a
ফাইল ছবি
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে আজও (রোববার) দেখা গেছে ঈদের অগ্রিম টিকিটপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ লাইন। অগ্রিম টিকিট বিক্রির আজ তৃতীয় দিন। আজ সকালে টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ গত দুই দিনের তুলনায় আরো বেশি ছিল।
কমলাপুর স্টেশনের মূল প্ল্যাটফর্মের বাইরে চলে গেছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন। লাইনে যারা সামনের দিকে আছেন, তাঁদের অধিকাংশই গতকাল শনিবার থেকে অবস্থান করছেন। অপেক্ষায় থাকা অনেকে ক্লান্ত হয়ে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে বসে পড়েছেন।
এদিকে, পেছনের দিকে থাকা অধিকাংশই মনে করছেন, তাঁরা টিকিট পাবেন না। টিকিট না পেলে কেউ কেউ চলে যাবেন, আবার কেউ আগামীকাল সোমবার যেন পান, সেই আশায় অবস্থান করবেন। সূত্র: সমকাল
ফাইল ছবি
ঈশ্বরদী জংশন ষ্টেশনের টিটিই শফিকুল ইসলাম বরখাস্ত এবং তার বিরুদ্ধে যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত’র লিখিত অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সোমবার (১৬ মে) সকাল সাড়ে ১১ টায় জমা হয়েছে। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলামের নিকট তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক সাজেদুল ইসলাম বাবু প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিবেদনে টিটিই শফিকুল ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। এ ঘটনায় ওই ট্রেনের গার্ড শরিফুল এবং অভিযোগ দাখিলকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত অভিযুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডিআরএম শাহিদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন জমা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, প্রতিবেদনটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হবে।
প্রতিবেদনের ফলাফল প্রসঙ্গে ডিআরএম জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া টিটিই শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। ওই দিনের ঘটনার জন্য সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলামের প্ররোচনায় যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্ত লিখিত মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক বিভাগীয় সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিষয়বস্তুর আলোকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। তদন্তকালে ট্রেনে কর্তব্যরত এবং সংশ্লিষ্ট ৯ জনের লিখিত ও ক্রসড প্রশ্নোত্তর গ্রহণ করা হয়েছে। এতে টিটিই শফিকুল নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। ট্রেনের গার্ড শরিফুল ইসলাম প্ররোচনার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন। দক্ষতা ও শৃংখলা বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযোগকারী যাত্রী ইমরুল কায়েস প্রান্তকে গণমাধ্যমের সামনে এসে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিকট ক্ষমা প্রার্থনার জন্য বলা হয়েছে। সূত্র: ইত্তেফাক
ফাইল ছবি
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতিবাদে নেমেছে পরিবহন সেক্টরগুলো। ফলে বাস, ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি পর্যন্ত চলেনি রাজধানীসহ সারাদেশে। এতে জনজীবনে অসহনীয় ভোগান্তি ও দুর্দশা নেমে আসে।
বাস মিনিবাস না চলার কারণে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ে। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ট্রাক ভ্যানের দেখাদেখি সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এদিন কার্যত হরতালের রূপ নেয়। শুধু বাস বন্ধ থাকার খেসারত দিতে হয়েছে লাখ লাখ বেকার শিক্ষার্থীকে।
শুক্রবার বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারী নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় তাদের দুর্বিষহ ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। অনেকেই ঢাকায় আসতে না পারায় পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। এ ধরনের ধর্মঘটে জনজীবনে ভোগান্তির পাশাপাশি কাঁচাবাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার যেই চিত্র দেখা গেছে- আজ শনিবার তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে অনেকে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করে শুক্রবারেই সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে আগামীকাল রবিবার পরিবহন নেতাদের সঙ্গে জরুরী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি পরীক্ষার্থী ও জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে সকল স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বাস্তবভিত্তিক মূল্য সমন্বয়ের মাধ্যমে জনগণের ওপর বাড়তি চাপ সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাসও দেন।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের ডাকা যে কোন বৈঠকে বসতে প্রস্তুত। সংগঠনের সভাপতি এনায়েত উল্লাহ খন্দকার বলেছেন, সরকারের ডাকের অপেক্ষায় রয়েছি। তেলের দাম না কমানো পর্যন্ত মালিকরা গাড়ি চালাবেন না। তবে এই ধর্মঘট কাল রবিবার পর্যন্ত চলবে।
যদিও আমরা কোন ধর্মঘটের ঘোষণা দেইনি-কিন্তু মালিকদের সেন্টিমেন্টের সঙ্গে আমরা একমত ও সংহতি প্রকাশ করছি।
এদিকে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত নাগরিকদের ভোগান্তি তৈরি ছাড়া আর কিছুই না। তেলের মূল্য প্রত্যাহার বা স্থগিত করার কথা বললেও অন্তরালে আছে ভাড়া সমন্বয় করার কৌশল। পরিবহন মালিকদের উদ্দেশ্য ও স্বার্থ হয়তো রক্ষা হবে কিন্তু সাধারণ নাগরিকদের জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। আমরা তেলের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং পণ্য পরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিন সকাল থেকেই দেখা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখেন মালিক-শ্রমিকরা। দিনের শুরুতেই সড়কে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অথচ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে কোন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ ঘোষণা ছাড়াই শুক্রবার সকাল থেকে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট।
তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে শুধু ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। গন্তব্যের উদ্দেশে সড়কের বিভিন্ন মোড়গুলোতে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। কিন্তু কোন বাস না পেয়ে রিক্সা-সিএনজি কিংবা প্রাইভেটকার ভাড়া করে বাড়তি টাকা খরচ করে ছুটছেন অনেকে।