a সুনামগঞ্জে মামুনুল হককে না যেতে প্রশাসনের নির্দেশনা 
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫
https://www.msprotidin.com website logo

সুনামগঞ্জে মামুনুল হককে না যেতে প্রশাসনের নির্দেশনা 


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১, ১১:২৭
সুনামগঞ্জে মামুনুল হককে না যেতে প্রশাসনের নির্দেশনা 

ফাইল ফটো: মাওলানা মামুনুল হক

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) সব ধরনের ধর্মীয় সভা, সমাবেশ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার আহ্বান জানান। ফলে সুনামগঞ্জে এই মূহুর্তে যেতে পারছেন না মামুনুল হক। জেলার শাল্লা উপজেলায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন এই নির্দেশনা প্রদান করেন। 

আজ শনিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের ইমাম, ওলামা ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, আগামীকাল রবিবার জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় খাদিমুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার উদ্যোগে খতমে বুখারি ও ইসলামি মহা-সম্মেলনে বক্তব্য রাখার কথা ছিল মাওলানা মামুনুল হকের। কিন্তু প্রশাসন থেকে আয়োজকদের তাকে না আসার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

আরও পড়ুন

লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম


মুক্তসংবাদ প্রতিদিন:
রবিবার, ০৯ মে, ২০২১, ০৮:১১
লাইলাতুল কদর রাতের ইবাদত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম

সংগৃহীত ছবি

 

পবিত্র মাহে রমজান আল্লাহকে একান্ত করে আপন করে নেয়ার মাস এবং নিজেকে পরিশুদ্ধ করে নেয়ার মাস। এ মাসের বিশেষ মাহাত্ম হচ্ছে লাইলাতুল কদর। তাইতো মুমিনের হৃদয় কাঁদে লাইলাতুল কদরের প্রত্যাশায়। 

বিগত বছরে আত্মায় সংগোপনে সঞ্চিত তাবৎ পাপ অপরাধ ও হৃদয়াভ্যন্তরে পুঞ্জীভূত সব পঙ্কিলতাকে ধুয়ে মুছে সাফ করে সজ্জিতরূপে সজ্জনে পরিণত হওয়ার মাস হল রমজান। 

যারা এ মাসের প্রতিটি সময়কে বিশেষ ইবাদত বন্দেগিতে রত থেকে অতিবাহিত করতে পারবেন তারাই কেবল আল্লাহপাকের প্রিয়ভাজন হবেন। বসন্ত মৌসুমে ফুটন্ত ফুলের সমারোহ হতে মধু আহরণ করে মৌ-মক্ষিকা যেমন সেই মৌসুমকে সার্থক করে তেমনিভাবে একনিষ্ঠ চিত্তের খোদা প্রেমিকগণ রমজানে নিবেদিত ইবাদত গোজারের মাধ্যমে জীবনোদ্দেশ্যকে সার্থক করে এবং আবিষ্কার করে নেয় রমজানের সেই রাতটিকে- যে রাতের ইবাদত হাজার মাস চেয়েও অধিক মর্যাদাবান। 

প্রত্যেক মুমিন বান্দার জন্য ‘লাইলাতুল কদর’-এর আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ রয়েছে, আর তা হলো, এটা এমন এক রাত, যখন মুমিন এক মহান আশীর্বাদ লাভ করতে পারে। 

প্রসিদ্ধ একটি হাদিস দ্বারা একথা সাব্যস্ত যে, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘কদরের রাতে যে ব্যক্তি ঐকান্তিক বিশ্বাসের সাথে আল্লাহর পুরস্কার লাভের আশা করে, তার অতীতের সব গুণাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়’ (বোখারি, প্রথম খণ্ড)। 

আমাদের দেশে ২৭ রমজানের রাতকেই লাইলাতুল কদর হিসেবে পালন করা হয়। তবে হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লাইলাতুল কদর অন্বেষণের সময় কখন হবে সে বিষয়ে উপদেশ দিয়ে বলেছেন, ‘রমজান মাসের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ কর’ (বোখারি)। হাদিসের ভাষ্যমতে, রমজান মাসের শেষাংশের যেকোনো বিজোড় রাতগুলোর মধ্যে যেকোনো রাতই লাইলাতুল কদর হতে পারে। 

মহান এ রাত সম্পর্কে আল্লাহপাক তার পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনে বলেন, ‘এবং তোমাকে কিসে অবহিত করবে যে, লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। ঐ রাতে ফেরেশতাগণ এবং কামেল রূহ সকল তাদের প্রতিপালকের হুকুম অনুযায়ী যাবতীয় বিষয়সহ নাযেল হয়’ (সুরা কাদর)। 

