a
ফাইল ছবি
দেশের ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়া অফিসের দেয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস আরও জানায়, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন
ছবি: সংগৃহীত
খুলনা বিভাগ ছাড়া ঢাকাসহ ময়মনসিংহ, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের সব অঞ্চলেই বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে, বৃষ্টি হলেও এপ্রিল মাস জুড়ে কম বেশি তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ মাসের শেষের দিকে দাবদাহ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের মতে, ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল বিভাগ অর্থাৎ খুলনা বিভাগ ছাড়া প্রায় সব অঞ্চলেই বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ দেশের কোথাও কোথাও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকতে পারে এবং আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। এ সময়ে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। সূত্র: যুগান্তর
ফাইল ছবি
ফরিদপুরের সালথায় লকডাউন কার্যকর করাকে কেন্দ্র করে থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করে রেখেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা। খবরে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সালথা উপজেলা সদর থেকে আনুমানিক সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজার থেকে এই সংঘাতময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী বরাত দিয়ে জানা যায়, ওই সময় অস্ত্রধারী আনসার সদস্য ও পিএকে নিয়ে এসিল্যান্ড মারুফা সুলতানা ফুকরা বাজারে যান। এসময় বাজারে লোক সমাগম ও দোকানপাট খোলা দেখতে পেয়ে এসিল্যান্ডের সহকারী একজনকে লাঠিপেটা করে। এনিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয় জনসাধারণ। স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে এসিল্যান্ড তার টিম নিয়ে উপজেলায় ফিরে যায়।
পরে সালথা থানার পুলিশ ফুকরা বাজারে গিয়ে জনতার সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় এসআই মিজান ও দুই কনস্টেবল আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ফুকরা বাজারে এলে জনতা আবারও বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ থানায় ফিরে যায়।
সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. খায়রুজ্জামান বলেন, এসিল্যান্ড ফুকরা বাজারে লক ডাউন কড়াকড়ি করতে আসার পর আগে বাজার কমিটির সভাপতিসহ অন্যদের সাথে বসা উচিত ছিলো। তাদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে লক ডাউন কার্যকর করা হলে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো না।
সেখানকার বাজার বণিক সমিতির সভাপতি কাওসার খান বলেন, তিনি ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না। তবে পরে শুনেছেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মারপিট করার পর এসব ঘটনার সূত্রপাত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনা সূত্রপাত হওয়ার পরে বিভিন্ন ইউনিয়নে মোবাইলে যোগাযোগ করে ‘পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে’ এ জাতীয় গুজব ছড়িয়ে পড়লে সালথায় লোক জড়ো করা হয়। পরে সন্ধ্যার পর হাজার হাজার জনতা থানা ও উপজেলা কমপ্লেক্স ঘেরাও করেন। এক পর্যায়ে জনতা উপজেলা কমপ্লেক্স এর প্রধান ফটক ও থানার ফটকের সামনে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতরে এবং গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নগরকান্দা ও সালথা সার্কেলের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পুলিশ সুপার সুমিউর রহমান রাত সাড়ে ১০টার দিকে গনমাধ্যমকে জানায়, সাধারণ মানুষের ছত্রছায়ায় মৌলবাদী গোষ্ঠী এ সুযোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে যাচ্ছি।