a
ফাইল ছবি
শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে খেলাফত মজলিসের যুব মজলিস সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেই মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাগারে থাকা সব আলেমদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, কারাগারে থাকা আলেমদের সাথে ভালো আচরণ করুন। ভবিষ্যতে আপনারাও ভালো আচরণ পাবেন।
শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে সংগঠনটির যুব মজলিস সমাবেশে মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হক দুই বছর কারাগারে আছেন। কিন্তু তাঁকে তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করতে দেওয়া হয়না। আমাদের কারাগারের কোন সুবিধা দেওয়া হয়নি। যদিও কারাগারে সব ধরনের সুযোগসুবিধা বাড়ানো হয়েছে। নতুন নতুন ভবন হচ্ছে।’
সরকারের উদ্দেশে মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ‘কারাগারে একটি কথা চালু আছে যে, নতুন ভবন বর্তমানে ক্ষমতাসীনদের জন্য বানানো হচ্ছে। কারাগারের সুবিধা বাড়ান। কেননা, আপনাদের জন্য কারাগার অপেক্ষা করছে। মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের সঙ্গে ভালো আচরণ করুন। ভবিষ্যতে আপনারাও ভালো আচরণ পাবেন।’
এ সময় মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন আরও বলেন, ‘রোজা শুরুর আগেই কারাগারে থাকা বন্দীদের মুক্তি দিন। তা না হলে রোজার সময় দেশ অশান্ত হলে, তার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।’ সমাবেশে বক্তারা পঞ্চগড়ে কাদিয়ানী ইজতেমা বন্ধেরও দাবি জানান।
যুব মজলিসে বক্তারা সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় এমন নির্বাচন আয়োজন করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এ ছাড়া দেশে মিথ্যা মামলা দায়েরের যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে তা নিকট ভবিষ্যতে বন্ধ করার কথাও যুব মজলিসে বলা হয়েছে।
যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকীবুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, মাওলানা এহসানুল হক, কেন্দ্রীয় মজলিসে খাস সদস্য মাওলানা জাহিদুজ্জামান, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মুহাম্মাদ খালেদ সাইফুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ কাজী নিজামুদ্দীন, মাওলানা নাজমুল ইসলাম শাকিল, মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকী, মাওলানা জাকির হুসাইন প্রমুখ। সূত্র: প্রথম আলো
ফাইল ছবি
ইসরায়েলি প্রত্নতাত্ত্বিকরা দেশটির দক্ষিণে ১২০০ বছরের পুরোনো প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পেয়েছেন। ইসরায়েলের পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মসজিদটির যে অংশের সন্ধান পাওয়া গেছে, ধারণা করা হচ্ছে, তা ১২০০ বছরের বেশি পুরোনো মসজিদ। নেগেভ জেলার বেদুঈন শহর রাহাতে নতুন নির্মাণ কাজ করার সময় এটি আবিষ্কৃত হয়।
মসজিদটি নেগেভ জেলায় মরুভূমিতে অবস্থিত এবং এতে একটি বর্গাকৃতি কক্ষ ও মক্কামুখি অর্ধ বৃত্তাকৃতির খোপসহ একটি দেয়াল রয়েছে।
পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘অনন্য এ স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য নির্দেশ করে যে, এটি একটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হতো এবং এতে একসঙ্গে কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারতেন।’
মসজিদের সন্নিকটে একটি বিলাসবহুল ভবন সন্ধান পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে পাওয়া গেছে কিছু থালাবাসন এবং গ্লাসের প্রত্নবস্তু, যা সেখানকার বাসিন্দারা যে সম্পদশালী ছিলেন, তা নির্দেশ করে।
উল্লেখ্য, তিন বছর আগে পুরাকীর্তি কর্তৃপক্ষ এ মসজিদটির কাছাকাছি একই সময়ের আরও একটি মসজিদ আবিষ্কার করেছিল। মসজিদ দুটি ৭০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টাব্দের সময়কার বলে ধারণা এবং বিশ্বব্যাপী ইসলামের প্রথম দিককার মসজিদ বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র: এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান
ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গনের ফলে এ উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পুরোপুরি তলিয়ে যায়। যার ফলে এসব এলাকার বানভাসি পরিবারগুলো ঠিকানা হয় এ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলোতে।
এসব কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেওয়া অসহায় মানুষগুলোর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে কাজ করছেন সরকারি, বেসরকারিসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকে এগিয়ে এসেছেন এসব বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায়। তাদেরই একজন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ টি এম মিজানুর রহমান।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি একাই নিজস্ব অর্থায়ন ও জনবল দিয়ে বন্যা কবলিত বুড়িচং উপজেলার ২৭টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রের অন্তত ১০ হাজার মানুষকে খাদ্য, চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি রান্নার কাজে অর্ধশতাধিকের বেশি বাবুর্চি এবং শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীদের এসব আশ্রয়ণ কেন্দ্রে রেখেছেন।
এছাড়াও তিনি তার আপন নিজ ভাই ডা. নাজমুল হাসান সাঈদসহ একাধিক চিকিৎসকের সমন্বয়ে কয়েকটি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। এ টিমগুলো প্রতিদিনই দুর্গতদের মাঝে চিকিৎসা সেবা দিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
বন্যার প্রথম দিনে শুকনো খাবার বিতরণ করলেও দুর্গত মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে মিজানুর রহমান ২৪ আগস্ট থেকে খাবারের তালিকায় দুপুর ও রাতে খিচুড়িসহ ভারি খাবার সরবরাহ শুরু করেন। এজন্য ২৭টি আশ্রয় কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে পৃথক বাবুর্চি ও সহযোগীসহ খাবার সরবরাহের জন্য অন্তত ২ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছে।
এদিকে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি বাইরেও তাদের মেডিকেল টিম কাজ করছে বলে জানান সাবেক এই চেয়ারম্যান।
বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সবাই শুকনো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট দিলেও মিজানুর রহমান আশ্রিতদের জন্য বাবুর্চি এনে রান্না করাচ্ছেন। এতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বয়স্ক, শিশুসহ সব শ্রেণির মানুষের সুবিধা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ উপজেলার দুর্গত মানুষের সেবায় কোনো স্বার্থের মোহে কাজ করছি না। আগে করোনাসহ বিভিন্ন সময়ে আমি মানুষের পাশে ছিলাম। এবারও আছি। যতদিন আল্লাহ সামর্থ্য রাখবেন ততদিন অসহায়, সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমার মেডিকেল টিম ৫-৭ সদস্য বিশিষ্ট। প্রতিটি টিমে আলাদা চিকিৎসক রয়েছেন। যখন যেখানে প্রয়োজন সেখানেই যাচ্ছেন তারা। ঔষধ, স্যালাইনসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, বন্যা পরবর্তী দুর্গতদের পুনর্বাসন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রশাসন, এনজিও, রেডক্রিসেন্ট, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীমূলক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
এছাড়া পর্যায়ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন কাজ এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। সূত্র: যুগান্তর