এ রাত কখন আসে, কিভাবে আসে এবং কেমন আরাধ্য আত্মার কাছে মহিমান্বিত এ রজনী ধরা দেয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে অবগত হতে হবে।

হজরত রাসুল পাক (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের জীবনে আগত প্রতিটি রমজানের শেষ দশকের কোন এক বেজোড় রাত্রিতে এ সম্মানিত রজনীকে সন্ধান করো’ (বোখারি)। 

অর্থাৎ রমজানের ত্রিশটি দিবস অসম্ভব কঠোর সাধনায় অবিরাম আরাধনার পর এ মাসের প্রায় শেষ প্রান্তে এসেই কেবল একজন আরাধক সেই রাতের সন্ধান লাভ করতে পারে। আর এটাই হলো রমজানের নিবিড় ইবাদতের মর্মকথা। 

অতএব, ঐশী পুণ্যে পরিপূর্ণ এ রাতের সন্ধান লাভ করা কোন সাধারণ বিষয় নয় এবং এটি কোন সাধারণ কাজও নয়। যে মহাজন বছরের প্রতিটি দিবস ও রাত সাতিশয় সাধনায় দ্বীনের ইবাদতে ব্রত থেকে পুণ্যতায় পূর্ণ হতে পারবেন কেবল তিনিই সন্ধান পাবেন সে রাতের সওগাত সম্ভার। 

মহান আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘স্মরণ রেখো, আল্লাহর স্মরণেই হৃদয় প্রশান্তি লাভ করে’ (১৩:২৮)। 

মুমিন মাত্রই মাহে রমজানের পবিত্রতায় আল্লাহ স্মরণের মাত্রাকে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেয়, ইবাদতের একাগ্রতাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। এমন কোন পুণ্যের কাজ নেই যা কিনা সে হাতছাড়া করে। 

আল্লাহ প্রেমিকের অন্বেষণ মাত্র একটাই থাকে আর তা হলো, লাইলাতুল কদরকে লাভ করা। এ প্রাপ্যতার মাঝেই সে আত্মার শান্তি আর এ উপার্জনের মাঝেই সে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়। প্রতিটি বছর রমজান তার সেই স্বর্গ-সুধা প্রদানের জন্যই আমাদের প্রত্যেককে আহ্বান করে। 

তাই আসুন! রমজানের এ শেষ ক’টিদিন সিয়াম সাধনায় নিবিড়চিত্তে নিবেদিত হয়ে সেই মাহাত্ম্য আহরণে মত্ত হই, যার মাঝে প্রকৃত সুখ নিহিত। কেননা এই শেষ দশকেই আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে আত্মার নাজাতের প্রতিশ্রুতিসহ লাইলাতুল কদরের উপহার রেখেছেন। 

এমনিভাবে বিভিন্ন ইবাদতে খোদা মানুষের আত্মার মঙ্গলার্থে নানান উপায়ে মজুত রেখেছেন তার অনন্যসব অবদান। এসব ব্যবস্থাদি মানুষের প্রতি খোদার অনুকম্পা প্রদর্শনেরই প্রমাণ। 

তাই আমাদের উচিত হবে খোদা সকাশে ধর্ণা দিয়ে সেসব অনুকম্পাদি আহরণ করা। নচেৎ জীবন হবে মূল্যহীন। আমরা তো কোনভাবেই প্রত্যাশা করতে পারি না যে, আমাদের জীবনে আবারও এ রমজান ফিরে আসবে। 

আমরা যদি আমাদের প্রণান্ত প্রচেষ্টা ও আল্লাহর দয়ায় সেই নেয়ামত পেয়েই যাই তখন আমাদের কি করা উচিত? 

এক্ষেত্রে রাসুল করিম (সা.)-এর উপদেশ বাণী হল, তিনি (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা লাইলাতুল কদরের সন্ধান পাবে, তখন এ দোয়াটি পাঠ করবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি, হে আল্লাহ তুমি অবশ্যই ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করাকে পছন্দ কর, কাজেই তুমি আমাকে ক্ষমা কর’ (তিরমিজি)। 

হে আমাদের পরম প্রিয় করুণাময় খোদা! তুমি আমাদের প্রত্যেককে ক্ষমা কর এবং রমজানের সবকটি নেয়ামত আমাদের প্রত্যেককে দান কর আর লাইলাতুল কদর লাভে আমাদেরকে ধন্য কর, আমিন।

লেখক: ইসলামি গবেষক ও কলামিস্ট/masumon83@yahoo.com/সূত্র:যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম

