a
ফাইল ছবি
সৌদি আরবে মঙ্গলবার রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। কাজেই বিশ্বজুড়ে কয়েক কোটি মুসলমানের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে রোযা শুরু হতে যাচ্ছে। সৌদি আরবের চাঁদ দেখা কমিটি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশটির কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখতে পায়নি বলে জানিয়েছে। খবর আল আরাবিয়ার।
মুসলিম বিশ্ব সাধারণত চন্দ্র পঞ্জিকা অনুসরণ করেন এবং ঐতিহ্যবাহী চাঁদ দেখা পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এতে কিছু কিছু দেশ একদিন বা দুদিন পর রোজা রাখা শুরু করেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, মিসর, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং সিঙ্গাপুরে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হবে।
সাধারণত সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর একদিন পর বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ফলে বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ পালন হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর পরদিন থেকে। সূত্র: যুগান্তর
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
আরাফাত, বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা: আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত দোয়া ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত ১৬ বছর মানুষ ভোটের অধিকার পায়নি, সেই অধিকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফিরিয়ে দেবে এটাই এদেশের মানুষের প্রত্যাশা। যারা স্বৈরাচারী ছিল তারা পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা এখনো বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে এবং নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেও যাচ্ছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেই জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিল স্মরণ করিয়ে দিয়ে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে বুঝি। আপনারা অতি দ্রুত নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করুন। তাহলে জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ যে আন্দোলন করছিল, সেটির চূড়ান্ত ফসল হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট। ওই আন্দোলনের প্রেক্ষিতে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে ও তার সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। এটা গত ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সব সমস্যার সমাধান হবে নির্বাচনের মাধ্যমে। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা যে সুফল পেয়েছি, সেটিকে ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে জয়নুল আবদিন বলেন, আপনাকে তো ১৮ তলা পর্যন্ত হাঁটিয়ে উঠিয়েছে শেখ হাসিনা। আপনিও তো বলেছেন হাসিনা ফ্যাসিস্ট। কিন্তু, ফ্যাসিস্টকে রুখতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন ঐক্য। আপনি বলেছেন, আপনি যখন সব দলকে একসঙ্গে দেখেন তখন আপনার নাকি সাহস বেড়ে যায়। আর যখন একা হয়ে যান, তখন নাকি নিরাশ হয়ে যান। নিরাশ হওয়ার কিছু নেই।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, দল হবে, কিংস পার্টি হবে, আরও নতুন দল হবে, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আপনি (ড. ইউনূস) বিশ্ব দরবারে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। আপনি কারো কথায় কান না দিয়ে স্পষ্টভাবে একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের বড় ছেলে ও ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আকবর হোসেন বাবলু। এ সময় খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের অন্যান্য সন্তান ও পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
ফাইল ছবি
গাজীপুর সিটি নির্বাচনে একের পর এক আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় মন্ত্রী ও প্রার্থীর একাধিকার আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপরও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেই যাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এসব ঘটনায় বিব্রত কমিশন ফের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লাকে নির্বাচন কমিশনে তলব করেছে।
আজ রবিবার বেলা ৩টায় সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করতে হবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী দুই দফা আচরণবিধি তিনি ভঙ্গ করেছেন বলে গণমাধ্যমের ফুটেজ দেখে আমাদের প্রতীয়মান হয়েছে। সেজন্য তাকে আমরা নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছি। এক্ষেত্রে তিনি যদি সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। আর যদি না দিতে পারেন, তবে কিছু না কিছু শাস্তি তো হবেই। কী শাস্তি হবে তা নির্ভর করবে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায়। তিরস্কার যেমন শাস্তি তেমনি জেল-জরিমানা এবং প্রার্থিতা বাতিলের বিধানও আছে আইনে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন পাঁচ সিটির ভোট সুষ্ঠু করতে বেশ তৎপর নির্বাচন কমিশন। জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত এই ভোটে বিএনপি অংশ না নিলেও ভোটকে সুষ্ঠু করার জন্য কোনো কমতি নেই কমিশনের।
ইতিমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় পার্টি-জাপার মহাসচিব বরাবর আচরণবিধি প্রতিপালনে সহযোগিতা চাওয়া হয়। কিন্তু পাঁচ সিটির আগে অনুষ্ঠিত গাজীপুরে বিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে বিধি ভঙ্গের কারণে গত ৩০ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিল ইসি। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ইসিতে তলব করা হয়। এরপরও আরেকদফা বিধিভঙ্গ করেন সংশ্লিষ্ট তিন জনই।
গত বৃহস্পতিবার ছুটি রিসোর্টে গাজীপুর বাড়ীয়া ইউনিয়নের যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ঐ সভায় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমতউল্লা অংশ নেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্টরা প্রকাশ্যে ভোট প্রার্থনা করেন। ঐ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে জরুরি বৈঠকে আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য আজমত উল্লা খানকে ফের তলবের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ইসি।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল সভা করে নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেছেন; যেখানে প্রার্থী নিজে উপস্থিত ছিলেন। এটি সিটি করপোরেশন (নির্বাচন আচরণ) ২০১৬ বিধি-৫-এর পরিপন্থি বলে জানিয়েছে ইসি। এজন্য বিধির ৩২ ধারা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান। একান্ত সচিবের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে পুনরায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। সূত্র: ই্ত্তেফাক