a
ফাইল ছবি
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, ২০২২ সালে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে এবং হজের অনুমতি পাওয়া গেলে যারা প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করেছেন তারা পর্যায়ক্রমে সুযোগ পাবেন। তিনি বলেন, গত ২ বছর যাবত সৌদি আরবে সীমিত পরিসরে স্থানীয়রাই হজ করে আসছেন।
প্রতিমন্ত্রী বুধবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ থেকে হজে গমনেচ্ছুক নিবন্ধিত ব্যক্তিগণের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন প্রাক- নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমা রাখা টাকা তুলতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে তুলতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে ৩৪৫৭ জন নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন তাদের নিবন্ধন বাতিল করে টাকা নিয়ে গেছেন। বর্তমানে ২৭০০ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।
একই বছরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ১৪২ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। এর মধ্যে ৭৭১৯ জন নিবন্ধন বাতিল করে টাকা তুলে নিয়েছেন। বর্তমানে ৫৩,৪২৩ জন নিবন্ধিত রয়েছেন।
ভোলার বোরহানউদ্দিনে তাবলিগ জামাতের ১৪ সদস্যকে খাবারের সঙ্গে নেশাদ্রব্য খাইয়ে সবকিছু লুট করে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার কুতুবা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের চৌকিদার বাড়ি জামে মসজিদে শনিবার রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা অচেতন তাবলিগ জামাতের সদস্যদের উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তাদের সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় জানা গেলেও তাদের পুরো নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মো. মাজাহারুল আমিন এ বিষয়ে গনমাধ্যমকে জানান, ঘটনাটি শুনে আমরা গোপনে অভিযুক্তদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
ছবি সংগৃহীত
নিউজ ডেস্কঃ আজ ঐতিহাসিক এইদিনে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেন দেশের প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনীতিদলের প্রধানগণ। এই স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
সনদটির উদ্দেশ্য—দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। তারা একমত হন যে, জাতীয় স্বার্থই সবার ঊর্ধ্বে। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই সনদ হবে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার মাইলফলক। রাজনীতিবিদেরা প্রতিশ্রুতি দেন, দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের উন্নয়নে কাজ করবেন তারা।
সনদের ধারাগুলোতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নাগরিক অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি জাতিকে বিভেদের বদলে ঐক্যের পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। নেতৃবৃন্দ বিশ্বাস করেন, এই সনদ দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। সামাজিক ন্যায়বিচার, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত জনগণ আশাবাদী মনোভাব প্রকাশ করেন। তারা মনে করেন, এই উদ্যোগ জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গণমাধ্যমে ইতোমধ্যে এ স্বাক্ষরকে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলা হচ্ছে। তরুণ সমাজও এ উদ্যোগে নতুন আশার আলো দেখছে। জুলাই সনদ তাই আজ দেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে উঠেছে। এটি জাতীয় ঐক্য ও গণতন্ত্রের এক উজ্জ্বল প্রতীক।