a রাজনীতিতে যুদ্ধ
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

রাজনীতিতে যুদ্ধ


কর্ণেল আকরাম, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৫৬
রাজনীতিতে যুদ্ধ

প্রতিকী ছবি: সংগৃহীত

 

নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক যুদ্ধের গুরুত্ব আমাদের সামনে এসে দাঁড়ায় যখন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের প্রধান স্থপতি ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এর প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ্যে উল্লেখ করেন। তিনি সরাসরি পুরনো প্রথাগত রাজনীতির বিপরীতে নতুন ধাঁচের রাজনীতি স্থাপনের প্রয়াসে একটি রাজনৈতিক যুদ্ধের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেন, যা আগামীতে একটি নতুন বাংলাদেশের পথ তৈরি করতে পারে।  

তবে তিনি এই নতুন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কিছুই স্পষ্ট করেননি। পুরো জাতি এখন ভবিষ্যৎ রাজনীতির দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে এবং এই সম্ভাব্য রাজনৈতিক যুদ্ধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে একেবারে অন্ধকারে রয়েছে।  

গত পাঁচ দশকে গড়ে ওঠা রাজনৈতিক কাঠামো রাতারাতি কোনো যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে বদলে দেওয়া সম্ভব নয়, বিশেষত যখন জাতি এমন একটি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত নয়। এই ধরনের ঘোষণাগুলি সাধারণ মানুষের কাছে একটি উচ্চাভিলাষী ধারণা মনে হতে পারে এবং সমাজে পরিবর্তনের উদ্দেশ্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে।  

বিপ্লবের ইতিহাস আমাদের বলে, পুরনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নতুন ব্যবস্থার উত্থান ধাপে ধাপে ঘটে। প্রতিটি বিপ্লব, যা অতীতে ঘটেছে, সামাজিক কাঠামোয় একটি মৌলিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। সাম্প্রতিক ইরানের ইসলামী বিপ্লব একটি উজ্জ্বল উদাহরণ, যেখানে ১৯৭৯ সালে ইসলামী রাজনীতির মাধ্যমে স্বৈরাচারী শাসনকে উৎখাত করা হয়েছিল। সেই বিপ্লবের পর থেকে নতুন ব্যবস্থাটি পুরনো ব্যবস্থার মানুষদের বিরুদ্ধে এবং বিদেশি আগ্রাসীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।  

বাংলাদেশের মানুষ এখনো খুব স্পষ্ট নয় যে কী ধরণের নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাওয়া হচ্ছে, যা পুরনো ব্যবস্থাকে প্রতিস্থাপন করবে। জাতিকে এই পরিবর্তনের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা প্রয়োজন; অন্যথায়, এটি উল্টো ফল বয়ে আনতে পারে এবং শত্রুরা এই সুযোগে উভয় পক্ষের মধ্যে ফাটল ধরিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পারে।  

রাজনীতিতে মাইনাস ফর্মুলা ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে না। বরং, রাজনৈতিক যুদ্ধ দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং সমাজ তার শিকার হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জাতি মারাত্মক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়বে, যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।  

তরুণ প্রজন্মের উচিত দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনা করা, বিশেষ করে যখন তারা রাজনীতিতে একটি মৌলিক পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চায়। অভিজ্ঞতা এবং পরিপক্কতা নতুন বাংলাদেশ গড়তে অপরিহার্য। শুধুমাত্র তরুণরা সমাজ পরিবর্তনে সক্ষম নয়; তাদের উচিত অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের গুরুত্ব উপলব্ধি করা।  

আবেগ দিয়ে কোনো জাতি দীর্ঘমেয়াদে চলতে পারে না। বরং এটি জাতির জন্য গভীর সংকট তৈরি করতে পারে। আমরা ভুলে যেতে পারি না যে, প্রাকৃতিক ও মানবসম্পদ উভয় দিক থেকে আমরা দরিদ্র একটি জাতি। হঠাৎ কোনো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত জাতিকে বিপদের মুখে ফেলতে পারে, এমনকি যদি তা সমাজের জন্য ভালোও হয়। যে কোনো ভুল পদক্ষেপ জাতির জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।  

তরুণ প্রজন্ম নিঃসন্দেহে দেশপ্রেমিক এবং প্রতিশ্রুতিশীল, কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে, যা দক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অন্যথায়, দীর্ঘমেয়াদে জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।  

আমরা কি সঠিক পথে এগোচ্ছি, নাকি ভ্রান্ত পথে, তা জাতির জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয়। আমাদের জন্য বিকল্প নেই, কিন্তু পরিবর্তনের প্রয়োজনীয় কাঠামোগত পরিবর্তন সংলাপের মাধ্যমে হওয়া উচিত, যুদ্ধের মাধ্যমে নয়।  

বর্তমানে যদি নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার নামে কোনো শত্রুতাপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা হয়, তাহলে তা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত শান্তি ও ঐক্য ধ্বংস করে দেবে।

 

প্রফেসর ড. এস কে আকরাম আলী
কলামিস্ট ও লেখক, মুক্তসংবাদ প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না, এটা আমি মানতে পারিনা: কাদের সিদ্দিকী


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:৩১
জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না, এটা আমি মানতে পারিনা: কাদের সিদ্দিকী