বর্তমানে অনেক বিতর্কিত প্রভাবশালীদের ঘুম হারাম


এমএস.প্রতিদিন ডেস্ক:
শনিবার, ০৭ আগষ্ট, ২০২১, ০৯:৫৫
বর্তমানে অনেক বিতর্কিত প্রভাবশালীদের ঘুম হারাম

ফাইল ছবি

বিতর্কে জড়িয়ে একের পর এক গ্রেফতার হচ্ছেন অভিনেত্রী ও মডেলরা। অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততার চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আরও এক ডজন মডেল বর্তমানে নজরদারিতে রয়েছেন। এতে আতঙ্কে অন্তত ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তির ‘ঘুম হারাম’ হওয়ার অবস্থা।

এক সময় এসব ব্যক্তি ওই মডেলদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাদের নিয়ে তারা দেশের বাইরেও ‘প্লেজার ট্রিপে’ গেছেন। তাদের বিরুদ্ধে মডেলদের বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহার ও ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। এখন তাদের অনেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তদবির করতে মাঠে নেমেছেন।

প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন কেউ কেউ। মোবাইল ফোন বন্ধ করে এবং ফেসবুক আইডি নিষ্ক্রিয় করে তাদের অন্তত চারজন গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে তাদের গতিবিধি নজরদারিতে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

রোববার রাতে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ গ্রেফতার হয়েছেন। মাদক আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাদের শুক্রবার আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

এরপর রাজধানীর তিন থানার পৃথক তিনটি মাদক মামলায় পিয়াসার আট দিন ও মৌকে একটি মামলায় চার দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। বুধবার বিকালে পরীমনিকে গ্রেফতারের পর মাদক মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

পরীমনি, পিয়াসা ও মৌর কয়েক সহযোগীও রয়েছেন রিমান্ডে। জিজ্ঞাসাবাদে স্বর্ণ চোরাচালান, ব্ল্যাকমেইলিং, মাদক ব্যবসা, জাল মুদ্রা তৈরি, অস্ত্র কারবারে সম্পৃক্ততাসহ নানা অবৈধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা গ্রেফতার অভিনেত্রী ও মডেলরা স্বীকার করেছেন।

এ সময় তাদের ‘সুগার ড্যাডি’দের নামও উঠে আসে। যারা টাকার বিনিময়ে অথবা চাপ দিয়ে অনেক মডেলের ঘনিষ্ঠ হয়েছেন। নানা অপরাধমূলক কাজে ব্যবহার করেছেন। সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা প্রশাসনিকভাবে এসব প্রভাবশালী ব্যক্তিকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির অবৈধ কাজের সহযোগীদের নাম পাওয়া গেছে বলে শুক্রবার জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, পরীমনি যেসব অবৈধ কাজ ও ব্যবসা করতেন, সেগুলো কাদের নিয়ে করতেন, কাদের সহযোগিতায় করতেন, কারা তার নেপথ্যে রয়েছেন আমরা তাদের নাম পেয়েছি। তাদের বেশির ভাগই বড়লোক এবং খারাপ প্রকৃতির মানুষ।

যারাই তার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের গ্রেফতার করা হবে। আর প্রযোজক নজরুল মডেলদের নিয়ে ঘরোয়া পার্টি করতেন। উচ্চবিত্তদের মডেল সাপ্লাই দিতেন। সেই তথ্যও আমরা পেয়েছি। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

পুলিশ, র‌্যাব ও একাধিক গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে ২১ প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে স্বর্ণ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনজন, পোশাক শিল্পের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত দুজন, রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছয়জন, অন্য সব ব্যবসায় জড়িত ছয়জন, বিশেষ দুই ব্যক্তি ও একটি বিশেষ পেশায় থাকা একজন এবং ফার্নিচার-প্লাস্টিকসহ কয়েকটি ব্যবসায় জড়িত একজন রয়েছেন।

রাজধানীর তারকা হোটেল ও পার্টি হাউজে তাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এছাড়া ‘স্পা সেন্টার’সহ নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আড়ালে গুলশান-বনানীর ২৭টি স্থানে অনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা হতো। সেখানেও এ প্রভাবশালীদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। এছাড়া বনানীর অন্তত ১৩টি সিসা লাউঞ্জেও ছিল তাদের অন্যতম আখড়া।

সূত্র জানায়, সুন্দরী রমণীদের নিয়ে দুবাই, ইউরোপ, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিায়সহ বিভিন্ন দেশে একাধিক ‘লেজার ট্রিপ’ দিয়েছেন অনেকে। ঘন ঘন তাদের বিদেশ যাত্রার তথ্য পুলিশের ইমিগ্রেশন শাখা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পিয়াসা, মিশু, জিসান ও একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ব্যক্তির দুই ছেলের একসঙ্গে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া ভ্রমণের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। দেশের বাইরে অবস্থানকালে তাদের অনেকের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও ও স্থিরচিত্র এখন গোয়েন্দাদের হাতে। এগুলো বিশ্লেষণ করে আরও একাধিক মামলা হতে পারে।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অভিনেত্রী ও মডেলদের গ্রেফতারের পর এসব প্রভাবশালী ব্যক্তির অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে তাদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন অথবা ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাকটিভ করেছেন। অনেকে অনলাইনে যোগাযোগের সময় পাঠানো বিভিন্ন ছবি, কথোপকথন, অডিও ও ভিডিও বার্তা মুছতে অপর প্রান্তে থাকা তরুণীদের অনুরোধ করছেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাদের কেউ কেউ দেশত্যাগের চিন্তাও করছেন। অনেকে আবার অভিযোগ থেকে বাঁচতে নেমেছেন লবিং-তদবিরে।

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী বিভিন্ন ব্যক্তির বাসায় ঘন ঘন যাতায়াত করছেন তারা। সাক্ষাৎকালে কেউ কেউ তদবির করতে না পেরে অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টাও করছেন।

ঢাকার তিনটি অভিজাত হোটেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রভাবশালী বেশ কয়েকজন নিয়মিত ‘গেস্ট’কে গত সপ্তাহে তারা দেখতে পাননি। যাদের সঙ্গে প্রায় সব সময় রুপালি জগতের অভিনেত্রী, মডেলসহ অনেক সুন্দরী তরুণীকে দেখা যেত। এসব সুন্দরীর অনেককে মুখ ঢেকে কিংবা বোরকা পরেও হোটেলে ঢুকতে দেখা যেত। এবারের অভিযানে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চলাচল সীমিত করেছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

অভিনেত্রী ও মডেলদের কেলেঙ্কারির ঘটনার এবার শেষ দেখতে চায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেজন্য রিমান্ডে পিয়াসা ও মৌর মোবাইল ডিভাইসগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করছেন তারা।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, সেখানে ‘ব্ল্যাকমেইলিং’র জন্য রাখা অন্তত ১০টিরও বেশি ভিডিওচিত্র ও অনেকগুলো স্থিরচিত্র পাওয়া গেছে। এতে পিয়াসা-মিজান, মৌ সিন্ডিকেটের অনেকের ছবি রয়েছে। পাশাপাশি অনেক প্রভাবশালীর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে। তাদের বিষয়েও খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। পিয়াসা-মৌকে গ্রেফতারের পর যেসব অপরাধে তাদের সম্পৃক্ততার খবর পাওয়া গেছে- তাতে প্রভাবশালীদের ভূমিকা নিয়েও চলছে অনুসন্ধান।

সূত্র জানায়, গুলশানের হোটেল পাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল এমন অনেক তথাকথিত মডেলও রয়েছেন গ্রেফতার আতঙ্কে। তাদের অন্তত তিনজন এখন ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। ঢাকার বনানী, গুলশান, মোহাম্মদপুর, বনশ্রী এলাকায় তাদের ‘সেফ প্লেস’ হিসাবে পরিচিত কয়েকটি ফ্ল্যাট এখন ফাঁকা। গ্রেফতার আতঙ্কে তারা গা-ঢাকা দিয়েছেন। মোবাইল ফোন ও নম্বর পরিবর্তন করেছেন কেউ কেউ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান-২ এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল এসব অপকর্মের অন্যতম হোতা জনৈক ব্যক্তির। তিন দিন ধরে তাকে এ এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। এছাড়া এ এলাকায় অর্চনা ও তানসিয়ারের যাতায়াতও কমে গেছে। এভাবে গুলশানপাড়ার অনেক পরিচিত মুখকে এখন দেখা যাচ্ছে না।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পিয়াসার নেটওয়ার্কে ২০ থেকে ২৫ জন সুন্দরী রমণী রয়েছে। গুলশান, বনানী, বারিধারার অনেক ধনাঢ্য ব্যবসায়ী তাদের নিয়ে দেশের বাইরে ট্যুরে (প্লেজার ট্রিপ) যান। কোটি কোটি টাকা কামিয়ে ‘জিরো থেকে হিরো’ বনে গেছে চক্রটি। এছাড়া জিসান ও মিশুর চক্রে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২ জন। তাদের প্রতিটি পার্টিতে অংশ নিত ১৫-২০ জন। সূত্র: যুগান্তর

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন / কে. আলম
Share on Facebook

মুক্তসংবাদ প্রতিদিন এর সর্বশেষ

সর্বশেষ - ধর্ম