a পবিত্র আশুরা বৃহস্পতিবার, আজ মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩২, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

পবিত্র আশুরা বৃহস্পতিবার, আজ মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ০৯ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:২০
পবিত্র আশুরা বৃহস্পতিবার, আজ মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি

সংগৃহীত ছবি

আগামী বুধবার থেকে গণনা শুরু হবে নতুন হিজরী বর্ষ ১৪৪৩ হিজরী। সোমবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার ৩০ দিন পূর্ণ করে জিলহজ মাস গণনা শেষ হবে। 

আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে নতুন হিজরী বর্ষের গণনা। সে হিসাবে আগামী ২০ আগস্ট শুক্রবার মোতাবেক ১০ মহররম বাংলাদেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, সোমবার বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। 

পবিত্র মহররম মাসের এই দিনে ইসলাম ধর্মের বিরোধীতাকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর হুকুমে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজ মাতৃভূমি মক্কানগরী থেকে মদীনায় হিজরত করেন। আল্লাহর প্রিয় নবী ও রাসূল হিজরতের এই দিনটির স্মরণে মুসলিম উম্মাহ হিজরি সন পালন করে থাকেন। এছাড়া ইসলাম ধর্মের সব বিধি বিধানও হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী পালিত হয়।

হিজরি বর্ষপঞ্জী অনুযায়ী ১০ মহররম পবিত্র আশুরাও পালিত হয়। ইসলাম ধর্ম অনুসারী মুসলমানসহ বিশ্বেও বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায় তথা আসমানী কিতাবের অনুসারীদের কাছে আশুরা একটি অতি পবিত্র গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় দিন। 

ইসলামের ইতিহাসের বহু উল্লেখযোগ্য নানান ধর্মীয় ঘটনাবলীর কারণে এই দিনটিকে বিশেষভাবে মহিমান্বিত করেছে। এসব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মধ্যে সর্বশেষ হিজরী ৬১ সনের এদিনেই সংঘটিত হয় কারবালা প্রান্তরে ঐতিহাসিক কারবালা ট্রাজেডি বা হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাতের মর্মান্তিক ঘটনা। ফলে মুসলিম বিশ্বে কারবালার শোকাবহ ঘটনার কারণে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবেও দিনটি পালন করা হয়। 

এছাড়া মদীনায় হিজরতের প্রথম বছর থেকেই হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নির্দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আশুরার আগের দিন বা পরের দিন মিলিয়ে এ উপলক্ষে দুইদিন রোজাসহ নফল ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে দিনটি পালন করে আসছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

রোজার কাযা ও কাফফারা যে ভাবে আদায় করতে হয়


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ০৯:০৪
রোজার কাযা ও কাফফারা যে ভাবে আদায় করতে হয়

জীবন-মৃত্যুর মালিক, সৃষ্টিজগতের প্রতিপালক, মহান আল্লাহ তায়ালা এমন কিছু কাজ মানুষের ওপর ফরজ করেছেন, যেসব কাজ সময়মত অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা কর্তব্য। আবার যদি সময়মত সেসব কাজ আদায় না করতে পারে, তবে সেটি পরবর্তীকালে যেকোন সময় আদায় করার যে সুযোগ থাকে, তাকেই আমরা সাধারণত কাযা বলি।

রমজানের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ওজরের কারনে রোজা না রাখলে পরবর্তীকালে আদায় করার নাম কাযা। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন: অন্য সময় এ সংখ্যা পূর্ণ করবে। [সূরা বাকারাহ, আয়াত নং ১৮৪]

একই আয়াতে আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন: নির্দিষ্ট কয়েক দিনের জন্য। অবশ্য তোমাদের মধ্যে যদি কেউ অসুস্থ হয় ‍কিংবা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করে নিতে হবে। আর রমজানের রোজা যাকে অত্যন্ত কষ্ট দেয়, তার কর্তব্য এর বদলে একজন মিসকিনকে খাবার দেওয়া। স্বত:স্ফূর্ত হয়ে কেউ সৎকাজ করলে তা তার পক্ষে ভালো। যদি তোমরা বুঝতে তবে সিয়াম পালনই তোমাদের জন্য অধিক কল্যানের হতো। [আল কুরআন, সূরা বাকারাহ]

একই সূরায় আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেন: রমজান মাস। এ মাসেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন নাযিল করেছেন সৎপথের দিক নিদর্শন ও পার্থক্যকারীরুপে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে কেউ এ মাস পাবে সে যেন অবশ্যই সাওম পালন করে। আর যে রোগী বা মুসাফির, সে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তাই চান আর তোমাদের জন্য যা কষ্টকর তা চান না। উদ্দেশ্য যাতে তোমরা (নির্ধারিত দিনের সাওম) সংখ্যা পূরণ করতে পার আর তোমাদের সঠিক পথ প্রদর্শনের কারণে তোমরা আল্লহর মহিমা ঘোষণা করবে ও শুকরিয়া আদায় করবে। [আয়াত নং- ১৮৫]

রাজাধিরাজ মহান আল্লাহ যাদের ওজর নেই তাদের প্রতি রমজানের রোজা সময়মত আদায় করা ফরজ করেছেন। আর যাদের অস্থায়ী ওজর আছে যেমন- সফর ও মাসিক তাদের প্রতি কাযা ফরজ করেছেন। আর যাদের স্থায়ী ওজর যার ফলে রোজা রাখতে পারে না তাদের জন্য আদায় ও কাযা কোনটাই না। যেমন: বয়স্ক এক্ষেত্রে বরং মিসকিনকে খাওয়াতে হবে।

হযরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ওপর রোজা রেখে মারা যায় অর্থাৎ সুযোগ থাকার পরেও কাযা আদায় না করে মারা যায় তবে তার পক্ষ থেকে অভিভাকগণ কাযা আদায় করে দেবে।

যেভাবে রোজার কাফফারা আদায় করা যায়:
প্রথম: দু’মাস একাধারে রোজা রাখতে হবে। কোনক্রমে যদি এই ৬০ দিনের মধ্যে একটি রোজাও ছুটে যায়, তবে আবার প্রথম থেকে ৬০ দিন পূর্ণ করতে হবে। পূ্র্বের ‍দিনগুলোর রোজা কোন কাজে আসবে না।

উল্লেখ্য, কাফফারা আদায় করার সময় যাতে বছরের যে পাঁচদিন রোজা রাখা হারাম সেই দিনগুলো না পড়ে। আর স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে যদি কাফফারা আদায় করার সময় হায়েয উপস্থিত হয়, তবে হায়েযের সময়ের মধ্যে রোজা না রেখে পবিত্র হওয়া মাত্রই রোজা রাখা আরম্ভ করতে হবে।

দ্বিতীয়: রোজা রাখতে সক্ষম না হলে ৬০ জন মিসকিনকে পরিপূর্ণ ‍তৃপ্তি সহকারে এক বেলা আহার করাতে হবে।

খাবার খাওয়াতে সক্ষম না হলে এ ব্যাপারে আল্লাহর রাসূল (সা.) এর একটি হাদিস উল্লেখযোগ্য। সেটি হলো- আবু হোরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা) এর নিকট এক লোক এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা). আমি হালাক তথা ধ্বংস হয়ে গেছি। আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, কোন বস্তু তোমাকে ধ্বংস করেছে? লোকটি বলল, রমজানের রোজা রেখে স্ত্রী সঙ্গম করে ফেলেছি। মহানবী (সা.) বললেন, তুমি কোন দাস-দাসীকে মুক্তি দেয়ার ক্ষমতা রাখ? লোকটি না বলল, এবার রাসূল (সা.) বললেন, দু’মাস একাধারে রোজা রাখতে পারবে? সে না বলল।

এরপর আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, ষাট জন দরিদ্রকে খাওয়াতে পারবে?। এবারও লোকটি না বলল। এরপর আল্লাহর রাসূলের দরবারে লোকটি বসে রইলো। তারপর নবী করিম (সা.) এর কাছে একটি খেজুরের ঝুড়ি আসলে তিনি লোকটিকে এগুলো সদকা করে দিতে বললেন। এবার লোকটি বলল, আমার থেকে বেশি দরিদ্রকে কি দান করতে হবে? মদিনার দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী এলাকায় আমার থেকে বেশি অভাবী পরিবার আর নেই।

দোজাহানে বাদশাহ মহানবী (সা.) লোকটির এমন কথা শুনে জোরে হেসে ফেললেন, সেসময় আল্লাহর রাসূল (সা.) এর দাতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়লো। তারপর আল্লাহর রাসূল (সা.) বললেন, যাও এগুলো তোমার পরিবারকে গিয়ে খাওয়াও। [সহীহ বুখারী- হাদিস নং ১৯৩৬, সহীহ মুসলিম- হাদিস নং ১১১১, আবু দাউদ- হাদিস নং ২৩৯০, সুনানে নাসায়ী- ২১২]

আজকের বিষয়ের যবনিকায় এসে মহান প্রভুর কাছে একান্ত প্রার্থনা; হে সৃষ্টি জগতের প্রতিপালক, আমাদেরকে রমজানের বাকি রোজাগুলোর পরিপূর্ণ হক আদায় করে রাখার তাওফিক দান করুন। আমীন।

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

ইসরাইলের আকাশে হিজবুল্লাহর সামরিক ড্রোনের সাফল্য


আন্তর্জাতিক ডেস্ক:মুক্তসংবাদ প্রতিদিন
শনিবার, ১৯ ফেরুয়ারী, ২০২২, ১১:৪৯
ইসরাইলের আকাশে হিজবুল্লাহর সামরিক ড্রোনের সাফল্য

ফাইল ছবি

ইসরাইলের আকাশের ওপর টানা ৪০ মিনিট অবস্থানের পর লেবাননে অক্ষত অবস্থায় ফিরে এসেছে হিজবুল্লাহর পাঠানো ড্রোন। লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন-হিজবুল্লাহ শুক্রবার এ দাবি করেছে। খবর আনাদোলুর।

লেবাননের আল-মানার টিভি চ্যানেলে প্রচার হিজবুল্লার এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে আকাশে সফলভাবে নজরদারির পর অক্ষত অবস্থায় ড্রোন নিরাপদে লেবাননের আকাশে ফিরে আসে।

ইসরাইলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, শুক্রবার ভোরে লেবাননের আকাশ থেকে একটি ড্রোন তাদের আকাশ সীমায় প্রবেশ করে। তারা এটাকে শনাক্ত করার পর গুলি করে ভূপাতিত করার আগেই তা লেবাননে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচে আদ্রায়ি বলেছেন, লেবানন থেকে আসা ড্রোনটি শনাক্ত করার পর ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে  ধংস করতে কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।

এদিকে, হিজবুল্লাহ সামরিক দিক থেকে এটাকে তাদের বিরাট এক সাফল্য হিসেবে মনে করছে। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম