদাভাবে সাজানো থালায় ইফতার দিল না এ নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে তুমুল ঝগড়া হয়।
গত শুক্রবার (৭ মে) সন্ধ্যায় শরিফার বাবা তার স্বামীসহ অন্যান্য সদস্যদের জন্য ঈদের উপহার এখনো কেন নিয়া আসে নাই তা নিয়ে আবার ঝগড়া শুরু হয়। ঘটনার একপর্যায়ে শরিফাকে তার স্বামী ও শাশুড়ি মারধর করে। বিষয়টি সাথে সাথেই তার ভাইকে ফোন করে জানান শরিফা। পর সাহরির সময়ে শরিফার মোবাইল বন্ধ পান তার পরিবার। পরে যখন নতুন জামা কাপড় নিয়ে শরিফার বোন রওয়ানা হন পথিমধ্যে খবর পান শরিফা ভীষণ অসুস্থ তার এসে দেখেন তার বোন চিরতরে ঘুমিয়ে গেছে।