a
ছবি সংগৃহীত: দূষিত আবহাওয়ায় অস্বস্তিতে অসহায় মানুষগুলো
জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে বিশ্বের বিভিন্ন শহরগুলোতে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান প্রায়ই শীর্ষে অবস্থান করে। আজও সেই ধারাবাহিকতায় ২৭ জানুয়ারি, সোমবার সকালে শহরটির বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ অবস্থায় রয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ৩০১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকার অবস্থান। একই সময়ে ২৪৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের অন্যতম শহর লাহোর।
এ ছাড়া ২০৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৮২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর স্কোর ১৭২।
সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ফাইল ছবি
বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় বহাল রাখা হয়েছে সতর্ক সংকেতও। ফলে বৃষ্টিপাত থাকতে পারে আরও দু’দিন।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। তেলেঙ্গানা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিরাজমান লঘুচাপটি বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে বিদায় নিয়েছে। তবে দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে তা মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। ঢাকায় দক্ষিণ/দক্ষিণপূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১০-১৫ কি.মিটার, যা অস্থায়ীভাবে দমকা আকারে ঘণ্টায় ৪০-৫০ কি.মি. পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার নাগাদ বৃষ্টি কমতে পারে। এ সময়ে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের অবশিষ্টাংশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
এদিকে বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এই কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ফাইল ছবি
শীত মৌসুমে খুশখুশে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা প্রায় লেগেই থাকে। এ জন্য রং চা খাওয়া যেতে পারে। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, তুলসী, সামান্য লবণ ও মধু দিয়ে তৈরি লাল চা পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। একটু সচেতন হলেই এসব সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ঠাণ্ডা, সর্দি-কাশিতে ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করে ‘ঠাণ্ডা’কে দূরে রাখা যায়।
মধু: ত্বকের পাশাপাশি শরীরের জন্যও মধু বেশ উপকারী। গলার খুসখুসে ভাব কমিয়ে দ্রুত আরাম দেয়। মধু গরম বলে ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া আঙ্গুরের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে এমন কি চা-এ চিনির পরিবর্তে মধু দিয়ে খেতে পারেন। বয়স্করা মধুর সঙ্গে এক চামচ দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে খেলেও বেশ উপকার পাবেন।
আদা: প্রাচীনকাল থেকেই ঠাণ্ডা, জ্বর, কাশি ও মাথাব্যথার জন্য আদার ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা চা গলার কফ পরিষ্কার করে ও খুসখুসে ভাব কমায়। এ ছাড়াও আদা রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে কুসুম গরম করে দিনে তিনবার খান। দ্রুত কাশি নিরাময় হবে।
রসুন: রসুনে রয়েছে আলিসিন ও অন্যান্য অর্গানোসালফার উপাদান যা সংক্রমণকারী ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিনাশ করে। গলা বসে গেলে রসুন থেঁতো করে তাতে গরম পানি দিয়ে শরবত করে নিন। পাঁচ মিনিট পর মিশ্রণটি পান করুন, অতি দ্রুত ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
লেবু: লেবুতে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ঠাণ্ডার ভালো ওষুধ। লেবু চা খেতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে খেয়েই দেখুন ভালো ফল পাবেন। গলাব্যথা বা গলা বসে গেলে গরম পানিতে লেবুর রস ও সামান্য লবণ দিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার করুন।
গোলমরিচ: গরম পানিতে এক চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। গোলমরিচের দানা নিচে জমা হলে ধীরে ধীরে পান করুন। অতি দ্রুত ঠাণ্ডা থেকে মুক্তি পাবেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
পিয়াজের রস : পিয়াজের রস কাশি নিরাময় করে, এটি অনেকেরই অজানা। পিয়াজ রস করে তাতে মধু দিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়াও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন কাঁচা পিয়াজ।
লবঙ্গ : কয়েক টুকরা লবঙ্গ সেদ্ধ পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে কুসুম গরম থাকতে খেয়ে নিন। এটি ভীষণ উপকারী। এ ছাড়াও লবঙ্গ ও আদা পানিতে ১৫ মিনিট সেদ্ধ করে সেই পানি দিয়ে গড়গড়া করলেও উপকার পাবেন।
হলুদ মিশ্রিত দুধ : হলুদে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান যা বিভিন্ন ভাইরাসজনিত ইনফেকশন সারাতে কার্যকর। গরম দুধের সঙ্গে খানিকটা হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে রাতে ঘুমানোর আগে পান করলে সর্দি ও গলা ব্যথা থেকে অতি দ্রুত মুক্তি পাবেন।