ফাইল ছবি: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা না, এটা আমি মানতে পারিনা। উনাকে অনেকেই বলে বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে। খুনের সঙ্গে জড়িত আছে অথবা তিনি জানতেন। এগুলো মুখে না বলার চাইতে মামলা দিয়ে সাক্ষী-প্রমাণ দিয়ে উনাকে মরণোত্তর ফাঁসি দেন; আমার কোনো আপত্তি নাই; কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধাই না, পাকিস্তানের এজেন্ট- এ কথা বলে মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করা ঠিক না।

গত মঙ্গলবার বিকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার সালগ্রামপুর বাজারে (সিলিমপুর) দাড়িয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তৃতীয় বার্ষিকী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী আরো বলেন, জীবনের শ্রেষ্ঠ ভুল কামাল হোসেনকে বড় নেতা হিসেবে মেনে তার পাশে গিয়েছিলাম। তিনি বিএনপির সঙ্গে জোট করেছিলেন; কিন্তু তিনি আসলে নেতা না। যে ভোটার নির্বিঘ্নে এসে ভোট দিতে পারবে, ঈদের দিনের মতো উৎসবমুখরভাবে ভোট দিবে, সেই ভোটে যদি আপনি জিতেন আপনি নেতা হবেন। ভোট চুরি করা যাবে না। সবার পরে যখন বিএনপির জোটে গেছিলাম তেমনি এক মাসের মধ্যে জোট ছেড়ে দিছিলাম। জোট ছাড়ছিলাম এজন্য যে ভোটটা হয় নাই। মেয়ে এই আসনে (টাঙ্গাইল-৮) দাঁড়িয়েছিল। মানুষ ঘণ্টা দুই ভোট দিয়েছেন। গণফোরামের একজনের মতো যদি আমার মেয়েটা সংসদে যেত তাহলে কি আমার মানসম্মানটা থাকত? সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে লা লিগার শিরোপা জিতলো এটলেটিকো মাদ্রিদ


ক্রীড়া ডেস্ক :
রবিবার, ২৩ মে, ২০২১, ১১:৩২
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে লা লিগার শিরোপা জিতলো এটলেটিকো মাদ্রিদ

ফাইল ছবি

২০২০-২১ সিজনে শত রোমাঞ্চের ইতিটেনে শেষ ম্যাচে এসে শিরোপা নিশ্চিত করলো স্প্যানিশ দল এটলেটিকো মাদ্রিদ। পুরো মৌসুমের মতো শেষ দিনেও রোমাঞ্চের সবটুকু নিয়ে হাজির হয়েছিল এবারের লা লিগা। আগে এক ম্যাচ হেরে যাওয়ায় শিরোপা দৌড় থেকে আগেই বাদ পরে যায় বার্সোলোনা । তাই শেষ ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা অনেকটা অনিশ্চয়তায় ছিল রিয়ালকে ট্রফি জিততে হলে হারতে হতো এটলেটিকো মাদ্রিদকে। রিয়াল জিতেছে ঠিক কিন্তু হারেনি এটিএম তাই এবারের শিরোপা উৎসব এটিএম প্রেমিদের।

মৌসুমের শেষ ম্যচ মাঠে নেমে ছিল শিরোপার দাবিদার দুই ক্লাবই এবংকি আলাদা ম্যাচে শুরুতে গোলও খেয়ে বসেছিল দুই দল। শেষ অবধি নিজেদের ম্যাচ জিতে লা লিগার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।

এটি তাদের ১১তম লিগ শিরোপা জয়। সর্বশেষ ৭ বছর আগে ২০১৩-১৪ মৌসুমে লিগ জিতেছিল ডিয়েগো সিমিওনের শীর্ষ্যরা। লা লিগা বেশিবার জয়ের তালিকায় তৃতীয় নাম এখন এতলেটিকো মাদ্রিদ । রিয়াল লা লিগার শিরোপা ঘরে তুলেছে ৩৪ বার আর বার্সা জিতেছে ২৬ বার।

শনিবার রাতে ফুরফুরে মেজাজে মাঠে নামে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, তাদের জন্য সমীকরণটা বেশ সহজই ছিল। রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জিতলেই শিরোপা তাদের। কিন্তু শুরুতেই তারা গোল খেয়ে বসে! মৌসুমজুড়ে রোমাঞ্চ ছড়ানো থাকা লা লিগা জয়ের ভাগ্য আবারও পড়ে যায় অনিশ্চয়তায়।

কিন্তু ম্যাচের ৫৭ মিনিটে অ্যাঞ্জেল কোরেরা ও দশ মিনিট বাদে এই মৌসুমে সিমিওনের মূল অস্ত্র বার্সোলোনার সাবেক তারকা লুইস সুয়ারেজের গোলে এগিয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ২-১গোলে জয় নিয়ে শিরোপা উৎসব করেন তারা। এই ম্যাচে হারলেই শিরোপা  হারানোর ভয় ছিল অ্যাটলেটিকোর। কারণ নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল পিছিয়ে ছিল মাত্র দুই পয়েন্ট। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল জিনেদিন জিদান শিষ্যরা।

মৌসুমের শুরুর দিকে ধারণা করা হচ্ছিল খুব সহজে  লিগ জিতবে অ্যাটলেটিকো। একের পর এক হোঁচট খাচ্ছিল রিয়াল ও বার্সা, অন্যদিকে দারুণ ধারাবাহিকতা ছিল তারা। কিন্তু কিছু ম্যাচে পয়েন্ট হারায় অ্যাটলেটিকো, অন্যদিকে ঘুরে দাঁড়ায় রোনাল্ড কোম্যান ও জিনেদিন জিদান শিষ্যরা।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / khurshedalm@msprotidin.com
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - রাজনীতি