a
সংগৃহীত ছবি
আগামী বুধবার থেকে গণনা শুরু হবে নতুন হিজরী বর্ষ ১৪৪৩ হিজরী। সোমবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার ৩০ দিন পূর্ণ করে জিলহজ মাস গণনা শেষ হবে।
আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন হিজরী বর্ষের গণনা। সে হিসাবে আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার মোতাবেক ১০ মহররম বাংলাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, সোমবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।
পবিত্র মহররম মাসের এই দিনে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতাকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর হুকুমে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ মাতৃভূমি মক্কানগরী থেকে মদীনায় হিজরত করেন। আল্লাহর প্রিয় নবী ও রাসূল হিজরতের এই দিনটির স্মরণে মুসলিম উম্মাহ হিজরি সন পালন করে থাকেন। এছাড়া ইসলাম ধর্মের সব বিধি বিধানও হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী পালিত হয়।
হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী ১০ মহররম পবিত্র আশুরাও পালিত হয়। ইসলাম ধর্ম অনুসারী মুসলমানসহ বিশ্বেও বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায় তথা আসমানী কিতাবের অনুসারীদের কাছে আশুরা একটি অতি পবিত্র গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় দিন।
ইসলামের ইতিহাসের বহু উল্লেখযোগ্য নানান ধর্মীয় ঘটনাবলীর কারণে এই দিনটিকে বিশেষভাবে মহিমান্বিত করেছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মধ্যে সর্বশেষ হিজরী ৬১ সনের এদিনেই সংঘটিত হয় কারবালা প্রান্তরে ঐতিহাসিক কারবালা ট্রাজেডি বা হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাতের মর্মান্তিক ঘটনা। ফলে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনার কারণে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবেও দিনটি পালন করা হয়।
এছাড়া মদীনায় হিজরতের প্রথম বছর থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নির্দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আশুরার আগের দিন বা পরের দিন মিলিয়ে এ উপলক্ষে দুইদিন রোজাসহ নফল ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে আসছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
মুন্না শেখ, জবি প্রতিনিধি : জায়নবাদী ইসরাইলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও বিশ্ব মানবতাকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবান জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে আজ ১০ এপ্রিল ২০২৫ ( বৃহস্পতিবার) "মার্চ ফর প্যালেস্টাইন" কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এ পদযাত্রা ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব দূতাবাস এবং বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে অগ্রসর হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু হওয়া এ পদযাত্রাটি নয়াবাজার পর্যন্ত যাওয়ার পর সরকার ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দের অনুরোধে এবং দেশে চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে সীমিত পরিসরে কর্মসূচি পালন করা হয়। পরবর্তীতে, জবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মার্কিন দূতাবাস ও সৌদি আরব দূতাবাসে বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষায় প্রণীত স্মারকলিপি জমা দেন।
পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার’, ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘তুমি কে আমি কে প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন’, ‘ফিলিস্তিনে গণহত্যা, বন্ধ কর বন্ধ কর’, ‘মুসলিম উম্মাহ এক করো, ওআইসি হাল ধরো’, ‘ফ্রি ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর-ইসরাইল নো মোর’ সহ নানাবিধ স্লোগানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তারা ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
পদযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন এর সঞ্চালনায় এ সমাবেশে বক্তারা গাজায় ইসরাইলি বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তারা ফিলিস্তিনি নিরীহ নারী-শিশু ও বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান।
সমাবেশে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তিনদফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন:
পূর্বে ঘোষিত ইসরাইলি পণ্য আমৃত্যু পুনরায় বর্জনের আহ্বান, ফিলিস্তিনিদের জন্য নামাজ পড়ে দোয়া অব্যাহত রাখা এবং স্মারকলিপি জমাদান পরবর্তী ফলোআপ প্রত্যক্ষ না করা গেলে জাতিসংঘের বাংলাদেশ অফিস ঘেরাও করা।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। শেষে গাজায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত ও ফিলিস্তিনিদের জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ কর্মসূচির মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
ফাইল ছবি
দেশে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ঠেকাতে বেশ কিছু দিক-নির্দেশনা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিসভা বিভাগের সঙ্গে আলোচনার একদিন পর ওমিক্রন ঠেকাতে সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত গণমাধ্যমকে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেবিনেটের সঙ্গে গতকাল মিটিং করেছি। বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এগুলো এখনো ফাইনাল না। কেবিনেট থেকে এগুলো ফাইনাল করা হবে। এর আগে যে আলোচনা হয়েছে, করোনাভাইরাস রুখতে হবে একারনেই এ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, যানবাহনে মাস্ক ছাড়া চলাচল করা যাবে না। যারা চলাচল করবেন তাদের জরিমানার মধ্যে পড়তে হবে। পরিবহনের মধ্যে বাস থাকবে, ট্রেন থাকবে এবং লঞ্চ থাকবে এটা একটা সিদ্ধান্ত মোটামুটি হয়েছে। আমাদের প্রস্তাবনায় রয়েছে। তারপর বাস এবং অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রেস্টুরেন্ট-হোটেল সেখানেও মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারসহ উভয়ের ফাইন হবে। দোকানের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত ১০টার পরিবর্তে, এটাও প্রস্তাব করা হয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য তাগাদা দেয়া হয়েছে। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে ভ্যাকসিন কার্ড অবশ্যই দেখাতে হবে।
স্কুল চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। সংক্রমন বেশি বৃদ্ধি পেলে স্কুলের বিষয় চিন্তাভাবনা করা হবে, এটাকে চালানো যাবে কিনা। এখনো আমরা সে সিদ্ধান্ত নেইনি, সে পরিস্থিতি এখনো বিরাজ করছে না।
তিনি বলেন, অনেকে জিজ্ঞেস করে লকডাউন দেওয়া হবে কিনা, পাশের দেশে তো দিয়েছে। আমরা এখনো সে চিন্তা করছি না। যদি পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যায়, সংক্রমন অনেক বৃদ্ধি পায় তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি আমাদের বর্ডারগুলো স্ক্রিনিং আরো জোরদার করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টিনে যারা থাকবে তারা যাতে বাহিরে ঘোরাফেরা না করে এজন্য পুলিশ পাহারা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।
‘ডিসি এসপিদের বলা হয়েছে তারা এ নির্দেশ যখন পাবে তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করেন। আগে ১৫ দিন সময় দেয়ার কথা বলা হয়েছিলো কিন্তু আজ প্রপোজ করেছি ১৫ দিন নয় সাত দিন দেয়ার জন্য। এটা কেবিনেট সচিবকে বলা হয়েছে তিনিও একমত পোষণ করেছেন। এটা সাত দিন পরেই নির্দেশগুলো বাস্তবায়ন কার্যকর শুরু হবে।’
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা জানেন যে পৃথিবীতে ওমিক্রন বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশের দেশেও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও কিছু রোগী পাওয়া গেছে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত। আমরা লক্ষ্য করছি সপ্তাহখানেক যাবত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন আগেও এটা ২০০ থেকে আড়াইশর মধ্যে ছিলো। গতকাল এটা পৌণে ৭শ হয়ে গেছে। যেভাবে বাড়ছে এটা আশঙ্কাজনক।’ সূত্র: যুগান্তর